আসন্ন ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘দাগি’। শিহাব শাহীন পরিচালিত এ সিনেমায় একটি রোমান্টিক গানে জুটি বেঁধে কণ্ঠ দিয়েছেন তাহসান খান ও মাশা ইসলাম।
রোমান্টিক এই গানের কথা লিখেছেন সাদাত হোসাইন, সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সাজিদ সরকার। সিনেমাটির আবহ সংগীতও করছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
মাশা ইসলাম
গানটি প্রসঙ্গে মাশা ইসলাম বলেন, ‘অনেকটা হুট করেই গানটিতে আমার কণ্ঠ দেওয়া হয়। আমার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন তাহসান ভাইয়া। রোমান্টিক, বেশ সুন্দর একটা গান। আমার খুব ভালো লেগেছে, বিশেষ করে গানটির সুর। আমার কাছে মনে হয়েছে, গানটা কমপ্লিমেন্ট করেছে তাহসান ভাইয়া আর আমার কণ্ঠটা।’এর আগেও তাহসানের সঙ্গে প্লেব্যাক করেছেন ‘টেকা পাখি’খ্যাত এই শিল্পী।
এ ছাড়া ‘দাগি’ সিনেমাতে আরেকটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ‘ঝুমকা’খ্যাত গায়িকা জেফার রহমান। সেই গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেন সাজিদ সরকার।
অ্যাকশন, ড্রামা ও রোমান্সের মিশেলে ‘দাগি’ দিয়ে ঈদুল ফিতরে দুই বছর পর বড় পর্দায় ফিরবেন আফরান নিশো। এতে আরো অভিনয় করেছেন তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, মনোজ প্রামাণিক, রাশেদ মামুন অপু, শহিদুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।
‘দাগি’ দিয়ে ঈদুল ফিতরে দুই বছর পর বড় পর্দায় ফিরবেন আফরান নিশো
‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’র মতো জনপ্রিয় গানের শিল্পী খালিদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৮ মার্চ)। গত বছর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান চাইম ব্যান্ডের এই ভোকালিস্ট।
কয়েক বছর ধরেই হৃদ্রোগে ভুগছিলেন খালিদ; একাধিকবার হৃদ্রোগের চিকিৎসা নেন তিনি। তার হৃদ্যন্ত্রে একটি স্টেন্ট বসানো ছিল। সেদিন সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে খালিদকে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
এই গায়কের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে অবসকিউর ব্যান্ডের ভোকালিস্ট সাইদ হাসান টিপু বলেন, ‘তিনজন কাছের মানুষকে হারালাম—জুয়েল (হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল), শাফিন ভাই ও খালিদ। এই তিনজনের অভাব কখনো পূরণ হবে না। আসলে মৃত্যুর পর আমরা সবাই যেভাবে তাদের স্মরণ করি, বেঁচে থাকতে যদি তাদের একটু সময় দিতাম, তাহলে একবুক কষ্ট নিয়ে তাদের চলে যেতে হতো না। সব সময়ের মতো আবারও বলি, আমরা যেন দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝি।’
১৯৬৫ সালের ১ আগস্ট গোপালগঞ্জে খালিদের জন্ম। ১৯৮১ সালে ফ্রিজিং পয়েন্ট নামের একটি ব্যান্ডে যোগ দেন তিনি। ১৯৮৩ সালে সেই ব্যান্ডের নাম বদলে ‘চাইম’ রাখা হয়। সারগাম থেকে প্রকাশিত চাইমের প্রথম অ্যালবাম (সেলফ টাইটেলড) দিয়ে যাত্রা শুরু তার। ব্যান্ডটির ‘বেকারত্ব’, ‘নাতি–খাতি বেলা গেল’, ‘তুমি জানো নারে প্রিয়’, ‘কীর্তনখোলা নদীতে আমার’, ‘এক ঘরেতে বসত কইরা’, ‘ওই চোখ’, ‘প্রেম’, ‘সাতখানি মন বেজেছি আমরা’, ‘আমার জন্য রেখো’ গানসহ আরও বেশ কিছু গান সে সময় শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
২০০৫ সালে চাইম প্রকাশ করে শেষ অ্যালবাম ‘কীর্তনখোলা’। এরই মধ্যে একক শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন খালিদ নিজেও। প্রকাশ পায় তার প্রথম অ্যালবাম ‘এক টুকরো চাঁদ’। এই অ্যালবামের ‘মাক্ষীগিরা’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।পাশাপাশি বেশ কিছু মিক্সড অ্যালবামে প্রকাশ পায় তার ‘আবার দেখা হবে’, ‘কোনো কারণেই’, ‘আকাশ নীলা’ প্রভৃতি গান।
