রুনা খানের বাবা আর নেই
-
-
|

‘গর্বিত বাবা সম্মাননা ২০২৪’ গ্রহণ করছেন রুনা খান ও তার বাবা । ছবি: শেখ সাদী
অভিনেত্রী রুনা খান ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন কাজ করে উপার্জন শুরু করেন। যাদের মুখে হাসি ফুটাতে তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন তাদের একজন তার প্রাণপ্রিয় বাবা আজ না ফেরার দেশে চলে গেলেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রীর মনের এখন কী অবস্থা, তা কারো বোঝার বাকী নেই!
রুনা খানের বাবা ফরহাদ হোসেন বার্ধক্যজনিত রোগে রবিবার দিবাগত রাতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)।
মৃত্যুর খবর ভোর সাড়ে ৫টার দিতে এক ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে রুনা খান নিশ্চিত করেন বার্তা২৪.কম।
এরপর আজ (১০ মার্চ) সকালে এক ফেসবুক পোস্টে বাবার মৃত্যুর খবর সবাইকে জানান তিনি। ফেসবুকে রুনা খান লিখেন, ‘আমার আব্বু চলে গেলেন..! তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মসদই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সেখানেই তার দাফন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে।
এদিকে রুনা খানের বাবার মৃত্যুর খবরে শোকপ্রকাশ করেছেন তার সহকর্মী ও ভক্তরা।
রুনা খানের সঙ্গে তার বাবার সম্পর্ক ছিলো ভীষণ সহজ ও সুন্দর। মেয়ের কাজ নিয়ে তিনি গর্ববোধ করতেন। তাইতো গত বছরই বাবা দিবসে তাকে গর্বিত বাবা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘গর্বিত বাবা সম্মাননা ২০২৪’-এ ভূষিত করা হয়।
সেই পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেছিলেন, ‘আমার মেয়ে অভিনয় করতে খুব ভালোবাসে। আমিও তার অভিনয় পছন্দ করি। যে তার দায়িত্ব সব সময় নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছে। পরিবারের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্বের কমতি কখনোই ছিলো না। এজন্য আমার মেয়েকে নিয়ে আমি গর্বিত।’
আর বাবাকে নিয়ে রুনা খান বরাবরই বলে এসেছেন, ‘একটিন মফস্বলে বড় হওয়া মেয়ে হিসেবে শোবিজে কাজ করার সাহস হয়তো পেতাম না যদি আমার বাবা-মা আমার উৎসাহ না দিতেন। তারা দুজনই শিল্পবোধ সম্পন্ন। বিশেষ করে আমার বাবা কখনোই আমার কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াননি। তিনি বরং সব সময় আমাকে অনুপ্রাণীত করেছেন ভালো কাজ করার জন্য।’