জামিন পেয়েছেন নব্বইয়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী কায়সার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সারের নামে হত্যাচেষ্টায় মামলা হয়। সাবেক সরকার পতনের পর অভিনেত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আটক করা হয়। দীর্ঘদিন পুলিশি হেফাজতে ছিলেন তিনি।
১২ মার্চ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় করা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার জামিন পেয়েছেন। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠিত হয়েছিল। তার জামিন প্রশ্নে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে আজ বুধবার এ রায় দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
আদালতে শমী কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আনিসুল হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব ও জিসান হায়দার।
শমী কায়সার / ছবি: সংগৃহীত
২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে উত্তরার ৪নং সেক্টরের ৬নং রোডের ৫৩নং বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। এরপর ৯ নভেম্বর শমী কায়সারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠান আদালত।
বিজ্ঞাপন
গত বছরেরই ১২ ডিসেম্বর শমী কায়সারকে ৩ মাসের জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার জামিন স্থগিত করে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
‘তুমি যাকে ভালোবাসো’ নাটকের দৃশ্যে কেয়া পায়েল ও কিঙ্কর আহসান
বিনোদন
লেখক হিসেবে তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন কিঙ্কর আহসান। তবে এবার তিনি আসছেন ভিন্ন পরিচয়ে। কিঙ্কর ভক্তদের জন্য সুখবর, এবারের ঈদে এই লেখক হাজির হচ্ছেন নায়ক হিসেবে! তাও নিজের লেখা গল্পে।
তবে সিনেমা নয়, নাটকে। সদ্য নির্মিত ঈদের বিশেষ এই নাটকের নাম ‘তুমি যাকে ভালোবাসো’। বানিয়েছেন আবুল খায়ের চাঁদ। কিঙ্করের গল্পে চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন আহনাফ তাহমিদ খান আর সংলাপ লিখেছেন অপূর্ণ রুবেল। এতে কিঙ্কর আহসানের সঙ্গে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সময়ের দুই জনপ্রিয় তারকা ফারহান আহমেদ জোভান ও কেয়া পায়েল।
‘তুমি যাকে ভালোবাসো’ নাটকের দৃশ্যে জোভান ও কেয়া পায়েল
নাটকটির গল্প ও অভিনয় প্রসঙ্গে কিঙ্কর আহসান বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে প্রযোজক পাপ্পু ভাই আমাকে গল্প বলার ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিনেমাটোগ্রাফার রাজু রাজ-এর সাথে মিলে পরিচালক আবুল খায়ের চাঁদ এমন দারুণভাবে গল্পটি ভিজ্যুয়াল করেছেন, যা দেখে মনে হচ্ছে তারা রংতুলি দিয়ে আমার গল্পটার ছবি এঁকেছেন। জোভান আর কেয়া পায়েলের সহযোগিতার কারণে আমার অভিনয়টা সহজ হয়েছে। তাদের কাছে আমার অনেক ঋণ।’
এই লেখক-অভিনেতা জানান, ‘তুমি যাকে ভালোবাসো’ মূলত ত্রিভুজ প্রেমের একটা গল্প। যেখানে বিরহ আবেগ রোমাঞ্চ সবই থাকছে। রয়েছে গল্পের ভেতরে নানান বাঁক।
‘তুমি যাকে ভালোবাসো’ নাটকের দৃশ্যে কিঙ্কর আহসান
