(বাঁয়ে) সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে মিতা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
বিনোদন
দেশের প্রথিতযশা নাট্যশিল্পী মিতা চৌধুরী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
নন্দিত অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফাও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট দিয়ে মিতা চৌধুরীর মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
সুবর্ণা মুস্তাফা নিজের প্রথম টিভি নাটক ‘বরফ গলা নদী’তে মিতা চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করেছিলেন জানিয়ে তার সঙ্গে বেশ কিছু পুরনো ছবি শেয়ার করেছেন।
তিনি লেখেন, ‘বিদায় মিতা চৌধুরী। আমাদের আবার দেখা হবে। অপেক্ষা শুধু সময়ের।’
বিজ্ঞাপন
মিতা চৌধুরী দেশের নাট্যাঙ্গনের বেশ পরিচিত মুখ। তিনি শিল্পের নানা মাধ্যমে কাজ করে গেছেন।
কবি হেলাল হাফিজের জীবনের গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘কি যেন ভুলতে চেয়েছিলাম’
বিনোদন
কবি পরিচয়ের বাইরেও প্রয়াত কবি হেলাল হাফিজের আরেকটি পরিচয় হচ্ছে, তিনি ছিলেন একজন তুখোড় প্রেমিক পুরুষ। কিন্তু প্রেমিক হিসেবে তিনি ব্যর্থ। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাটিয়েছেন ব্যর্থ প্রেমের যন্ত্রণা নিয়ে। চোখে জল আনার মতো জীবনের গল্প রয়েছে তার। সেই গল্পই এবার পর্দায় নিয়ে এলেন নির্মাতা রুবেল আনুশ।
হেলাল হাফিজের জীবনের গল্প নিয়ে তিনি নির্মাণ করেছেন নাটক ‘কি যেন ভুলতে চেয়েছিলাম’। নাটকটিতে হেলাল হাফিজের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুনায়েদ আহমেদ বোগদাদী। তার প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তন্নি মাহমিদ তৃণা।
নাটকে দেখা যাবে- কিশোর হেলাল হাফিজ প্রেম করতেন হেলেন নামে এক কিশোরীর সাথে। নেত্রকোনায় তারা প্রতিবেশী ছিলেন! দারোগার মেয়ের সাথে স্কুল শিক্ষকের ছেলের প্রেম মেনে নেননি দারোগা বাবু। মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন এক সিনেমা হলের মালিকের সাথে ঢাকায়। হেলাল হাফিজও চলেন আসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে। তার এক মাত্র কবিতার বই বের হয়। নাম ‘যে জলে আগুন জ্বলে!’ হেলেনের স্বামী বইমেলা থেকে বইটি কিনে হেলেন কে উপহার দেন। হেলেন দেখেন পুরো কবিতার বই জুড়ে কবির আকুতি তাকে না পাওয়ার। হেলেন সে কবিতার বই পড়ার পর মানসিকভাবে আঘাত পেয়ে আস্তে আস্তে পাগল হয়ে যান। স্বামী তাকে তালাক দেয়। নেত্রকোনায় বাবার বাড়ি ফিরে যান হেলেন। তাকে শিকল দিয়ে ঘরে বেঁধে রাখতে হয়।
‘কি যেন ভুলতে চেয়েছিলাম’ নাটকের দৃশ্য
হেলাল হাফিজ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেই প্রেমকে বয়ে নিয়ে বেড়িয়েছেন। আর কখনো বিয়ে করেননি তিনি।
ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথমবার যে ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
‘দেবদাস’, ‘কাঞ্চনজজ্ঞা’ ও ‘মন্থন’ ছবির পোস্টার
বিনোদন
ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো লস অ্যাঞ্জেলেসের অস্কার একাডেমি জাদুঘর অব মোশন পিকচার্স ভারতের ১২টি আইকনিক ও ক্ল্যাসিক সিনেমার প্রদর্শনীর আয়োজন করছে। ‘ইমোশন ইন কালার: আ ক্যালিডোস্কোপ অব ইন্ডিয়ান সিনেমা’ শিরোনামের এই আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হবে ৭ মার্চ-১৯ এপ্রিল পর্যন্ত।
