হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এ আর রহমান। বুকে ব্যথা ওঠায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাকে চেন্নাইয়ের গ্রিমস রোডের এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
৫৮ বছর বয়সী রহমানকে সকাল ৭:৩০ মিনিটে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার ইসিজি এবং ইকোকার্ডিওগ্রাম সহ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
রোববার সকালে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন চিকিৎসকদের একটি দল। অস্কারজয়ী এই সঙ্গীত পরিচালকের এনজিওগ্রাফিও করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে রহমানকে।
সম্প্রতি, রহমানের সাবেক স্ত্রী সায়রা জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল। যদিও তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে তবুও তার খারাপ সময় সাবেক স্ত্রীর পাশে ছিলেন রহমান। বিচ্ছেদের সময় একসঙ্গে ৩০ বছর পার করতে না পারার ব্যাপারেও দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন এ আর রহমান।
জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি কাজ নিয়ে যেমন চর্চায় থাকেন, তেমন তার ব্যক্তিজীবন নিয়েও ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই। তবে মূলত তার ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্য আলোচনা-সমালোচনা দুই ই হয়। নায়িকা নিজেও সমানতালে অ্যাক্টিভ থাকেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নেটিজেনদেরও বরাবরই সরব দেখা যায় কমেন্টবক্সে।
রাজ-পরী / ছবি: সংগৃহীত
আবারও তেমনভাবে আলোচনায় এলেন পরীমনি। তার এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট আগুনের মতো ভাইরাল হচ্ছে। পরী পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আজ এখন যাকে নিয়ে তোমার সুখ খুঁজে পাচ্ছো। দেখো, সে যেন তোমার দুঃখের কারণ না হয়। সোনা!’
ভক্তদের ধারণা, সাবেক স্বামী শরীফুল রাজকে খোঁচা মেরেই এই পোস্ট করেছেন তিনি। এই পোস্টের কমেন্টে ভক্তদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন, ‘পরী রাজকে ভুলতে না পেরে এমন পোস্ট করেছে।’ আরেকজনের মন্তব্য করেছেন, ‘রাজকে মিস করে কষ্ট না পেয়ে, নিজে নিজেকে ভালোবাসুন।’
পরী মণি / ছবি: ফেসবুক
প্রসঙ্গত রাজ-পরীর বিচ্ছেদের আড়াই বছর চলেছে। ‘গুণিন’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে প্রণয় এবং সেই থেকে পরিণয় হয়েছিল সাবেক এই তারকা জুটির। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর তাদের বিয়ে হয় এবং বছর দুই না গড়াতেই ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আলাদা হয়ে যান তারা। সংসারজীবনে একমাত্র পুত্র সন্তান পুণ্যের জন্ম হয়, যে এখন পরীর কাছেই আছে।
নানা সমালোচনার মধ্য দিয়ে বিচ্ছেদের হয় তাদের। অন্যান্য সহ অভিনেত্রীদের সঙ্গে রাজের নাম জুড়ে কাদা ছেটায় পরী। বিচ্ছেদের পর রাজকে ঘৃণা করার কথা প্রকাশ্যেই উল্লেখ করেন পরী, তবে বিবাহিত অবস্থায় রাজের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসাও প্রকাশ পেত। ভক্তদের মতে, তাই হয়তো সন্তানের বাবাকে নিজের জীবন থেকে একেবারে মুছে ফেলতে পারছেন না পরী।
ছেলে পুণ্য এবং মেয়ের সাথে পরী / ছবি: ফেসবুক
বিচ্ছেদের পর এক কন্যা সন্তানকের দত্তক নিয়েছেন পরী। ছেলে মেয়েকে নিয়ে একাই থাকছেন নায়িকা। তবে বেশ কিছুদিন ধরে তরুণ গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে বন্ধুত্বের রসায়নও ভক্তদের নজর এড়ায়নি।