প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, আসছে ঈদ উৎসবে সিএমভি’র ব্যানারে প্রকাশ হবে ২০টি বিশেষ কনটেন্ট। চাঁদ রাত থেকে ‘তুমি যাকে ভালোবাসো’সহ বাকি কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে উন্মুক্ত হতে থাকবে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে।
পর পর তিন অভিনেত্রীর সঙ্গে ব্রেকাপ, গুরুতর অভিযোগ সায়ন্তের বিরুদ্ধে
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
কিরণ মজুমদার, সায়ন্ত মোদক ও দেবচন্দ্রিমা সিংহ
বিনোদন
তৃতীয় বার প্রেম ভেঙেছে ছোট পর্দার চেনামুখ সায়ন্ত মোদকের। টেলিপাড়া হয়তো জানতেই পারত না, যদি না সায়ন্ত তার সদ্যবিচ্ছিন্ন প্রেমিকা কিরণ মজুমদারের সঙ্গে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও করা বন্ধ করে দিতেন। সম্পর্কে থাকাকালীন সায়ন-কিরণ একসঙ্গে ভিডিও তৈরি করতেন। নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে সে সব প্রকাশ করতেন। ইদানীং তাদের এক ফ্রেমে দেখতে না পেয়ে প্রথম টনক নড়ে দর্শকের। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ার মন্তব্য-বাক্সে সায়ন্তের কাছে বিষয়টি জানতে চান। অভিনেতা বিচ্ছেদের খবর শোনালে অকারণে কিছু ইেঁ নাগরিক অশালীন মন্তব্য করতে থাকেন কিরণকে।
একটা সময়ের পর চুপ থাকেননি কিরণও। তিনিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও বার্তায় ক্ষোভ উগরে দেন সায়ন্তের বিরুদ্ধে। তার অভিযোগ একাধিক। তাকে নাকি আলাদা ভিডিও করতে দিতেন না অভিনেতা। সঙ্গে মানসিক অত্যাচার তো ছিলই। পাশাপাশি, কিরণের টাকায় দামি জিনিস কিনতেন সায়ন্ত। তারপর আচমকাই যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। অভিনেতার এমন আচরণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন কিরণ। নিজেকে সামলে ওঠার আগেই নেটাগরিকদের অকারণ হেনস্থার শিকার!
কিরণ মজুমদার ও সায়ন্ত মোদক
কিরণের এই ভিডিও বার্তায় নেট নাগরিকেরা দ্বিধাবিভক্ত। অনেকেই সহানুভূতি দেখিয়েছেন মডেল-অভিনেত্রীকেও। সেই সমর্থন আরও বাড়ে সায়ন্তের প্রথম প্রেম দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়ের একটি মন্তব্যে। তিনি কিরণের ভিডিও বার্তার নীচে লেখেন, ‘আমি তোমাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না, তোমার পুরো ভিডিওটা দেখলাম। সেই ভিডিওতে আমি কিরণ মজুমদারকে নয়, ২০২১-এর দেবচন্দ্রিমাকে দেখতে পেলাম। আমি দুঃখিত, এই ভিডিওটা আমারও তখন করা উচিত ছিল। কথায় বলে, পাপ বাপকেও ছাড়ে না! তবে এখানে শুধু বাপকে নয়, মাকেও যেন না ছাড়ে।’
এখানেই থামেননি দেবচন্দ্রিমা। তিনি কিরণকে সাহস জোগান সহযোগিতার। আশ্বাস দেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে পাশে থাকবেন তার। লেখেন, ‘ভয় পেও না। তোমার বড় দিদি তোমার পাশে। ফোন নম্বর দাও। আমি এখন কলকাতাতেই। তোমার কি গায়ে হাত তোলা হয়েছে? তা হলে জানাও।’
প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন সায়ন্তকেও। লেখেন, যদি কিরণের অভিযোগ সত্যি হয় তা হলে তিনি অভিনেতাকে গুঁড়িয়ে দেবেন!
