লাইলাতুল কদর প্রাপ্তিতে ইতিকাফের আমল
পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশ দিন অত্যন্ত তাৎপর্যমন্ডিত। রমজান মাসের একটি বিশেষ আমল হচ্ছে- সুন্নত ইতিকাফ। আর তা আদায় করার সময় এখন।
রমজানের বরকত ও মাগফিরাত লাভে ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম। ইতিকাফের মাধ্যমে লাইলাতুল কদর লাভ করার সম্ভাবনাও বেশি। তাই নবী কারিম (সা.) রমজানের শেষ দশ দিনে মসজিদে ইতিকাফ করায় বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। এ জন্য রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নতে মোয়াক্কাদা কিফায়া।
এখনও একদিন বাকি আছে, সুতরাং আগে থেকে পরিকল্পনা করে ইতিকাফ করার চেষ্টা করা। তেমনি মহল্লার মসজিদে যেন ইতিকাফ হয়, সে বিষয়ে আগে থেকে আলোচনা এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
নবী কারিম (সা.) সর্বদা রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। তিনি প্রতি বছর অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, নবী কারিম (সা.) ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। নবীজীর পর তার স্ত্রীরাও ইতিকাফ করতেন। -সহিহ মুসলিম : ১১৭২
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, হজরত জিবরাইল (আ.) প্রতি বছর নবী কারিম (সা.) কে একবার করে কোরআন মাজিদ শোনাতেন। কিন্তু যে বছর তার মৃত্যু হয়, ওই বছর তিনি দুই বার শোনান। নবী কারিম (সা.) প্রতিবছর দশ দিন ইতিকাফ করতেন। কিন্তু ইন্তেকালের বছর তিনি বিশ দিন ইতিকাফ করেন। -সহিহ বোখারি : ৪৯৯৮
লাইলাতুল কদর প্রাপ্তিতে ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম। নবী কারিম (সা.) রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর তালাশ করতে বলেছেন। কদরের রাতের বরকত ও ক্ষমা লাভ করার ক্ষেত্রে রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফের গুরুত্ব অনেক। ইতিকাফকারী অন্যান্য আমল করতে না পারলেও শুধু মসজিদে অবস্থান করাটাই একটা বড় আমল। সে যতক্ষণ মসজিদে থাকবে ততক্ষণ তার আমলনামায় সওয়াব লেখা হতে থাকবে।