নতুন অতিথির অপেক্ষায় দিন কাটছে কাজল আগারওয়ালের। অর্থাৎ প্রথম সন্তানের মা হতে যাচ্ছেন বলিউডের এই অভিনেত্রী। বলি মহলে গত কয়েকদিন ধরে কাজলের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া নিয়ে চলছিল নানা গুঞ্জন। অবশেষে সেই গুঞ্জনে ঘি ঢাললেন কাজলের স্বামী গৌতম কিচলু।
নতুন বছরের প্রথমদিন কাজলের মা হওয়ার খবরে সিলমোহর দিলেন গৌতম। বিয়ের ঠিক এক বছর ২ মাসের মাথায় সামনে এল সুখবর, নতুন বছরে প্রথম সন্তানকে স্বাগত জানাতে তৈরি এই দম্পতি।
বিজ্ঞাপন
ইনস্টাগ্রামে স্ত্রীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে গৌতম লিখেছেন, ‘আমরা তোমার দিকে তাকিয়ে রয়েছি ২০২২।’ এর সঙ্গে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর ইমোজি জুড়ে দেন গৌতম।
সরাসরি নয় কিছুটা ধোঁয়াশা রেখে কাজলের প্রেগন্যান্সি নিউজ ফাঁস করলেন গৌতম।
বিজ্ঞাপন
সাত বছর বন্ধুত্বের সম্পর্কে থাকার পর ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর গৌতম কিচলুর সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন কাজল আগারওয়াল। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সাদামাটা আয়োজনের মধ্য দিয়েই সম্পন্ন হয়েছিলো তাদের বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা। এরপর মধুচন্দ্রিমার জন্য মালদ্বীপ উড়ে গিয়েছিলেন তারা।
নিজের বিরুদ্ধে জামিল আহমেদের করা অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন উপদেষ্টা ফারুকী
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
সৈয়দ জামিল আহমেদ ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
বিনোদন
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব সৈয়দ জামিল আহমেদ। গতকাল (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে ‘মুনীর চৌধুরী প্রথম জাতীয় নাট্যোৎসব’–এর সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামিল আহমেদ। অনুষ্ঠানের মঞ্চে থাকা শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন এই নাট্যব্যক্তিত্ব।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এরইমধ্যে এক বিবৃতিতে সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেছেন, ‘‘উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপ, আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার জটিলতা, একাডেমির সচিবকে ‘ফোকাল পারসন’ হিসেবে মনোনীত করে মহাপরিচালকের বিধিসম্মত দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান, বাজেট কর্তন, শিল্পকলার ভেতর থেকে ফাইল গায়েব করে দেওয়া, একাডেমির অভ্যন্তরে বিভিন্ন কর্মকর্তাকে প্ররোচিত করে কাজের পরিবেশ ব্যাহত করা এবং দুর্নীতিবাজ চক্রের নানাবিধ অপতৎপরতার কারণে আমি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি।’’
নাট্যব্যক্তিত্ব সৈয়দ জামিল আহমেদ
এবার এ বিষয়ে কথা বললেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ (১ মার্চ) দুপুরে ফারুকী ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, সৈয়দ জামিল আহমেদের কাজের একজন গুণমুগ্ধ আমি। সম্ভবত উনার কাজ নিয়ে বাংলাদেশে কোনো পত্রিকায় ছাপা হওয়া সবচেয়ে বিস্তারিত লেখাটা আমি লিখেছিলাম যায় যায় দিনের এন্টারটেইনমেন্ট ম্যাগাজিন মৌচাকে ঢিলের জন্য। এর পরেও বাংলা-ইংরেজী অনেক কাগজে লিখেছি। এখনও আমি তাকে বাংলাদেশের থিয়েটারের সবচেয়ে মেধাবী নির্দেশক মনে করি। কয়দিন আগেও জামিল আহমেদের সামনেই একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেছি উনাকে দিয়ে তাদের দেশে একটা থিয়েটার প্রোডাকশন করাতে।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা আরও বলেন, কিন্তু ভালো শিল্পী হওয়া আর আমলাতন্ত্রকে কনফিডেন্সে নিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানো দুইটা দুইরকম আর্ট। দ্বিতীয় কাজটা করবার জন্য লাগে ধৈর্য এবং ম্যানেজারিয়াল ক্যাপাসিটি। কলিগদের বুলিং না করে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা দিয়ে অনেক কাজ আদায় করে নেয়া যায়। পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গেলে যে কম্পোজার লাগে, সেটার সঙ্গে কোনো একটা থিয়েটার দলে নির্দেশনা দেয়ার টেম্পারমেন্ট এক না। আমার ফিল্ম ইউনিটে আমি যা করতে পারি, একটা সরকারি প্রতিষ্ঠানে আমি তা করতে পারি না।