ইসরায়েলে যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ রপ্তানি করতে পারে নেদারল্যান্ডস
-
-
|

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান । ছবি : সংগৃহীত
মানবাধিকার সংস্থাগুলির একটি গ্রুপ মামলার বিপরীতে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) একটি ডাচ আদালত জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ব্যবহৃত এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানগুলোর যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে নেদারল্যান্ডস।
হেগের জেলা আদালত বলেছেন, ‘যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, যেখানে বিচারকদের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ‘মন্ত্রী যে বিবেচনাগুলো করেন তা অনেকটা রাজনৈতিক এবং নীতিগত প্রকৃতির এবং বিচারকদের মন্ত্রীকে ব্যাপক স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের স্থানীয় শাখাসহ সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছিল যে, ওই যন্ত্রাংশ সরবরাহ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েল কর্তৃক আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অবদান রেখেছে।
মার্কিন মালিকানাধীন এফ-৩৫ যন্ত্রাংশ নেদারল্যান্ডসের একটি গুদামে সংরক্ষণ করা হয় এবং তারপরে বিদ্যমান রপ্তানি চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইলসহ বেশ কয়েকটি অংশীদারের কাছে পাঠানো হয়।
মামলার বাদীদের একজন অক্সফাম নোবিবের পরিচালক মিচিয়েল সার্ভেস বলেছেন, ‘ওই যন্ত্রাংশগুলো গাজার বাড়ি এবং পরিবারের উপর
বোমা ফেলার সুযোগ করে দেয়।’
এদিকে ডাচ সরকার সংসদে এক চিঠিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলি এফ-৩৫ মোতায়েনের বর্তমান তথ্যের ভিত্তিতে এটি প্রতিষ্ঠিত করা যায় না যে, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানগুলো যুদ্ধের মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত।’
কিন্তু, বাদী পক্ষের মানবাধিকার আইনজীবী লিসবেথ জেগভেল্ড এটাকে অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
অন্যদিকে, সরকারী আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছেন যে, ‘ডাচরা যদি নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক গুদাম থেকে যন্ত্রাংশ সরবরাহ না করে, ইসরায়েল সহজেই সেগুলো অন্য কোথাও সংগ্রহ করতে পারে।’
আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা এএফপিকে বলেছেন, সংঘাতের উভয় পক্ষই সম্ভবত মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
বিচারক এটাও রায় দিয়েছেন যে, ‘বর্তমান সংঘাতের আলোকে সরকার ২০১৬ সালে এফ-৩৫ যন্ত্রাংশ সরবরাহের জন্য দেওয়া পারমিট পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য নয়।’