খালিদের অধিকাংশ জনপ্রিয় গানের গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। খালিদ ও প্রিন্সের যুগলবন্দীতে কয়েক দশকে বাংলা গান সমৃদ্ধ হয়েছে একের পর এক হৃদয়ছোঁয়া সৃষ্টিতে। ১৯৯৪ সালে প্রিন্স মাহমুদের সুরে খালিদের প্রথম গান ‘আবার দেখা হবে’। এরপর ১৯৯৫ সালের শেষ দিকে ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’। ১৯৯৬ সালে ‘১১ জন’ অ্যালবামে ‘যতটা মেঘ হলে’। এরপর আসে ১৯৯৭ সালে ‘ঘৃণা’ অ্যালবামে ‘নীরা ক্ষমা করো’। ১৯৯৮ সালে শেষ ‘দেখা’ অ্যালবামে ‘আকাশনীলা তুমি বলো কীভাবে’। এগুলো জনপ্রিয়তা পেলেও সব ছাড়িয়ে যায় ১৯৯৯ সালে ‘এখনো দুচোখে বন্যা’ অ্যালবামের গান ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না ’।
এরপর ১৯৯৯ সালের শেষ দিকে আসে ‘দাগ থেকে যায়’ অ্যালবামে ‘হয়নি যাবার বেলা’। ২০০৬ সালে মিক্সড অ্যালবাম ‘দেবী’–তে আসে ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’। গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ২০০৮ সালে প্রকাশ পায় একক অ্যালবাম ‘ঘুমাও’। অ্যালবামটি খালিদের ক্যারিয়ারে এক মাইলফলক। তবে এ অ্যালবামের পর থেকেই সংগীতে সেভাবে আর পাওয়া যায়নি খালিদকে। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে তিনি বেছে নেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসজীবন।
আইফা অনুষ্ঠানে কার্তিক আরিয়ান, নোরা ফাতেহি ও শাহরুখ খান
বিনোদন
সদ্যই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পঁচিশতম ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস (আইফা)। গত ৮ এবং ৯ মার্চ এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানকে ঘিরে যেন তারার হাট বসেছিল। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন করণ জোহর এবং কার্তিক আরিয়ান। তবে এই উৎসবের মাঝেই কার্তিক আরিয়ান আর নোরা ফাতেহির মধ্যে এমন এক ঘটনা ঘটে গেল, যা এখন ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সময় কার্তিক আরিয়ানের একাধিক সম্পর্কের জল্পনার প্রসঙ্গ টেনে আনলেন বলিউড ডিভা নোরা ফাতেহি। মজা করে কার্তিকের সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখা গেল তাকে।বলিউডে সহ-অভিনেত্রীদের সঙ্গে বহু বারই নাম জড়িয়েছে কার্তিক আরিয়ানের। এই তালিকায় রয়েছেন সারা আলি খান থেকে অনন্যা পাণ্ডেও।
এ বছর ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে আইফা পুরস্কারও পেয়েছেন কার্তিক
শোনা যায়, ‘লাভ আজ কাল’ সিনেমার শ্যুটিংয়ের সময়ই সারার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন কার্তিক। অন্য দিকে আবার নতুন এক জল্পনায় শোনা যাচ্ছে যে, অনুরাগ বসুর আসন্ন সিনেমায় কাজ করছেন কার্তিক। সেই সিনেমায় সহ-অভিনেত্রী শ্রীলীলার সঙ্গে জড়িয়েছেন প্রেমের সম্পর্কে! এছাড়াও প্রায়ই গুঞ্জন ভেসে বেড়ায়, কার্তিকের ডেটিং নিয়ে। আর পুরস্কারের মঞ্চে সেই প্রসঙ্গ তুলেই খোঁচা দিলেন নোরা ফাতেহি! অ্যাওয়ার্ডের রাতের সেই অংশের ভিডিও এখন ভাইরাল।
ভিডিওতে দেখা যায়, করণ আর কার্তিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন। দর্শক আসনের সামনের সারিতে বসেছিলেন নোরা। তার দিকেই এগিয়ে যান করণ আর কার্তিক। মজা করে করণ নোরাকে প্রশ্ন করেন যে, ‘একটা ফার্স্টক্লাস টিকিটে কি তুমি লন্ডন যাবে?’ এর জবাবে নোরা বলেন, ‘আমি কি আপনার সঙ্গে যাচ্ছি?’ এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে করণ বলেন, ‘আমি তো কার্তিকের বিষয়ে কথা বলছি।’
নোরা ফাতেহি
কার্তিক অবশ্য ব্যাখ্যা করে বলেন যে, তিনি কিংবা করণ কেউই নোরার সঙ্গে যাবেন না। তবে অভিনেত্রীর লন্ডন সফর পুরোপুরিভাবে স্পনসর করা হবে।
এরপর করণ আবার মজাচ্ছলে নোরার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চান। মনে করে অভিনেত্রী বলেন যে, আগের রাতে তো বলেই দিয়েছিলেন যে, তিনি সিঙ্গেল। তবে প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে কার্তিকের উদ্দেশ্যে নোরা প্রশ্ন করেন যে, ‘এই ইন্ডাস্ট্রিতে কি এমন কেউ রয়েছেন, যাকে আপনি ডেট করেননি?’ নোরার মতে, ইন্ডাস্ট্রিতে কেউই বাদ নেই যার সঙ্গে কার্তিক ডেটিং করেননি! বিষয়টাকে অবশ্য কার্তিক ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করে বলেন, উনি তো একটা প্রশ্নই করেছেন শুধু!