ক্রাচে ভর করে হৃতিকের খুঁড়িয়ে হাঁটার দৃশ্য ভাইরাল
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
মুম্বাইয়ের রাস্তায় ক্রাচে ভর করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা গেছে বলিউড সুপারস্টার হৃতিক রোশনকে
বিনোদন
মুম্বাইয়ের রাস্তায় ক্রাচে ভর করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা গেছে বলিউড সুপারস্টার হৃতিক রোশনকে। তাকে এভাবে দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনুরাগীরা।
জানা গেছে, পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায়ের বাবা দেব মুখার্জির শেষকৃত্যে শুক্রবার জুহুর পবনহংস শ্মশানে যোগ দিয়েছিলেন হৃতিক রোশন। পরনে ছিলো সাদামাটা পোশাক। চোখে রোদচশমা। হাতে ক্রাচ নিয়ে ধীরে ধীরে খুড়িয়ে হাঁটছেন অভিনেতা। সেই ক্যামেরাবন্দি দৃশ্য পাপারাজ্জিদের সুবাদে বর্তমানে নেটপাড়ায় ভাইরাল। যা দেখে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন অনুরাগীরা।
মুম্বাইয়ের রাস্তায় ক্রাচে ভর করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা গেছে বলিউড সুপারস্টার হৃতিক রোশনকে
কীভাবে এমন পরিস্থিতির শিকার হৃতিক? বলিউড সংবাদমাধ্যম বলছে, ‘ওয়ার ২’ ছবিতে অ্যাকশন দৃশ্যের মহড়া করতে গিয়ে বিপত্তি বাধে। হাঁটুতে মারাত্মক চোট পেয়েছেন বলিউডের ‘গ্রীক গড’। চিকিৎসকরা আপাতত শুটিং থেকে বিরতি নিয়ে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন হৃতিককে। হাঁটাচলা করাও বারণ তার।
হৃতিক রোশনের ম্যানেজার খবরটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ‘হাঁটুতে ভীষণ চোট পেয়েছেন অভিনেতা। শুটিং করতে গিয়ে নয়, বরং ‘ওয়ার ২’ ছবির অ্যাকশন দৃশ্যের মহড়া করতে গিয়ে এমনটা হয়েছে। চিকিৎসক আপাতত কিছু দিন বিশ্রামে থেকে তার পর শুটিংয়ে যোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাকে।’
‘ওয়ার ২’ ছবিতে অ্যাকশন দৃশ্যের মহড়া করতে গিয়ে হাঁটুতে মারাত্মক চোট পেয়েছেন হৃতিক রোশন
প্রসঙ্গত, অয়ন মুখার্জি আপাতত হৃতিককে নিয়ে ‘ওয়ার ২’ ছবির পরিচালনায় ব্যস্ত। তার মাঝেই বাবাকে হারিয়েছেন। তাই শারীরিক পরিস্থিতি ঠিক না থাকলেও শুক্রবার পরিচালকের বাবার শেষকৃত্যে যোগ দিতে ছুটে গিয়েছিলেন হৃতিক রোশন।
যার কনসার্টকে ঘিরে দর্শকদের উৎসব নামে সেই রকস্টার জেমস এবার যুক্তরাষ্ট্র মাতাতে যাচ্ছেন। আগামী ১৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ‘চ্যাপ্টার টু : জেমস লাইভ ইন ডালাস’—শীর্ষক এক কনসার্টে অংশ নেবেন তিনি।
জানা গেছে, আয়োজনের বিশালতায় বাংলাদেশি কোনো ব্যান্ড ও সংগীত তারকার জন্য এটি নতুন ইতিহাস হতে যাচ্ছে। আর সেই ইতিহাসের অংশ হতে পারেন নগরবাউল।
রকস্টার জেমস
ইতোমধ্যে অনলাইনে কনসার্টটির টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভেন্যুটিকে আটটি ধাপে ভাগ করে টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে সর্বনিম্ন ৪৯ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ ডলার পর্যন্ত মূল্যের টিকিট পাওয়া যাবে। বর্তমানে আর্লি বার্ড টিকিটের ওপর বিশেষ ছাড় চলছে, যা পাওয়া যাচ্ছে ticketfuse.com-এ।
কনসার্টের আয়োজকদের একজন সাজ্জাদুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, ডালাসে এর আগে এত বড় ভেন্যুতে কোনো বাংলাদেশি ব্যান্ড পারফর্ম করেনি। এটি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক আয়োজন হতে যাচ্ছে।
রকস্টার জেমস
এবার নগর বাউল ব্যান্ডসংগীতে যারা থাকছেন ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস (ভোকাল), আহসান এলাহি ফ্যান্টি (ড্রামস), সুলতান রায়হান খান (গিটার), তালুকদার সাব্বির (বেজ গিটার)।
