রমজানের শেষ দিনগুলোও গুরুত্বপূর্ণ
পবিত্র রমজান মাস আল্লাহতায়ালার সন্তোষ, নৈকট্য ও মাগফিরাত লাভের মাস। এই মাসে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে গোনাহ মাফ করিয়ে নেওয়ার এবং আল্লাহর রহমত লাভের চেষ্টা করা রোজাদারের অবশ্যকর্তব্য। আর এই মাসে প্রতি রাতে একজন আহবানকারী বেশি বেশি নেক আমল করার জন্য আহবান জানান।
হাদিসে এসেছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন রমজানের প্রথম রাত প্রবেশ করে তখন বিতাড়িত শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়; তার কোনো দরজা খোলা থাকে না। জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়; তার কোনো দরজা বন্ধ থাকে না। আর একজন আহবানকারী ডেকে বলেন, হে কল্যাণের অভিযাত্রীরা! অগ্রসর হও। হে অকল্যাণের অভিসারীরা! বিরত হও। এরূপ প্রতি রাতে করা হয়।’ -জামে তিরমিজি : ৬৮২
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) পুরো রমজান মাস বেশি বেশি ইবাদত করতেন। বিশেষ করে শেষ দশকে তিনি রাত জেগে ইবাদত করতেন এবং তার পরিবার-পরিজনকে জাগাতেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘যখন শেষ দশ দিন আসত তখন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) তার পরিধেয় বস্ত্র শক্ত করে বাঁধতেন, রাত্রি জাগরণ করতেন এবং পরিবার-পরিজনকে জাগাতেন।’ -সহিহ বোখারি : ২০২৪
অন্য বর্ণনায় এসেছে, হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজনের শেষ দশ দিন (ইবাদতের জন্য) যে চেষ্টা করতেন, অন্য সময় তা করতেন না।’ -সহিহ মুসলিম : ২৬৭৮
রমজান রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। এই মাসের ইবাদতে বেশি সওয়াব লাভ হয়। এ মাসে রাত জাগা পৃথক একটি ইবাদত। রাত জেগে ইবাদত করলে আল্লাহ আগের গোনাহ ক্ষমা করে দেন। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রাত্রি জাগরণ করল, তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ -সহিহ বোখারি : ৩৭, ২০০৯
মহান আল্লাহ মাহে রমজানের শেষ দিনগুলো ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানোর তওফিক দান করুন। আমিন।