সারা ও অনন্যার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায় কার্তিকের
অন্যদিকে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কার্তিক-শ্রীলীলার ডেটিংয়ের বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ অভিনেতার মা। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তিনি অভিনেত্রী না কি চিকিৎসক পুত্রবধূ চান? তিনি অবশ্য চিকিৎসক পুত্রবধূই বেছে নিয়েছিলেন।
এদিকে শ্রীলীলার আবার এমবিবিএস ডিগ্রিও রয়েছে। এমনকী, কার্তিকের পারিবারিক অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে দেখা গিয়েছে এই অভিনেত্রীকে। তাই দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে ভুল করছেন না নেটিজেনরাও। কারণ এই জুটিকে সামনে আশিকি থ্রি’তে দেখা যাবে পর্দায়। তাই তাদের ভেতরের আশিকি নিয়ে কানাঘুষাও জোরদারই হচ্ছে বলা যায়।
‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালের পাখি চরিত্রটি দিয়ে বাংলাদেশের দর্শকের ভীষণ প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন কলকাতার অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। ফলে সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে তার প্রথম সংসার ভেঙে যাওয়ায় অনেকেই কষ্ট পেয়েছিলেন।
তবে বর্তমানে তার জীবনে এসেছে নতুন বসন্ত। প্রেম করছেন অভিনেত্রী। গেল পূজায় অনুরাগীদের মন ভেঙে প্রেমিকের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর প্রেমিকের নাম দেবমাল্য চক্রবর্তী। তিনি ইন্ডাস্ট্রির কেউ নন, আইটি সেক্টরে কাজ করেন।
প্রেমিক দেবমাল্য'র সঙ্গে মধুমিতা
মাঝেমধ্যেই কাছের মানুষের সঙ্গে বেরিয়ে পড়েন এদিক সেদিক ঘুরতে। এবারো দোল কাটিয়েছেন সিকিমের নিরিবিলি ইয়ামথাং ভ্যালিতে। কুয়াশামাখা পাহাড়ি রাস্তায় যখন মধুমিতা-দেবমাল্যর রোম্যান্টিক ছবিতে মজে অনুরাগীরা, ঠিক সেই আবহেই জানা গেল চলতি বছরেই গলায় মালা দিতে চলেছেন মধুমিতা।
তিনি জানিয়েছেন, ‘এই বছর ডিসেম্বর মাসে কিংবা আগামী বছরের শুরুর দিকে বিয়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। কারণ শীতকাল আমাদের দুজনেরই বেশ পছন্দ।’
প্রেমিক দেবমাল্য'র সঙ্গে মধুমিতা
পাহাড় তাদের এতটাই প্রিয় যে এর পরই অভিনেত্রীর সংযোজন, ‘বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত পাহাড়ে স্মৃতি তৈরি করে যাব।’
এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘২০১৯ সালে আমাদের প্রথম দেখা। কিন্তু কোনোভাবে আমরা সংস্পর্শে ছিলাম না। তবে মাসখানেক আগে আবার আমাদের দেখা হয়। তারপর থেকেই ফের টেক্সট চালাচালি শুরু। বন্ধু হিসেবেই প্রথমে কথা বলা শুরু করেছিলাম। এবং তার পর বাকিটা ইতিহাস ‘
অতঃপর মধুমিতা যে শীতকালেই বিয়ে করছেন, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
প্রেমিক দেবমাল্য'র সঙ্গে মধুমিতা
‘বোঝে না সে বোঝে না’ ধারাবাহিকের পাখি হিসেবে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন মধুমিতা। এর পর সিনেমার জগতে নিজের সফর শুরু করেন। ‘পরিবর্তন’, ‘লাভ আজ কাল পরশু’, ‘চিনি’, ‘দিলখুশ’, ‘সূর্য’, ‘কুলের আচার’-এর মতো একাধিক সিনেমা রয়েছে তার ঝুলিতে। অল্প বয়সেই বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী। অভিনেতা-পরিচালক সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। কিন্তু সে সম্পর্ক টেকেনি। ২০১৯ সালে মধুমিতা ও সৌরভের বিচ্ছেদ হয়।
সেই বছরই দেবমাল্যর সঙ্গে পরিচয় হয়। প্রথম বিয়ে ভাঙার পর ক্যারিয়ারে মন দেন অভিনেত্রী। তবে গত বছর পূজাতেই মধুমিতার জীবনে উঁকি দেয় নতুন প্রেম। প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কের ঘোষণা নিজেই করেছিলেন মধুমিতা।
‘পাঠান’-এ শাহরুখ খান, ‘ছাভা’তে ভিকি কৌশল এবং ‘অ্যানিমেল’-এ রণবীর কাপুর
বিনোদন
ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের জীবনের উপর নির্ভর করে বানানো ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র ‘ছাভা’। ভিকি কৌশল ও রাশমিকা মান্দানা অভিনীত সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই দখলে নিয়েছে ভারতীয় বক্স অফিস। গড়েছে একের পর এক রেকর্ড। এবার রেকর্ড ভাঙতে ভাঙতে পেছনে ফেলে দিল বলিউড বাদশা শাহরুখ খান ও রণবীর কাপুরের সিনেমাকেও।
বাণিজ্য ওয়েবসাইট স্যাকনিল্কের প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা তো বটেই, বর্তমানে শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ এবং রণবীর কাপুরের ‘অ্যানিমেল’-এর আয়কেও পিছনে ফেলে দিয়েছে ‘ছাভা’! সিনেমাটি পঞ্চম রবিবার ৮ কোটি টাকা আয় করেছে। যার মধ্যে হিন্দিতে ৭.২৫ কোটি এবং তেলেগুতে ০.৭৫ কোটি টাকা আয় করেছে। সব মিলিয়ে ৩১ দিনে সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৫৬২.৬৫ কোটি টাকায় (হিন্দি: ৫৪৮.৭ কোটি এবং তেলেগু: ১৩.৯৫ কোটি )।
‘অ্যানিম্যাল’ প্রেক্ষাগৃহে ৫৫৩.৮৭ কোটি টাকা আয় করেছিল। তবে কেবল ‘অ্যালিম্যাল’ নয়, পাশাপাশি শাহরুখ খান অভিনীত সিদ্ধার্থ আনন্দের স্পাই থ্রিলার ‘পাঠান’-এর ঘরোয়া আয়কেও ছাড়িয়ে গেছে ছাভা। পাঠানও ২০২৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল। সেই সময় সিনেমাটির ভারতীয় বক্স অফিস আয় হয়েছিল ৫৪৩.০৯ কোটি টাকা। এই মুহুর্তে পাঠান ও অ্যানিমেলকে টপকে উপরের সারিতে উঠে এসেছে ছাভা।
‘ছাভা’তে রাশমিকা মান্দানা ও ভিকি কৌশল
এদিকে, আয়ের পাশাপাশি ছাভায় অভিনয়ের জন্য প্রশংসায় ভাসছেন ভিকি কৌশল। সম্ভাবি মহারাজের চরিত্রে অভিনেতা নিজেকে রীতিমতো সপে দিয়েছেন বলা যায়। এই চরিত্রের জন্য ভিকি নিজের ওজন ১০০ কেজি করেছিলেন। শিখেছিলেন লাঠি খেলা।
বাদ যায়নি ঘোড়া চালানোও। শুধুই কি তাই? কানে ফুটো পর্যন্ত করান তিনি। অন্যদিকে অক্ষয় খান্নাও আওরঙ্গজেবের চরিত্রে রেখেছেন আইকনিক ছাপ। দর্শকের পাশাপাশি অভিনয়ের জন্য সমালোচকদেরও প্রশংসা কুড়াচ্ছে ছাভা।
‘ছাভা’তে অক্ষয় খন্না
ছাভায় ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের চরিত্রে দেখা গেছে ভিকি কৌশলকে। তার স্ত্রীর চরিত্রে রয়েছেন রাশ্মিকা মান্দানা। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের চরিত্রে দেখা মিলেছে অক্ষয় খান্নার। সিনেমাটির পরিচালনা করেছেন লক্ষ্মণ উতেকর এবং প্রযোজনা করেছেন দীনেশ বিজন। সিনেমাটি ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায়।