আসন্ন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নির্বাচনে হাব ঐক্য কল্যাণ পরিষদ এর প্যানেল প্রধান সৈয়দ গোলাম সরোয়ার হজযাত্রীদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করার যে বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে সে বিষয়ে মতামত জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ মতামত জানান।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি সভায় আমার একটি বক্তব্য মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে আমি বলতে চেয়েছি যে, কোনো ব্যবসায় যে পরিমাণ পার্সেন্টিজ লাভ করা হয়, সে তুলনায় আমাদের সার্ভিস চার্জ খুবই কম। আমরা নির্বাচিত হলে এজেন্সির মালিকদের স্বার্থে হজ প্যাকেজের সার্ভিস চার্জ ৫% এ উন্নিত করার জন্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সুতরাং সকল সদস্যকে এই বিষয়ে কোনো রকম অপপ্রচার ও বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।
এর আগে, আসন্ন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নির্বাচনে হাব ঐক্য কল্যাণ পরিষদ এর প্যানেল প্রধান সৈয়দ গোলাম সরোয়ার বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে হজযাত্রীদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করবেন এবং তা সবাই মিলে ভাগ করে নেবেন।
নির্বাচনী প্রচারণায় এ ধরনের ঘোষণায় হাব সদস্যদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) হাব নির্বাচনের নির্বাচনী সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘যদি আমি নির্বাচিত হই, তাহলে হজযাত্রী প্রতি ৩০ হাজার টাকা অতিরিক্ত নেব এবং তা আমরা ভাগ করে নেব।’
এই বক্তব্যরের প্রেক্ষিতে হাব সদস্যরা বলেন, এটি শুধু ব্যবসা নয়, আমাদের জন্য একটি পবিত্র দায়িত্ব। আমরা আল্লাহর মেহমানদের সেবা করার কাজে নিয়োজিত। গোলাম সরোয়ার সিন্ডিকেট করে হজযাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের পরিকল্পনা এই পবিত্র কাজকে কলুষিত করা। সাধারণ হজ এজেন্সির মালিকরা এমন ঘৃণিত কাজ হতে দেব না।
নির্বাচনের আগে প্যানেল প্রধানের এমন বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েন হাব ঐক্য কল্যাণ পরিষদের প্রার্থীরা।
প্রার্থীদের কয়েকজন বার্তা২৪.কমকে জানান, যারা হজ এজেন্সি মালিক, আমাদের অনেকেই মধ্যস্বত্বভোগীদের সরবরাহকৃত হজ যাত্রীদের প্রসেসিং করেই ব্যবসায় টিকে আছি। এজেন্সি মালিকরা সব ধরণের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে সব কাজ করে ৫/৭ হাজার টাকা লাভ করে, আর যারা হাজী সরবরাহ করে, তারা ৫০/৬০ হাজার টাকা আয় করে থাকেন। আগে হজ প্যাকেজে কিছু খাত ছিল, যার মাধ্যমে এজেন্সির মালিকদের কিছু অতিরিক্ত আয়ের ব্যবস্থা ছিল। আগামী হাব নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্যানেলও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় হজ প্যাকেজে ৩০/৪০ হাজার টাকা লাভের খাত সৃষ্টি করার উদ্যোগ নিতে পারে। এটা মন্দ কিছু নয়।
এদিকে, হাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে তিনটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। হাব ঐক্য কল্যাণ পরিষদ (প্যানেল প্রধান সৈয়দ গোলাম সরওয়ার), হাব ঐক্য ফোরাম (প্যানেল প্রধান ফারুক আহমেদ সরদার) ও হাব বৈষম্যবিরোধী গনতান্ত্রিক জোট (প্যানেল প্রধান এম এ রশিদ শাহ্ সম্রাট)।