‘তুমি যাকে ভালোবাসো’ নাটকের দৃশ্যে কেয়া পায়েল ও কিঙ্কর আহসান
বিনোদন
লেখক হিসেবে তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন কিঙ্কর আহসান। তবে এবার তিনি আসছেন ভিন্ন পরিচয়ে। কিঙ্কর ভক্তদের জন্য সুখবর, এবারের ঈদে এই লেখক হাজির হচ্ছেন নায়ক হিসেবে! তাও নিজের লেখা গল্পে।
তবে সিনেমা নয়, নাটকে। সদ্য নির্মিত ঈদের বিশেষ এই নাটকের নাম ‘তুমি যাকে ভালোবাসো’। বানিয়েছেন আবুল খায়ের চাঁদ। কিঙ্করের গল্পে চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন আহনাফ তাহমিদ খান আর সংলাপ লিখেছেন অপূর্ণ রুবেল। এতে কিঙ্কর আহসানের সঙ্গে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সময়ের দুই জনপ্রিয় তারকা ফারহান আহমেদ জোভান ও কেয়া পায়েল।
বিজ্ঞাপন
‘তুমি যাকে ভালোবাসো’ নাটকের দৃশ্যে জোভান ও কেয়া পায়েল
নাটকটির গল্প ও অভিনয় প্রসঙ্গে কিঙ্কর আহসান বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে প্রযোজক পাপ্পু ভাই আমাকে গল্প বলার ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিনেমাটোগ্রাফার রাজু রাজ-এর সাথে মিলে পরিচালক আবুল খায়ের চাঁদ এমন দারুণভাবে গল্পটি ভিজ্যুয়াল করেছেন, যা দেখে মনে হচ্ছে তারা রংতুলি দিয়ে আমার গল্পটার ছবি এঁকেছেন। জোভান আর কেয়া পায়েলের সহযোগিতার কারণে আমার অভিনয়টা সহজ হয়েছে। তাদের কাছে আমার অনেক ঋণ।’
এই লেখক-অভিনেতা জানান, ‘তুমি যাকে ভালোবাসো’ মূলত ত্রিভুজ প্রেমের একটা গল্প। যেখানে বিরহ আবেগ রোমাঞ্চ সবই থাকছে। রয়েছে গল্পের ভেতরে নানান বাঁক।
বিজ্ঞাপন
‘তুমি যাকে ভালোবাসো’ নাটকের দৃশ্যে কিঙ্কর আহসান
প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, আসছে ঈদ উৎসবে সিএমভি’র ব্যানারে প্রকাশ হবে ২০টি বিশেষ কনটেন্ট। চাঁদ রাত থেকে ‘তুমি যাকে ভালোবাসো’সহ বাকি কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে উন্মুক্ত হতে থাকবে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে।
সব সময়ই নিজের কাজ আর অভিনয় দিয়ে চমকে দেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। কখনো বাংলাদেশ, কখনো ভারতে- জয়ার প্রশংসা সর্বত্র। দিনে দিনে নিজেকেই ছাপিয়ে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকটায় টেলিভিশন নাটকের ভীষণ জনপ্রিয় মুখ ছিলেন। তবে তিনি যে অভিনয়ে কতটা পারদর্শী, সেই নজির স্থাপন করেছেন বড় পর্দায়। এবার সেই জয়াকে অন্যরূপে দেখতে চলেছেন ভক্তরা।
প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে (মূখ্য চরিত্রে, এর আগে তিনি দু-একটি সিরিজে অতিথি চরিত্রে কাজ করেছেন) অভিনয় করেছেন দুই বাংলার নন্দিত এই অভিনেত্রী। তার প্রথম সিরিজটির নাম ‘জিম্মি’। পবিত্র ঈদুল ফিতরে হইচইতে মুক্তি পাচ্ছে সিরিজটি। দর্শকের জন্য আরও আস্থার জায়গা হলো, সিরিজটি নির্মাণ করেছেন আশফাক নিপুন। যিনি সাম্প্রতিক সময়ে ওটিটিতে দুর্দান্ত সব কাজ উপহার দিয়ে দর্শকের মনে আলাদাভাবে জায়গা করে নিয়েছেন। আসছে ২৮ মার্চ সিরিজটি মুক্তি পাবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে হইচই। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুখ্য চরিত্রে এটিই জয়া আহসানের প্রথম কোনো ওয়েব সিরিজ।
‘জিম্মি’ ওয়েব সিরিজের দৃশ্যে জয়া আহসান