এর আগে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরে ১০টি কনসার্টে গাওয়ার কথা ছিল নগরবাউলের।
রকস্টার জেমস
কিন্তু দলটির জনপ্রিয়তা এতই বেশি যে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের আগ্রহে ২৫টি শোতে পারফর্ম করতে হয়েছিল জেমস ও তার দলকে। এবারের সফরেও এমনটি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।ৃ
কবীর সুমন একজন কিংবদন্তির নাম। তিনি একাধারে একজন বাঙালি গায়ক, গীতিকার, অভিনেতা, বেতার সাংবাদিক, গদ্যকার এবং রাজনীতিবিদ। তার আরো একটি পরিচয় হলো তিনি যোদ্ধা। তিনি যুদ্ধ করছেন শ্রেণিবৈষম্য, অপসংস্কৃতি, শুদ্ধ গানের চর্চা আর মনুষ্যত্ব টিকিয়ে রাখার আহ্বান নিয়ে। এই মহান শিল্পীর জন্মদিন আজ।
সময়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে ৭৬ বছরে পা দিয়েছেন তিনি। ভক্তদের ভালোবাসা আর শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে দিনটি পার করছেন কবির সুমন।
কবীর সুমন
১৯৪৬ সালের ১৬ মার্চ ভারতের ওড়িশায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পূর্ব নাম সুমন চট্টোপাধ্যায়। পিতা সুধীন্দ্রনাথ এবং মাতা উমা চট্টোপাধ্যায়। ২০০০ সালে বাংলাদেশের আরেক কিংবদন্তি গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিনকে বিয়ে করেন কবীর সুমন। সে সময় ধর্মান্তরিত হয়ে নিজের নাম রাখেন কবীর সুমন।
মূলত আধুনিক ও রবীন্দ্রসংগীতই বেশি গেয়েছেন এই গুণী শিল্পী। সুমন যে সবার থেকে আলাদা, তা বুঝতে হলে শ্রোতাদের সংগীত-বোদ্ধা হতে হয় না। সাধারণত নিজের গান নিজেই লেখেন, নিজেই সুর করেন।
কবীর সুমন
শিল্পীজীবনের প্রথম পর্যায়ে সুমন ‘নাগরিক’ নামের কলকাতার একটি ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে সুমন নিজেই একটা ব্যান্ড খোলেন, নাম দিলেন ‘সুমন দ্য ওয়ান ম্যান ব্যান্ড’। সুমনই সুমনের ব্যান্ডের একজন এবং একমাত্র সদস্য।
তার কনসার্টে অন্য কোনো যন্ত্রশিল্পীর প্রয়োজন পড়ে না। একই সঙ্গে গিটার, হারমোনিকা, কিবোর্ড বাজিয়ে নিজেই নিজের গান করেন।
কবীর সুমন
১৯৯২ সালে ‘তোমাকে চাই’ অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি বাংলা গানে এক নতুন ধারার প্রবর্তন করেন। তার স্বরচিত গানের অ্যালবামের সংখ্যা পনেরো। সংগীত রচনা, সুরারোপ, সংগীতায়োজন ও কণ্ঠদানের পাশাপাশি গদ্যরচনা ও অভিনয় ক্ষেত্রেও তিনি স্বকীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি একাধিক প্রবন্ধ, উপন্যাস ও ছোটগল্পের রচয়িতা এবং হারবার্ট ও চতুরঙ্গ প্রভৃতি মননশীল ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের রূপদানকারী।
প্রথম জীবনে রেডিও জার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন ডয়েচে ভেলে-তে, কাজ করেছেন অল ইন্ডিয়া রেডিওতে। কেরানি ছিলেন ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায়। বন্ধু অঞ্জন দত্তের অনুরোধে অভিনয় করেছেন ‘রঞ্জনা আমি আর আসবো না’সহ কিছু ভারতীয় বাংলা সিনেমায়। সৃজিতের ‘জাতিস্মর’ সিনেমায়ও মিলেছে সুমনের উপস্থিতি।
কবীর সুমন
কবীর সুমনের সৃষ্ট গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে দুনিয়াটা, গানওয়ালা, তোমাকে চাই, তুমি ছিলে, হাল ছেড়ো না বন্ধু, অভিবাদন, খোদার কসম জান, জাতিস্মর ইত্যাদি।
যেখানে অন্যায়, সেখানেই সুমনের প্রতিবাদ। রাজনীতিতে নাকি দলই সবার ওপরে। কিন্তু নিজের দলকেও সুমন রেহাই দেননি। মানুষ হিসেবে তিনি আগাগোড়া অসাম্প্রদায়িক। লালন সাঁই তার আত্মার মন্দিরে থাকেন।