পবিত্র রমজান মাসেও গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং হামাসের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাহমুদ আবু ওয়াফাহ ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) নিজেদের পৃথক লাইভ আপডেটে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বহু নারী এবং শিশুও রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অনেকেই।
মঙ্গলবারের হামলায় দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসে কমপক্ষে ৭৭ জন এবং উত্তর গাজা সিটিতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। দক্ষিণের দেইর আল-বালাহ এবং রাফাহ শহরের কেন্দ্রস্থলেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় অনেক শিশুসহ অনেকেই প্রাণ হারিয়েছে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে পদক্ষেপ নেবে এবং হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নেতানিয়াহু ।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৮ হাজার ৫৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ১২ হাজার ৪১ জন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সে সময় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়। এছাড়া দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।
অভিযানের নামে গাজায় রীতিমত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ, আবাসিক ভবনসহ বেশির ভাগ স্থাপনাই ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা।