যেভাবে বদলে গেল সুনিতার স্বপ্ন
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
আট দিনের মিশনে মহাকাশে রওনা দেন নাসার নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। কারিগরি ত্রুটির কারণে দুজন পৃথিবীতে ফিরলেন ৯ মাস পর। নারী নভোচারী হিসেবে সবচেয়ে বেশি সময় মহাকাশে কাটানোর রেকর্ড এখন সুনিতার। নাসার নভোচারী হিসেবে মহাকাশে বেশি সময় কাটানোর তালিকায় আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে।
নির্দিষ্ট সময়ের পরও দক্ষতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে পৃথিবীতে ফিরেছেন ৫৯ বছর বয়সী সুনিতা। সারা বিশ্বের চোখ এখন তাঁর দিকে। অথচ শৈশবে তাঁর স্বপ্ন ছিল না নভোচারী হওয়ার! সুনিতা ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতেন বড় হয়ে পশু চিকিৎসক হবেন!
শৈশবেই বিজ্ঞানকে ভালোবেসেছিলেন সুনিতা। পশু চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর বেশ। তবে সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভাইয়ের কারণেই জীবনের মোড় ঘুরে যায় সুনিতার। তাঁর ভাই যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। ভাইকে দেখতে একাডেমিতে যান সুনিতা। এরপরই তাঁর নৌবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে হয়। ১৯৮৯ সালে তিনিও যোগ দেওয়ার সুযোগ লাভ করেন। সুনিতা হেলিকপ্টার কমব্যাট সাপোর্ট স্কোয়াড্রনে যোগ দেন। ভূমধ্যসাগরসহ মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করেছেন তিনি। দুর্গত এলাকায় মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করেছেন সুনিতা।
১৯৯৮ সালে নভোচারী হিসেবে নাসায় যোগ দেন তিনি। প্রথম মহাকাশযাত্রার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন ২০০৬ সালে। ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) একটি ট্রেডমিলে ৪ ঘণ্টা ২৪ মিনিট দৌড়ে একটি ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ২০১২ সালে চার মাসের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়ে স্টেশন অপারেশনসহ একাধিক দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
গত বছরের জুনে আটদিনের মিশনে আইএসএসে যান সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উলমোর। মহাকাশযানে ত্রুটির কারণে তাঁরা আটকা পড়েন। তবে খাবার ও অন্যান্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা থাকায় তাঁরা জটিলতায় পড়েননি। বাংলাদেশ সময় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ফ্লোরিডা উপকূলের কাছে সাগরে অবতরণ করে তাঁদের বহনকারী মহাকাশযান।