‘জিম্মি’ সিরিজে কেন অভিনয় করেছেন? এমন প্রশ্নে জয়া আহসান বলেন, ‘‘আমি নতুন কোনো কাজ করার আগে তিনটা বিষয় সব সময় খেয়াল করি। সেটা হলো- গল্প, চরিত্র ও পরিচালক। ‘জিম্মি’র ক্ষেত্রে এগুলো সব মনমতো মিলে গিয়েছিল। সেই সঙ্গে আমার ওয়েব সিরিজের শুরুটা করছি হইচই-এর সাথে, মুক্তি পাবে ঈদে- সব মিলিয়ে আমার জন্য বিষয়টা বেশ রোমাঞ্চকর।’’
‘মহানগর’খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুন বলেন, ‘‘আমি ‘জিম্মি’তে নতুন রকমের গল্প বলার চেষ্টা করেছি। এই সিরিজে সামাজিক বাস্তবতা, মানবিক অনুভূতি ও বিনোদনের মেলবন্ধন রয়েছে। এইটুকু বলতে পারি, দর্শক অবশ্যই নতুন কিছু উপভোগ করবে।’’
জয়া আহসানের সঙ্গে প্রথম কাজ, সেই অভিজ্ঞতা কেমন ছিল জানতে চাইলে নিপুন বলেন, ‘জয়া আহসান দারুণ ও পরীক্ষিত একজন অভিনেত্রী। গল্পের প্রয়োজনে আমরা এমন একজন অভিনয়শিল্পী চেয়েছিলাম, যার অভিব্যক্তি ও অভিনয়গুণে চরিত্রটি জীবন্ত হয়ে উঠবে। তিনি আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছেন।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন
এর আগে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই থেকে ‘জিম্মি’র একটি প্রাথমিক গল্প জানানো হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। এটা পরিষ্কার যে ‘জিম্মি’তে একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্রে হাজির হচ্ছেন অভিনেত্রী। গল্পে দেখা যাবে সরকারি নিম্নপদস্থ কর্মচারী। এক দশক ধরে তার কপালে জোটেনি কোনো প্রমোশন। স্বামী-স্ত্রীর টানাটানির সংসার। তবু তিনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী। একদিন অফিসের স্টোররুমে বড় অঙ্কের টাকার বাক্স পান ওই নারী। এরপরই তার জীবনে শুরু হয় নতুন টানাপোড়েন। জয়ার পরিণতি কী হয় তা দেখতে হলে সিরিজটির মুক্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে দর্শকদের। তবে জয়ার পাশাপাশি সিরিজের অন্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নাম এখনো জানায়নি হইচই কিংবা পরিচালক আশফাক নিপুণ।
জয়া আহসান
দেশীয় নাটকে সিন্ডিকেট নতুন কিছু নয়। প্রতিষ্ঠিত অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে গুটিকয়েক শিল্পী রয়েছেন যারা তাদের গন্ডির বাইরে কারও সঙ্গে অভিনয় করতে চান না। এরমধ্যে যেমন নায়ক রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন নায়িকাও। নির্মাতারা নায়ক কিংবা নায়িকা যে কোনো একজনকে নিলে নিজেরাই জুটি হিসাবে কাকে নিতে হবে সেটা ঠিক করে দেন।
সিন্ডিকেটের বিষয় নিয়ে নানা সময় অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই বিভিন্ন কথা বলেছে। এবার ছোট পর্দার নায়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুললেন অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা। তিনি অভিযোগ করেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নাটকের সবকিছু নায়কদের সিদ্ধান্তেই হচ্ছে। এমনকি তিনিও শিডিউলের জন্য পরিচালক নয়, নায়কদের কাছ থেকে ফোন পান।
তাসনুভা তিশা । ছবি: ফেসবুক