১২টি ক্ল্যাসিক সিনেমার মধ্যে রয়েছে সত্যজিৎ রায় নির্মিত সিনেমা ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’। সেইসাথে রয়েছে হৃতিক রোশন ও ঐশ্বরিয়া রাই অভিনীত ‘যোধা আকবর’ থেকে শাহখরুখ খান, মাধুরী দীক্ষিত, ঐশ্বরিয়া রাই অভিনীত ‘দেবদাস’ এর মতো সিনেমাও।
‘যোধা আকবার’ ছবিতে হৃতিক রোশন ও ঐশ্বরিয়া রাই
ভারতের সিনেমার ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্যই এই আয়োজন। ভারতের ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, নির্মাতা এবং সংরক্ষণবাদী শিবেন্দ্র সিং সুচিন্ততভাবে সিনেমাগুলো বাছাই করে এই আয়োজনের ব্যবস্থা করেছেন।
ভারতীয় সিনেমায় রঙের চমৎকার খেলা, দৃশ্যমান গল্প বলার ঢঙ এবং সিনেমায় ইমোশনাল যে অনুরণন ঘটে, সেসব বিষয়কে গুরুত্বসহকারে উপস্থাপন করাও এই আয়োজনের গুরুত্বপূর্ণ দিক।
বলিউড সিনেমার ‘অমর আকবর অ্যান্থনি’র পোস্টার
আসন্ন চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে ক্লাসিক এবং প্রশংসিত ভারতীয় সিনেমাগুলো দেখানো হবে। ১২টি সিনেমার মধ্যে আছে মেহবুব খান পরিচালিত ‘মাদার ইন্ডিয়া (১৯৫৭’); শ্যাম বেনেগাল এবং মনমোহন দেশাই পরিচালিত ‘মন্থন (১৯৭৬)’ এবং ‘অমর আকবর অ্যান্থনি (১৯৭৭)’, আরিবাম শ্যাম শর্মার মণিপুরি সিনেমা ‘ঈশানৌ (১৯৯০)’, অরবিন্দন গোবিন্দনের মালায়ালাম সিনেমা ‘কুম্মাট্টি (১৯৭৯)’; কেতন মেহতার হিন্দি সিনেমা ‘মির্চ মসালা (১৯৮৭)’, সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত ‘দেবদাস (২০০২)’, আদিত্য চোপড়ার ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে (১৯৯৫)’, আশুতোষ গোয়ারিকর পরিচালিত ‘যোধা আকবর (২০০৮), সত্যজিৎ রায়ের বাংলা সিনেমা ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা (১৯৬২)’, কুমার শাহানির হিন্দি সিনেমা মায়া দর্পণ (১৯৭২), এবং মণি রত্নম পরিচালিত তামিল সিনেমা ইরুভার (১৯৯৭)।
মণি রত্নম পরিচালিত তামিল সিনেমা ইরুভার (১৯৯৭) দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় ঐশ্বরিয়ার। নায়ক ছিলেন মোহনলাল
প্রযোজক রেণু চোপড়ার ছেলে অভয় চোপড়ার প্রথম সিনেমা ‘ইত্তেফাক’। এই সিনেমার জন্য আর্থিক সাহায্য করেছিলেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার কথা ফাঁস করেছেন প্রয়াত নির্মাতা রবি চোপড়ার স্ত্রী রেণু চোপড়া।
রেণু জানিয়েছেন, কীভাবে তাদের পরিবারের কঠিন সময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন শাহরুখ। তার ছেলে সিদ্ধার্থের পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘ইত্তেফাক’-এর প্রযোজক হতে এককথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ছবির চিত্রনাট্যটুকুও শোনেননি শাহরুখ, এমনকী পড়েনওনি! শুধু তাই নয়, এই সিনেমার প্রযোজনা করার জন্য যে পরিমাণ টাকা শাহরুখ বিনিয়োগ করেছিলেন তার উপর সুদ নিতেও অস্বীকার করেছিলেন কিং খান।
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান
রেণুর কথায়, ‘‘আমাদের সব সিনেমাতে শাহরুখ শুধু অতিথিশিল্পী হিসেবেই অভিনয় করেছেন। এবার যখন ‘ইত্তেফাক’ সিনেমাটি প্রযোজনা করার কথা হলো, তখন শাহরুখকে বললাম, আমি তোমার সঙ্গে দেখা করতে আসছি। শোনামাত্রই শাহরুখ আমাকে বললেন, রেণুজি, আপনি বড়। আপনি কেন আসবেন? আমি আসছি আপনার কাছে। তবে তখনই সে আসতে পারেনি। কারণ তার তো অনেক ব্যস্ততা। যে কারণে সপ্তাহ তিনেক পর আবারও ফোন করলাম। এবারও শাহরুখ জানালেন, তিনিই আসবেন আমার কাছে। এই যে বড়দের প্রতি যে সম্মান দেখায় শাহরুখ, তা অকল্পনীয়।”
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান
রেণু আরও বলেন, ‘এরপর শাহরুখ দেখা করতে এলো, আমাকে শুধু জিজ্ঞেস করল এই ছবিতে তার কাজটা কী? ঠিক কী করতে হবে। আমি বলেছিলাম, শাহরুখ আমার কাছে অত টাকা নেই যে এই ছবি প্রযোজনা করতে পারব। কিন্তু আমার ছেলে খুব মন দিয়ে কাজটা করতে পারে। এবার তুমি যদি এই ছবিটা প্রযোজনা করতে পার খুব ভালো হয়। শোনামাত্রই রাজি হয়ে যান শাহরুখ খান। চিত্রনাট্য পড়েনি, শোনেননি। শুধু বলেছিল, আপনার ছেলে কাজ করছে, এটুকুই আমার কাছে যথেষ্ট। আমি ঘোড়দৌড়ে নয়, ঘোড়া যে চালায় সেই জকির উপর বিনিয়োগ করতে পছন্দ করি। এরপর যখন সিনেমাটি শেষে শাহরুখকে ওর বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত দিতে গিয়েছিলাম সুদসমেত, নিতে রাজি হয়নি। শাহরুখ বলেছিল, সুদের টাকা নিতে পারব না। ওটা হারাম!’ এরকম ভালো মানুষ শাহরুখ।’
৩৭ বছরের দাম্পত্যে ইতি, বিচ্ছেদের পথে গোবিন্দ-সুনীতা!
মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
|
সুনীতা ও গোবিন্দ
বিনোদন
দীর্ঘ ৩৭ বছরের দাম্পত্য বলিউড সুপারস্টার গোবিন্দ ও সুনীতা আহুজার। প্রথম জীবনে অবশ্য গোবিন্দ স্ত্রীকে লুকিয়ে রেখেছিলেন সকলের থেকে। ভেবেছিলেন, বিবাহিত নায়কের কথা জানতে পারলে খ্যাতি কমে যাবে! তবে বছর তিনেকের মাথায় সকলকে জানান তিনি বিবাহিত। তার পর দীর্ঘ সময় একে অপরের পাশে ঢাল হয়ে থেকেছেন। এত বছরের দাম্পত্য, তবু একসঙ্গে বাস করেন না গোবিন্দ-সুনীতা। তাদের ছাদ আলাদা, সম্প্রতি জানিয়েছেন সুনীতা। দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি থাকেন ফ্ল্যাটে। ঠিক তার উল্টো দিকে নিজের বাংলোয় একা থাকেন অভিনেতা।
গোবিন্দ ও সুনীতা
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুনীতা এ সব কথা জানানোর পর থেকেই তাদের বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন শুরু। এ বার সেটাই সত্যি হতে চলেছে। এত বছরের সম্পর্কে দাঁড়ি টানতে চলছেন গোবিন্দ-সুনীতা। দীর্ঘ দিন বলিউডে ‘সুখী দম্পতি’ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন তারা। শোনা যাচ্ছে, এই বয়সে পরকীয়া জড়িয়েছেন নায়ক! প্রায় অর্ধেক বয়সি মরাঠি অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই নাকি গোবিন্দ- সুনীতার বিয়ে ভাঙছে। যদিও এই বিষয়ে অভিনেতার তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
গোবিন্দ ও সুনীতা
এমন ঘটতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা করেছিলেন সুনীতা। এক সাক্ষাৎকারে সুনীতা জানিয়েছিলেন, তিনি এখন আর গোবিন্দকে বিশ্বাস করেন না। তিনি বলেন, ‘‘আগে আমাদের দাম্পত্যে সুরক্ষিত বোধ করতাম। কিন্তু এখন আর করি না। এখন ওর ৬০-এর বেশি বয়স। জানি না, কখন কী করবে।’’ সুনীতা জানান, আগে কাজের ব্যস্ততায় কোনও রকম পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল না গোবিন্দের। সুনীতার কথায়, ‘‘কিন্তু এখন তো বসেই থাকে। তাই ভয় হয়, কিছু করে না বসে!’’