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, আমি জামিল ভাইয়ের নাটকীয় পদত্যাগ নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলাম না কারণ তাতে আমাকে এমন কিছু রেফারেন্স টানতে হবে যেটা তার জন্য অস্বস্তিকর হবে। আমি চাচ্ছিলাম না কারণ আমি তাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ফর রেকর্ডস আমাকে আসলে এগুলো বলতেই হবে। আজকে আমাদের অনেকগুলো কাজ আছে। এটা শেষ করে সময় পেলে লিখবো।
শুধু এইটুকু আপাতত বলে রাখি, উনার বলা অনেকগুলো কথা পুরো সত্য নয়, অনেকগুলো কথা ডাহা মিথ্যা, এবং কিছু কথা পরিস্থিতি ডিল না করতে পারাজনিত হতাশা থেকে বের হয়ে আসা বলে মনে হচ্ছে। আমার বিস্তারিত লেখা হয়তো উনাকে বিব্রত করতে পারে। কিন্তু আমাকে আপনি এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন যেখানে আমাকে বিব্রতকর হলেও সত্য বলতে হবে, জামিল ভাই।
সবশেষে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, পরিশেষে, আমি উনার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করি। উনার সৃজনশীল কাজে যেকোনো ভাবে সহযোগিতা করতে পারলে মন্ত্রণালয় ধন্য হবে। আর আমি আমার দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়ার পরও তার কোনো সাহায্যে আসলে আনন্দিত হবো, যদিও আমাদের দুইজনের কাজের ক্ষেত্র আলাদা।
জামিল আহমেদের অভিযোগের ভিত্তিতে ফাকরুকীর পোস্ট
মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপসহ যেসব কারণে পদত্যাগ জামিল আহমেদের
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ
বিনোদন
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ ছাড়ার পর সংস্কৃতি অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাই দ্রুতই পদত্যাগের কারণ জানিয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ সময় মঞ্চে থাকা শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন সৈয়দ জামিল আহমেদ।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপ, আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার জটিলতা, একাডেমির সচিবকে ‘ফোকাল পারসন’ হিসেবে মনোনীত করে মহাপরিচালকের বিধিসম্মত দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান, বাজেট কর্তন, শিল্পকলার ভেতর থেকে ফাইল গায়েব করে দেওয়া, একাডেমির অভ্যন্তরে বিভিন্ন কর্মকর্তাকে প্ররোচিত করে কাজের পরিবেশ ব্যাহত করা এবং দুর্নীতিবাজ চক্রের নানাবিধ অপতৎপরতার কারণে আমি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত আমার পদত্যাগপত্র শিল্পকলা একাডেমির সচিবের কাছে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মুনীর চৌধুরী প্রথম জাতীয় নাট্য উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে হস্তান্তর করি। নিচে আমি কারণগুলি আরও বিস্তারিত করে বলছি।’
ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ
‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের শিক্ষার্থী-গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের এক ক্রান্তিলগ্নে শিক্ষার্থীদের ত্যাগের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে, বহুজনের অনুরোধে আমি বিগত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সচিব পদমর্যাদায় মহাপরিচালক পদে দায়িত্ব গ্রহণ করি। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে মহাপরিচালক পদে আমাকে দায়িত্ব নেবার জন্য তৎকালীন সংস্কৃতি উপদেষ্টার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলে, আমি বলেছিলাম, শিল্পকলা একাডেমি আইন অনুযায়ী একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাতে কাজ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপ রোধ করতে হবে এবং আমি একাডেমির ভিশন ও মিশন সম্বলিত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করি। তৎকালীন উপদেষ্টা ও সচিবালয়ের সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমার সকল প্রস্তাব ও কর্মপরিকল্পনায় তখন সম্মত হয়েছিলেন।’