তাসনুভা তিশা বলেন, ‘মেকআপ আর্টিস্ট, ডিওপি, লাইটে কাকে নিবে, শুটিং কোথায় হবে, গল্প কী হবে, মায়ের চরিত্রে কে অভিনয় করবেন, বাবার চরিত্রে কে থাকবেন—নাটকের সবকিছু নায়কেরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বা ঠিক করে দিচ্ছে। এটা তো তাদের কাজ না, পরিচালকের কাজ। গল্পের চরিত্রের প্রয়োজনে যাকে ভালো মনে করবেন, তাকেই পরিচালক ডাক দেবেন। কিন্তু আমাকে কলটা দিচ্ছেন নায়কেরা।’
এই অভিনেত্রী মনে করেন, নায়কদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলেই তারা স্বেচ্ছাচারিতা করার সুযোগ পাচ্ছেন। তিশা বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে এমন হচ্ছে, কারণ তাদের কাছে সেই ক্ষমতাটা দেওয়া হয়েছে। এটা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঠিকভাবে কাজ করতে পারব না।’
তাসনুভা তিশা । ছবি: ফেসবুক
ইন্ডাস্ট্রির এমন অবস্থায় ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত এই অভিনেত্রী। তিশা বলেন, ‘এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে কাজ করা কষ্টকর হয়ে যাবে। প্রতিদিন আমার মনে হয় অন্য কিছু নিয়ে ভাবা উচিত। অন্য কোনো ক্যারিয়ার হয়তো বেছে নিতে হবে, এভাবে কাজ করা যায় না। যাদের ন্যূনতম আত্মসম্মানবোধ আছে, তাদের তো গায়ে লাগার কথা। আমার চাওয়া, পরিচালকই আমার শিডিউল নেবেন, তিনিই গল্প নির্বাচন করবেন। নায়ক কেন এসব বিষয়ে মাথা ঘামাবে। চিত্রনাট্যে যা লেখা আছে, সে সংলাপই বলা উচিত। গল্পের প্রয়োজনে পরিবর্তন করতে হলে সেটা আলোচনা করে করতে হবে। কেন নায়কের সিদ্ধান্তেই সব হবে! অভিনেত্রী হিসেবে এই বিষয়গুলো আমার আত্মসম্মানে আঘাত করে, মন খারাপ হয়।’
তাসনুভা তিশা । ছবি: ফেসবুক
আজ ৬০-এ পা দিলেন বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’খ্যাত অভিনেতা আমির খান। এই বয়সে এসেও আমির তার চাহিদা ধরে রেখেছেন সমানভাবে। তাইতো তার আসন্ন ছবি নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। নানামাত্রিক চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য প্রসিদ্ধ এই অভিনেতার রোমান্টিক রিলেশনশীপের গুঞ্জনও কম হয়নি। বলিউডের একাধিকি অভিনেত্রী থেকে শুরু করে দুটি বিয়ে, নতুন প্রেম- সবকিছু নিয়েই তিনি চর্চার বিষয়।
দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের আগেই গুঞ্জন উঠেছিল, পরকীয়ায় জড়িয়েছেন আমির খান। পাত্রী আর কেউ নন, তারই হাত ধরে ‘দঙ্গল’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখা ফাতিমা সানা শেখ। আমির-কিরণের বিচ্ছেদের জন্যও এই উঠতি অভিনেত্রীকে অনেকেই দায়ী করেছেন মনে মনে।
তবে সম্প্রতি গুঞ্জন ওঠে, নতুন প্রেমে মজেছেন আমির খান! শোনা যাচ্ছিল, বেঙ্গালুরুর এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। নাম গৌরী স্প্র্যাট। অবশেষে আজ নিজের ৬০তম জন্মদিনেই সেই প্রেমেই সিলমোহর দিলেন আমির। আর তাতে ফাতিমা সানা শেখের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনটি মিথ্যা প্রমাণিত হলো।
ফাতিমা সানা শেখ, আমির খান ও কিরণ রাও
মুম্বইয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জন্মদিন পালন করেন আমির। তখনই কথায় কথায় গৌরীর সঙ্গে প্রেমে সিলমোহর দেন আমির। গত এক বছর ধরে গৌরীর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন এই মেগাস্টার। তবে গৌরীর সঙ্গে তার দীর্ঘ ২৫ বছরের পরিচিতি। বর্তমানে আমিরের সংস্থাতেই কর্মরতা তার নতুন প্রেমিকা। এ দিন আমির স্পষ্ট জানিয়ে দেন, গৌরী ও তিনি লিভ টুগেদার করছেন।
