ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পদোন্নতি বঞ্চিতদের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের সভা, ছবি: সংগৃহীত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের সভা, ছবি: সংগৃহীত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কর্মরত পদোন্নতিবঞ্চিতদের বিষয়ে দ্রুত করণীয় নির্ধারণসহ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমকে গতিশীল করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বোর্ড অব গভর্নরসের সভায়।

এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বুক কর্নার স্থাপনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্কুল, মাদরাসা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় এই বুক কর্নার গড়ে তোলা হবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইফার সভাকক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের ২২৮তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের চেয়ারম্যান ও ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

ইফার এ বুক কর্নারে থাকবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত সিরাতুন নবী, তাফসির, ফিকাহ শাস্ত্র, হাদিস গ্রন্থ, দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, নবী-রাসূল ও সাহাবায়ে কেরামদের জীবনী, নারীর অধিকার, মাদক ও সন্ত্রাস প্রতিরোধসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বই-পুস্তক। এ বুক কর্নার স্থাপনের ফলে ইফার বইয়ের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে ধর্মীয় বই পাঠের অভ্যাস গড়ে উঠবে বলে সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিজস্ব জমি আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের ১০টি জেলায় ইফার অব্যবহৃত ১৭১ শতক জমি এ কর্মসূচির আওতায় আসবে। জেলাগুলো হলো- সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, বান্দরবন, কুড়িগ্রাম, চাপাইনবয়াবগঞ্জ, ভোলা ও পঞ্চগড়।

এ সব জেলার ইফার অব্যবহৃত জমি আয়বর্ধনমূলক কর্মসূচির আওতায় আনতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বোর্ড অব গভর্নরসের সভায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যদের সম্মানী যৌক্তিকীকরণ, ইফা প্রকাশিত বইয়ের তালিকা প্রকাশ ও ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমকে গতিশীল করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

সভায় বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফয়েজ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মিঞা মোঃ নূরুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন মহাপরিচালক মোঃ আঃ সালাম খান, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আনোয়ার হোসাইন তাহির জাবেরী, চরমোনাই আহছানাবাদ রশিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, ঢাকার জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার মহাপরিচালক মাওলানা মাহফুজুল হক, ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা ভাইস প্রিন্সিপাল ড. খলিলুর রহমান মাদানী ও পটুয়াখালীর ওয়ায়েজিয়া কামিল মাদরাসা অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো: নেছারুল হক উপস্থিত ছিলেন।