‘তাদের সম্মতি ও প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করতে সম্মত হই। কিন্তু উপদেষ্টা পরিবর্তনের পর থেকে আমার সকল বিধিসম্মত কাজে নীতি-বহির্ভূত পদ্ধতিতে বারংবার হস্তক্ষেপ শুরু হয়। একাডেমির সকল কর্মকাণ্ডকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে শ্লথ করে দেবার প্রচেষ্টা চালানো হয়। যেমন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আইন অনুযায়ী প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর একাডেমির সভা করার বিধান থাকা সত্বেও পরিষদ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করতে উপদেষ্টা ৫ সপ্তাহ অহেতুক সময় নেন। অথচ একাডেমির আইন অনুযায়ী প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর সভা করার বিধান রয়েছে।’
ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ
ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘তাছাড়া একটি ভিডিও নির্মাণের জন্য আমাকে কোনো লিখিত চিঠিপত্র ব্যতীত উপদেষ্টার পক্ষ থেকে টাকা প্রদানের জন্য চাপ দেওয়া হলে আমি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করি। যোগদানের সময় আমি যে ভিশন ও মিশন উপস্থাপন করেছিলাম সেই অনুযায়ী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তৃণমূল হতে কেন্দ্র পর্যন্ত সংস্কার, সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রায়নের জন্য বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভায় উত্থাপন করলে তা থেকে ইছহাকৃতভাবে কমিয়ে বরাদ্দ করা হয়। উপরে উল্লেখিত দৃষ্টান্তগুলোতে প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি যে গণমুখী কাঠামোগত ও অবকাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে বহুত্ববোধক সাংস্কৃতিক চর্চায় নতুন বাংলাদেশ গঠনে কাজ করতে দেশব্যাপী সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উপরন্তু, বর্তমানে একাডেমির অভ্যন্তরে বিভেদ সৃষ্টির হীন প্রচেষ্টা লক্ষ্য করছি। এমতাবস্থায়, চতুর্দিকে ঘিরে থাকা চক্রের সঙ্গে আপস করে আমার পক্ষে যে উদ্দেশ্য নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছিলাম সেই লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন সম্ভব নয় বিধায় আমি পদত্যাগ করেছি।’
ঢালিউডের আলোচিত-সমালোচিত দুই চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আর পরীমণি। তবে এই দুই নায়িকার মধ্যে দারুণ সম্পর্ক, এমনটা অতিতে বহুবার দেখা গেছে। একে অপরের প্রশংসা করেছেন প্রচুর, আবার অপুর শত্রু বুবলীর বিরুদ্ধেও সোশ্যাল মিডিয়ায় অবস্থান নিয়েছেন পরীমণি, এমনটাও শোবিজে চাউর আছে।
অপু বিশ্বাস নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ঢালিউডে আমরা পাঁচ বোন, আমি বড়, পরীমণি মেজো, তমা মির্জা সেজো, এরপর পূজা চেরী ও সবার ছোট দীঘি।
পরীমণির বাসায় অপু বিশ্বাস
তবে এই সাক্ষাৎকারের কিছুদিন পর পরীমণি তার সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি ঠিক বুঝি না অপুদি সত্যি আমাকে ভালোবাসে কি না!
আর এবার একদম খোলা ময়দানে যা হলো, তাতে আর বুঝতে বাকী নেই অপু বিশ্বাস আর পরীমণির সম্পর্কটা আর আগের মতো নেই। শুধু তাই নয়, সম্পর্কটা যে উল্টো তিক্ততায় পরিণত হয়েছে তার আঁচ পাওয়া গেছে পরীর আজকের স্ট্যাটাসে।
পরী ও রাজের ছেলে রাজ্যকে দেখতে তাদের বাসায় গিয়েছিলেন অপু বিশ্বাস
আজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই পরীমণি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘অ্যানাউন্সমেন্ট বোলে! তাও ঈদ ক্যাম্পেইন অ্যানাউন্সমেন্ট!! বাবাগো, একটা চায়না ফোন দিয়ে এখনকার পিচ্চি পোলাপান দিনে কয়েক’শ এর থেকে ভালো রিলস বানায় রেনডমলি! এক বরবাদ যে তোমাদের মতন পরগাছা উকুনদের তামাম জিন্দেগীর অস্তিত্ব নিয়ে লারাবাড়া করে দিলো সেটা আর বলতে..’