দেবচন্দ্রিমা সিংহ, সায়ন্ত মোদক ও কিরণ মজুমদার
দেবচন্দ্রিমা, কিরণের মাঝে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা মিত্রের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সায়ন্ত। বিচ্ছেদের পর প্রিয়াঙ্কা ফেলে আসা সম্পর্ককে ‘অসুস্থ’ তকমা দিয়েছিলেন। তা হলে কি তিন জনে একইভাবে সায়ন্তের নিগ্রহের শিকার? সবিস্তার জানতে কলকাতার গণমাধ্যম আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করে দেবচন্দ্রিমা, প্রিয়াঙ্কা, কিরণের সঙ্গে। একাধিক বার ফোন করলেও তারা সাড়া দেননি।
তবে কথা বলেছেন সায়ন্ত। শুটিংয়ের ফাঁকে ফোনে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন কিরণের সঙ্গে তার প্রেম ভাঙার কথা। অতি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বাগ্বিতণ্ডার কথাও। বলেছেন, ‘তিন বার প্রেমের কথা জানিয়েছি, তিন বার বিচ্ছেদের কথাও। খুব স্বাভাবিক, লোকে আমার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলবে। তা বলে মোটেও মারধর করিনি যে এভাবে আমার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করা হবে।’ বাস্তবে যে অভিযোগের আঙুল উঠেছে প্রাক্তন প্রেমিকার দিকে তা একেবারেই কাম্য নয়, দাবি অভিনেতার। জানাতে ভোলেননি, মতের মিল হচ্ছিল না বলেই আলাদা হয়েছেন তারা। মতের মিল থাকলে বিচ্ছেদের প্রশ্নই উঠত না।
দেবচন্দ্রিমা সিংহ’র পর প্রিয়াঙ্কা মিত্র, এরপর কিরণ মজুমদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান সায়ন্ত মোদক
বার বার তিন বার প্রেম ভাঙল তার। বিষয়টি কি আর ততটাও সহজ-সরল রইল? প্রশ্নের জবাবে সায়ন্ত বললেন, ‘এ কথা অনেকেই বলছেন। তাদের পরামর্শ, বার বার প্রেম ভাঙলে মনের উপরে চাপ এবং ছাপ— দুটোই পড়ে। আমারও মানুষকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। ঠিক করেছি, প্রেম-সম্পর্ক থেকে দূরেই থাকব। আরও বেশি করে মনে দেব কাজে। তাতে যদি শান্তি পাই। কথা বলতে চেষ্টা করবো কিরণের সঙ্গেও। যাতে বিচ্ছেদও মধুর হয়।’
তমা মির্জা, ইয়ামিন হক ববি, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শ্রাবণ্য তৌহিদা
বিনোদন
মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার ৮ বছর বয়সী শিশু আছিয়া মারা গেছে। আজ (১৩ মার্চ) দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে শিশুটি। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নারীদের নিরাপত্তা এবং ধর্ষকের বিচার নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছেন অনেকেই। দেশের অনেক নারী তারকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে আহাজারি প্রকাশ করেছে। যা তাদের ভক্তদেরও ব্যথিত করেছে।
দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা যারপরনােই ব্যথিত। সৃষ্টিকর্তার কৃপা যেন উঠেই এ দেশ থেকে এমনই অনুভব হচ্ছে এই তারকা। তিনি লিখেছেন,‘ঈশ্বর অনেক আগেই
এই জায়গা ছেড়ে চলে গেছেন।’
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জা লিখেছেন, ‘আল্লাহ, শোনেন পশু ধরে রেখে দেয় না, মেরে ফেলে। আবর্জনা পরিষ্কার করে ফেলতে হয়, রেখে দিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে হয় না। দশ/বিশজন পশুরূপী অমানুষ না থাকলে আমাদের দেশের জনসংখ্যা কমবে না। ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে? হয় সাথে সাথে মারেন, না পারলে সাধারণ জনগণের কাছে দিয়ে দেন, কিন্তু বাঁচিয়ে রেখেন না।’
দুই বাংলার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া লিখেছেন, ‘আসিয়া ’ইয়ামিন হক ববি
জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি লিখেছেন, ‘মাগুরায় নির্যাতিত শিশু আছিয়া আর নেই! ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আমরা বাকরূদ্ধ ও বিক্ষুব্ধ! আমরা আছিয়ার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী ও লজ্জিত! দ্রুততম সময়ের মধ্যে আছিয়ার ধর্ষকদের, আছিয়ার খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। আছিয়া ধর্ষকদের ১ সেকেন্ড ও বেঁচে থাকার আধিকার নাই …’
অভিনেত্রী গোলাম ফরিদা ছন্দা খবরটি যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না। তিনি লিখেছেন, ‘তবে কি সত্যিই আসিয়া আর নেই?’
মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেত্রী সুষমা সরকার লিখেছেন, ‘আছিয়া, ক্ষমা করে দিও’
প্রসঙ্গত, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি। পরের দিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সুষমা সরকার
এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গেল শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রোববার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেয়া হয়। ধর্ষণের ওই ঘটনায় শিশুটির বোনের শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, দুলাভাই ও দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে চার আসামিকে হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
তিন দশক ধরে বলিউডে রাজত্ব করছেন তিন খান। শাহরুখ, সালমান ও আমির প্রত্যেক খানের আকাশসমান জনপ্রিয়তা। প্রত্যেককে ঘিরে ভক্তদের উন্মাদনা তুঙ্গে। এখনও বলিউডের তিন স্তম্ভ হিসেবেই ধরা হয় তাদের।
তবে তিন খানকে একসঙ্গে কখনো সিনেমার পর্দায় দেখা যায়নি। এই তিন মহারথীকে একসঙ্গে পর্দায় দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান দর্শক। আর সেই আশা কবে পুরণ হবে তা হয়তো জানা নেই। তবে তিন খান একসঙ্গে বসলেই সেই আশা নতুন করে জাগে ভক্তদের মনে। যেমনটা সদ্যই এমন আশার আলো দেখা গেল আমির খানের বাড়িতে।
আগামী ১৪ মার্চ আমির খানের জন্মদিন। তার আগেই তার বাড়িতে হাজির হলেন দুই বন্ধু শাহরুখ খান ও সালমান খান। আমির খানের ৬০তম জন্মদিনের আগে তার বাড়িতে অন্য দুই খানের উপস্থিতি নতুন করে আশা জাগাচ্ছে ভক্তদের।
এক ফ্রেমে শাহরুখ, সালমান ও আমির খান
তবে কি কোনো সিনেমায় এক হতে চলেছেন তারা? এমন কোনো তথ্য এখনও জানা যায়নি যদিও। তবে জানা গেছে, জন্মদিন উদযাপন করতেই হাজির হয়েছেন দুই খান। আর সেই জন্মদিনের পার্টির একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে যা সাড়া ফেলেছে ভক্তদের মাঝে।
ভিডিওতে দেখা যায়, আমির খানের বাড়ির লিফট থেকে নামছেন দুই তারকা। সালমানকে দেখা গেছে সাদা শার্টে। আমিরের গায়ে গ্রে রঙের টি-শার্ট। বন্ধুকে গাড়ি অবধি ছাড়তে আসেন আমির। এরপর দেখা যায় শাহরুখ খানকে। যদিও নিজেকে এবারও হুডি আর ছাতা দিয়ে আড়াল করে রেখেছিলেন কিং খান।
সিনেমার পর্দায় তো নয়ই, তিন খানকে একসঙ্গেও খুব একটা দেখা যায় না। এর আগে ৩ জনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের প্রি ওয়েডিং অনুষ্ঠানে। ‘নাটু নাটু’ গানে নাচও করেছিলেন তারা। কিছু অনুষ্ঠানেও তিন খানকে একসঙ্গে দেখার সুযোগ হয়েছে দর্শকের।
উঠতি বয়সে সালমান, আমির ও শাহরুখ
আমিরকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘৩ জনের একসঙ্গে অভিনয় করার কথা আমিই বলেছিলাম। শাহরুখ ও সালমানকে বলি, আমরা তিন জন একসঙ্গে একটা ছবি না করলে খুব খারাপ হবে। ওরাও আমার সঙ্গে সহমত হয়েছিল।’ সঙ্গে আরও বলেছিলেন, ‘তবে হ্যাঁ আমাদের ৩জনকে একসঙ্গে আনতে ভালো গল্পের প্রয়োজন। ভালো চিত্রনাট্য দরকার।’
বর্তমানে নিজের আসন্ন সিনেমা ‘সিতারে জামিন পর’ নিয়ে ব্যস্ত আমির খান। এর মাধ্যমে ৩ বছর পর পর্দায় ফিরছেন অভিনেতা।
অন্যদিকে, ‘ডানকি’র পর শাহরুখ খানকে দেখা যাবে সুজয় ঘোষের ‘কিং’-এ। আর সালমান খান ঈদে আসছেন ‘সিকান্দার’ সিনেমা নিয়ে।