ইতিমধ্যেই আমিরের পরিবারের সঙ্গে দেখা হয়ে গিয়েছে গৌরীর। সকলেই বিষয়টি নিয়ে খুব খুশি বলেও জানিয়েছেন। গৌরীর সঙ্গে সম্পর্কে খুশি আমির নিজেও। অভিনেতা নিজেই জানান, গৌরী তার অভিনীত খুব কম ছবিই দেখেছেন। যে ক’টি দেখেছেন তার মধ্যে রয়েছে ‘দঙ্গল’ ও ‘লাগান’। গৌরী নাকি আমিরকে ‘তারকা’ বলে মনেই করেন না। বলিউড নিয়ে তেমন অবগতও নন তিনি। ক্রমশ আমিরের সঙ্গে মিশে বলিউডে অভ্যস্ত হচ্ছেন তিনি। জানিয়েছেন আমির নিজেই।
আমির খানের নতুন প্রেমিকা গৌরী স্প্র্যাট
আমির জানিয়েছেন, তার প্রেমিকা অর্ধেক তামিল এবং অর্ধেক আইরিশ। গৌরীর দাদু স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে কেক কাটার সময় প্রেমিকাকে নিয়ে এমনই নানা তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন আমির।
কেক কাটার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমেও। তবে অনুরাগীদের চোখে পড়েছে একটি বিষয়। গত বছর জন্মদিনে কেক কাটার সময়ে পাশে ছিলেন প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও। নিজে হাতে কেক খাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এ বার তাকে দেখা যায়নি। গৌরী আমিরের জীবনে এসে গিয়েছেন বলেই কি অনুপস্থিত কিরণ?
আমির খান আজ ৬০-এ পা দিলেন। জন্মদিন উপলক্ষ্যে হুট করেই আমিরের বাড়িতে হাজির হন বলিউডের অন্য দুই খান সালমান ও শাহরুখ
২০২১-এ কিরণের সঙ্গে দাম্পত্যে ইতি টেনেছিলেন আমির। বিচ্ছেদ হলেও বন্ধুত্ব বজায় রেখেছেন আমির। আর এক প্রাক্তন স্ত্রী রিনা দত্তের সঙ্গেও সৌজন্য রেখেছেন তিনি।
পর পর তিন অভিনেত্রীর সঙ্গে ব্রেকাপ, গুরুতর অভিযোগ সায়ন্তের বিরুদ্ধে
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
কিরণ মজুমদার, সায়ন্ত মোদক ও দেবচন্দ্রিমা সিংহ
বিনোদন
তৃতীয় বার প্রেম ভেঙেছে ছোট পর্দার চেনামুখ সায়ন্ত মোদকের। টেলিপাড়া হয়তো জানতেই পারত না, যদি না সায়ন্ত তার সদ্যবিচ্ছিন্ন প্রেমিকা কিরণ মজুমদারের সঙ্গে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও করা বন্ধ করে দিতেন। সম্পর্কে থাকাকালীন সায়ন-কিরণ একসঙ্গে ভিডিও তৈরি করতেন। নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে সে সব প্রকাশ করতেন। ইদানীং তাদের এক ফ্রেমে দেখতে না পেয়ে প্রথম টনক নড়ে দর্শকের। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ার মন্তব্য-বাক্সে সায়ন্তের কাছে বিষয়টি জানতে চান। অভিনেতা বিচ্ছেদের খবর শোনালে অকারণে কিছু ইেঁ নাগরিক অশালীন মন্তব্য করতে থাকেন কিরণকে।
একটা সময়ের পর চুপ থাকেননি কিরণও। তিনিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও বার্তায় ক্ষোভ উগরে দেন সায়ন্তের বিরুদ্ধে। তার অভিযোগ একাধিক। তাকে নাকি আলাদা ভিডিও করতে দিতেন না অভিনেতা। সঙ্গে মানসিক অত্যাচার তো ছিলই। পাশাপাশি, কিরণের টাকায় দামি জিনিস কিনতেন সায়ন্ত। তারপর আচমকাই যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। অভিনেতার এমন আচরণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন কিরণ। নিজেকে সামলে ওঠার আগেই নেটাগরিকদের অকারণ হেনস্থার শিকার!
