আগামী ১০ বছরের মধ্যে জেন-জি হবে সবচেয়ে ধনী

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ১০ বছরের মধ্যে জেন-জি হবে সবচেয়ে ধনী

আগামী ১০ বছরের মধ্যে জেন-জি হবে সবচেয়ে ধনী

আগামী ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ধনী প্রজন্মে পরিণত হতে যাচ্ছে জেন-জি। ২০৩৫ সালের মধ্যে জেন-জি প্রজন্ম ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার আয় করবে। ২০৪০ সালের মধ্যে তা হয়ে যাবে দ্বিগুণেরও বেশি- ৭৪ ট্রিলিয়ন ডলার। তখন এ প্রজন্ম হবে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

ব্যাংক অব আমেরিকার নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত যাদের জন্ম তাদের বলা হয় জেন-জি প্রজন্ম।

নিউ ইয়র্ক পোস্টের বিশ্লেষণে বলা হয়, এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে ব্যাংক অব আমেরিকার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে যখন জেন-জি ধুঁকছে ঋণের চাপে, আর্থিক সংকটে, জীবনযাত্রার ব্যয়ে, চাকরির অভাবে। একই সমস্যায় জেন-জি দের পূর্ববর্তী প্রজন্ম মিলেনিয়ালরা ভুগেছে। তবে জেন-জি প্রজন্মের ভাগ্য এমন থাকছে না। আগামী ১০ বছরের মধ্যেই প্রজন্মটি কেবল ঘুরেই দাঁড়াবে না বরং পরিণত হবে সবচেয়ে ধনী প্রজন্মে।

বিজ্ঞাপন

ব্যাংক অব আমেরিকার প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিশেষজ্ঞ আমানদা ফ্রান্সেস বলেন, ‘প্রথমত, জেন-জি প্রজন্ম মাত্রই আয় করা শুরু করেছে। দ্বিতীয়ত, ডিজিটাল ব্যবস্থা, প্রযুক্তি,ই-কমার্স, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, এআই চালিত ব্যবসা তাদেরকে বিপুল অর্থ আয়ের পথ দেখাবে।’ 

ব্যাংক অব আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেন-জি হচ্ছে ‘খরুচে প্রজন্ম।’ প্রয়োজনে ও নিজেদের চাহিদা মেটাতে এ প্রজন্ম আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক বেশি খরচ করে। এখন তো সঞ্চয়ের চেয়ে খরচ বেশি করে।

এমন পরিস্থিতির পরেও ব্যাংক অব আমেরিকার প্রতিবেদনটি মনে করে ঘুরে দাঁড়াবে জেন-জি প্রজন্ম। কারণ জেন-জি ‘অতি শিক্ষিত।’ জেন-জি প্রজন্মের শিক্ষিতের হার পূর্ববর্তী প্রজন্মের চেয়ে বেশি। যা আয় ও চাকরির সুযোগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চাকরির এই কঠিন বাজারেও প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী জেন-জির মজুরি বেড়েছে ৮ শতাংশ। এক্ষেত্রেও তাঁরা পেছনে ফেলেছে সিনিয়র প্রজন্মকে।

ফ্রান্সিস বলেন, ‘জেন-জি কে এখন থেকেই তৈরি হতে হবে। মাইন্ডসেট ও বিশ্বাসকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘কেবল ভোক্তা না, বিনিয়োগকারীও হতে হবে। অল্প পরিমাণে হলেও বিনিয়োগ করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যারাই উদ্ভাবনকে বুকে জড়িয়ে নেবে, তারাই আগামীতে নেতৃত্ব দেবে।’