২০২৬ সালে মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী বাগদাদ

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাগদাদের একটি মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

বাগদাদের একটি মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ইসলামি দেশগুলোর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রীরা সর্বসম্মতিক্রমে বাগদাদ শহরকে ২০২৬ সালে ইসলামি বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে নির্বাচিত করেছেন।

ইরাকের সংস্কৃতি, পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, ২০২৬ সালের জন্য বাগদাদকে ইসলামি সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

চলতি মাসের ১২-১৩ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ইসলামি দেশগুলোর সংস্কৃতি মন্ত্রীদের ১৩তম সম্মেলনে এই নির্বাচন নিশ্চিত করা হয়।

সম্মেলনে ইরাকি প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইরাকি পাণ্ডুলিপি কেন্দ্রের মহাপরিচালক আহমদ করিম আল-আলিয়াভি বলেন, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনের সহযোগিতায় ইরাকি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অসামান্য প্রচেষ্টায় আমাদের এই অর্জন। এর মাধ্যমে বাগদাদ কয়েক শতাব্দীর বৈজ্ঞানিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকলাপের স্বীকৃতি ফিরে পেয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় আলিয়াভি ইরাকের ইতিহাস ও সভ্যতার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একটি অগ্রগামী শহর হিসেবে বাগদাদের ভূমিকার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পরিচয় সংরক্ষণ এবং ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো রক্ষায় ইরাক জোর দেবে।

উল্লেখ্য, ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের তত্ত্বাবধানে (আইসেসকো) প্রতিবছর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শহরকে মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে নির্বাচন করা হয়।

২০০৫ সালে মক্কা নগরী মুসলিম বিশ্বের প্রথম সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে নির্বাচিত হয়। এর পরের বছরগুলোতে যথাক্রমে- সিরিয়ার আলেপ্পো, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ, সিরিয়ার দামেস্ক, তিউনিসিয়ার কাইরুয়ান, তাজিকিস্তানের দুশানবে, আলজেরিয়ার টিমসেন নগরী, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, সৌদি আরবের মদিনা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা, কাজাখস্তানের আলমাটি, কুয়েত, জর্ডানের রাজধানী আম্মান, আজারবাইজানের নাখচিভান, তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিস, উজবেকিস্তানের বুখারা, কাতারের দোহা, মিসরের রাজধানী কায়রো, মৌরিতানিয়ার নোয়াকচোট শহর, আজারবাইজানের শুশা ও উজবেকিস্তানের সমরকন্দ মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে নির্বাচিত হয়।

অনেক সময় একাধিক দেশের একাধিক প্রাচীর শহরকে মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।