কিরণ মজুমদার ও সায়ন্ত মোদক
কিরণের এই ভিডিও বার্তায় নেট নাগরিকেরা দ্বিধাবিভক্ত। অনেকেই সহানুভূতি দেখিয়েছেন মডেল-অভিনেত্রীকেও। সেই সমর্থন আরও বাড়ে সায়ন্তের প্রথম প্রেম দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়ের একটি মন্তব্যে। তিনি কিরণের ভিডিও বার্তার নীচে লেখেন, ‘আমি তোমাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না, তোমার পুরো ভিডিওটা দেখলাম। সেই ভিডিওতে আমি কিরণ মজুমদারকে নয়, ২০২১-এর দেবচন্দ্রিমাকে দেখতে পেলাম। আমি দুঃখিত, এই ভিডিওটা আমারও তখন করা উচিত ছিল। কথায় বলে, পাপ বাপকেও ছাড়ে না! তবে এখানে শুধু বাপকে নয়, মাকেও যেন না ছাড়ে।’
এখানেই থামেননি দেবচন্দ্রিমা। তিনি কিরণকে সাহস জোগান সহযোগিতার। আশ্বাস দেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে পাশে থাকবেন তার। লেখেন, ‘ভয় পেও না। তোমার বড় দিদি তোমার পাশে। ফোন নম্বর দাও। আমি এখন কলকাতাতেই। তোমার কি গায়ে হাত তোলা হয়েছে? তা হলে জানাও।’
প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন সায়ন্তকেও। লেখেন, যদি কিরণের অভিযোগ সত্যি হয় তা হলে তিনি অভিনেতাকে গুঁড়িয়ে দেবেন!
দেবচন্দ্রিমা সিংহ, সায়ন্ত মোদক ও কিরণ মজুমদার
দেবচন্দ্রিমা, কিরণের মাঝে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা মিত্রের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সায়ন্ত। বিচ্ছেদের পর প্রিয়াঙ্কা ফেলে আসা সম্পর্ককে ‘অসুস্থ’ তকমা দিয়েছিলেন। তা হলে কি তিন জনে একইভাবে সায়ন্তের নিগ্রহের শিকার? সবিস্তার জানতে কলকাতার গণমাধ্যম আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করে দেবচন্দ্রিমা, প্রিয়াঙ্কা, কিরণের সঙ্গে। একাধিক বার ফোন করলেও তারা সাড়া দেননি।
তবে কথা বলেছেন সায়ন্ত। শুটিংয়ের ফাঁকে ফোনে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন কিরণের সঙ্গে তার প্রেম ভাঙার কথা। অতি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বাগ্বিতণ্ডার কথাও। বলেছেন, ‘তিন বার প্রেমের কথা জানিয়েছি, তিন বার বিচ্ছেদের কথাও। খুব স্বাভাবিক, লোকে আমার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলবে। তা বলে মোটেও মারধর করিনি যে এভাবে আমার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করা হবে।’ বাস্তবে যে অভিযোগের আঙুল উঠেছে প্রাক্তন প্রেমিকার দিকে তা একেবারেই কাম্য নয়, দাবি অভিনেতার। জানাতে ভোলেননি, মতের মিল হচ্ছিল না বলেই আলাদা হয়েছেন তারা। মতের মিল থাকলে বিচ্ছেদের প্রশ্নই উঠত না।
দেবচন্দ্রিমা সিংহ’র পর প্রিয়াঙ্কা মিত্র, এরপর কিরণ মজুমদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান সায়ন্ত মোদক
বার বার তিন বার প্রেম ভাঙল তার। বিষয়টি কি আর ততটাও সহজ-সরল রইল? প্রশ্নের জবাবে সায়ন্ত বললেন, ‘এ কথা অনেকেই বলছেন। তাদের পরামর্শ, বার বার প্রেম ভাঙলে মনের উপরে চাপ এবং ছাপ— দুটোই পড়ে। আমারও মানুষকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। ঠিক করেছি, প্রেম-সম্পর্ক থেকে দূরেই থাকব। আরও বেশি করে মনে দেব কাজে। তাতে যদি শান্তি পাই। কথা বলতে চেষ্টা করবো কিরণের সঙ্গেও। যাতে বিচ্ছেদও মধুর হয়।’