অনেকেই ভাবতে পারেন, এখানে তো কোথাও অপু বিশ্বাসের নাম নেই। তবে যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুই নায়িকাকে অনুসরন করেন তারা ঘটনাটি ঠিক ধরে ফেলেছেন। কারণ অপু বিশ্বাস গতকাল দিনের বেলা একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তাতে একটি ঘোষণা ছিলো যে, ‘অ্যানাউন্সমেন্ট, ঈদ ক্যাম্পেইন কামিং টুনাইট’।
অপুর এই স্ট্যাটাসের প্রেক্ষিতেই কটুক্তি করেছেন পরী
ঘোষণা অনুয়ারি অপুর ফেসবুকে রাতের বেলা একটি রিলস ভিডিও প্রকাশ পায়। তাকে অপুকে সাদা আনারকলিতে লাস্যময়ী হিসেবে তুলে ধরা হয়। কেউ কেউ এই ভিডিওর প্রশংসাও করেন, আবার কেউ কেউ এতে পাঞ্জাবী গান ব্যবহারের সমালোচনা করেন।
সম্পর্ক যে শুধু অপু-পরীর মধ্যে খারাপ হয়েছে তা নয়। ঘটনা আরও বিস্তারিত। কারণ অপুর এই নতুন ক্যাম্পেইন হলো কিবরিয়া বাই রাতুল নামের একটি পোশাক লাইনের। আর এটির স্বত্তাধিকারী হলেন গত কয়েক বছরে পরীর আশেপাশে থাকা কিবরিয়া ও রাতুলের। পরীকেও এই পোশাক লাইনের অনেক পোশাক পরতে দেখা গেছে। সেই লাইনের ঈদ ক্যাম্পেইনকে চায়নিজ ফোনের রিল ভিডিওর চেয়ে খারাপ বলা মানে, পরীর সঙ্গে যে কিবরিয়া-রাতুলেরও সম্পর্কটা আগের মতো নেই সেই ইঙ্গিত দেয়।
অপু বিশ্বাসের কোলে ছোট্ট রাজ্য
পরী শুধু অপুর কাজ নিয়েই সমালোচনা করেননি। তার স্ট্যাটাসের পরের অংশে অপুর ব্যক্তিজীবন নিয়ে কটুক্তি। পরী লিখেছেন, ‘অহংকার আর আত্ম-অহংকার এর তফাৎ বুঝতে চেষ্টা করো। নিজ যোগ্যতায় অর্জন করতে হলে আগে সফল মানুষকে নিয়ে হিংসাত্মক আক্রমণ বন্ধ করে একদম নিজের ফু টাং এর দিকে আগে আঙ্গুল দাও পিও। পৃথিবীতে অনেক বদনাম ঘুচে যায় একটা নামি নামের জন্যে, কিন্তু বদনামি কোন লোক নামি মানুষের নামে আসে না...’
অপুকে খোঁচা দিয়ে পরীর স্ট্যাটাস
১৩ বছরের প্রেমের সম্পর্ক শেষে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও প্রযোজক-পরিচালক আদনান আল রাজিব। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঢাকার অদূরে সাভারের একটি রিসোর্টে দুজনের ‘বিবাহোত্তর সংবর্ধনা’ হয়।
বিয়ের দিন আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী
‘বিবাহোত্তর সংবর্ধনা’অনুষ্ঠানের ছবি প্রকাশ্যে এলেও আকদের ছবি এতোদিন দেখা যায়নি। আজ শুক্রবার ভক্তদের সঙ্গে অভিনেত্রী ভাগ করে নিয়েছেন সেদিনের মুহূর্ত। সঙ্গে জানিয়েছেন, মায়ের বিয়ের শাড়িতেই বিয়ে সেরেছেন তিনি।
বিয়ের দিন আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে মেহজাবীন লিখেছেন, ‘আমাদের আক্দ হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসার দিনে; আদনান এবং আমি আমাদের পরিবারের সদস্যদের ও কাছের মানুষের উপস্থিতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলাম।
বিয়ের দিন আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী
আমাদের জীবনের একটি বিশেষ দিন ছিল এটি, যা আরও অর্থবহ হয়ে উঠেছিল আমাদের প্রিয় মানুষদের উপস্থিতিতে।’
বিয়ের দিন আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী
বিশেষ এই দিনে মায়ের আক্দের শাড়ি পরা নিয়ে অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘আমার মা তার আক্দের দিনে যে শাড়ি পরেছিলেন, সেই শাড়িই আমাকে উপহার দিয়েছেন। আমার বিশেষ দিনে সেটি পরতে পারা ছিল মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত সবচেয়ে সুন্দর উপহার।’
বিয়ের দিন আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী
মেহজাবীন ও আদনানের প্রেম বিনোদন অঙ্গনে অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’ ছিল। দুজনকে দেশে ও দেশের বাইরে একত্রে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। ঘোরাঘুরির সময় তোলা স্থিরচিত্র হাতবদল হয়ে ফেসবুকেও পোস্ট হয়েছে।
বিয়ের দিন আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী
নিজেরাও কখনো কখনো নিজেদের ইনস্টাগ্রামে রোমান্টিক মুহূর্তের স্থিরচিত্র পোস্ট করেছেন। ঘুরে বেড়ানোর মুহূর্তের স্থিরচিত্র ফেসবুকে প্রকাশের পর দুজনকে নিয়ে গুঞ্জনের ডালপালা বাড়তে থাকে। তখনো তারা ছিলেন নীরব।
বিয়ের দিন আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী
কয়েক বছর আগে হঠাৎ গুঞ্জন রটে যে বিয়ে করেছেন মেহজাবীন-আদনান! তারা সংসারও করছেন। এসব নিয়ে যখন কথা হচ্ছিল, তখন কৌশলে তাঁরা নিজেদের সম্পর্কের ইঙ্গিত দেন। অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হলো, পূর্ণতা পেল ১৩ বছরের প্রেম।
বিয়ের দিন আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী