অবশেষে সন্তানের পিতা-মাতা হতে যাচ্ছেন জনপ্রিয় তারকা দম্পতি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে খবরটি জানান ফারুকী।
তিনি বলেন, “সন্তানের চোখে নিজের জন্ম হতে দেখা, একজন মা হিসেবে, একজন বাবা হিসেবে, এক অনির্বচনীয় অনুভুতিই আসলে। বেশ কিছুদিন ধরে তিশাকে এবং আমাকে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে- “তিশাকে কেনো কোথাও দেখা যাচ্ছে না?” “সে কেনো সবকিছুতে অনুপস্থিত?”
বিজ্ঞাপন
অনুপস্থিত কারন আমাদের জীবনে আরেকজন মানুষের উপস্থিতি আসন্ন। তিশা এবং আমি আমাদের প্রথম সন্তানের অপেক্ষায় আছি। আপনারা দোয়া করবেন যাতে আমাদের সন্তান মায়ের গর্ভের নিরাপদ আশ্রয় থেকে সুস্থভাবে এই পৃথিবীর আলো বাতাসে আসে।”
জানা যায়, আগামী মাস দেড়েকের মধ্যেই তাদের সন্তান পৃথিবীর মুখ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত পারিবারিক কারণেই তথ্যটি এতদিন গোপন রেখেছিলেন এ দম্পতি।
বিজ্ঞাপন
দীর্ঘদিন প্রেমের পর ২০১০ সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপসহ যেসব কারণে পদত্যাগ জামিল আহমেদের
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ
বিনোদন
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ ছাড়ার পর সংস্কৃতি অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাই দ্রুতই পদত্যাগের কারণ জানিয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ সময় মঞ্চে থাকা শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন সৈয়দ জামিল আহমেদ।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপ, আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার জটিলতা, একাডেমির সচিবকে ‘ফোকাল পারসন’ হিসেবে মনোনীত করে মহাপরিচালকের বিধিসম্মত দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান, বাজেট কর্তন, শিল্পকলার ভেতর থেকে ফাইল গায়েব করে দেওয়া, একাডেমির অভ্যন্তরে বিভিন্ন কর্মকর্তাকে প্ররোচিত করে কাজের পরিবেশ ব্যাহত করা এবং দুর্নীতিবাজ চক্রের নানাবিধ অপতৎপরতার কারণে আমি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত আমার পদত্যাগপত্র শিল্পকলা একাডেমির সচিবের কাছে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মুনীর চৌধুরী প্রথম জাতীয় নাট্য উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে হস্তান্তর করি। নিচে আমি কারণগুলি আরও বিস্তারিত করে বলছি।’
ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ
‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের শিক্ষার্থী-গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের এক ক্রান্তিলগ্নে শিক্ষার্থীদের ত্যাগের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে, বহুজনের অনুরোধে আমি বিগত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সচিব পদমর্যাদায় মহাপরিচালক পদে দায়িত্ব গ্রহণ করি। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে মহাপরিচালক পদে আমাকে দায়িত্ব নেবার জন্য তৎকালীন সংস্কৃতি উপদেষ্টার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলে, আমি বলেছিলাম, শিল্পকলা একাডেমি আইন অনুযায়ী একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাতে কাজ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপ রোধ করতে হবে এবং আমি একাডেমির ভিশন ও মিশন সম্বলিত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করি। তৎকালীন উপদেষ্টা ও সচিবালয়ের সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমার সকল প্রস্তাব ও কর্মপরিকল্পনায় তখন সম্মত হয়েছিলেন।’
‘তাদের সম্মতি ও প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করতে সম্মত হই। কিন্তু উপদেষ্টা পরিবর্তনের পর থেকে আমার সকল বিধিসম্মত কাজে নীতি-বহির্ভূত পদ্ধতিতে বারংবার হস্তক্ষেপ শুরু হয়। একাডেমির সকল কর্মকাণ্ডকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে শ্লথ করে দেবার প্রচেষ্টা চালানো হয়। যেমন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আইন অনুযায়ী প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর একাডেমির সভা করার বিধান থাকা সত্বেও পরিষদ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করতে উপদেষ্টা ৫ সপ্তাহ অহেতুক সময় নেন। অথচ একাডেমির আইন অনুযায়ী প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর সভা করার বিধান রয়েছে।’
ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ
ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘তাছাড়া একটি ভিডিও নির্মাণের জন্য আমাকে কোনো লিখিত চিঠিপত্র ব্যতীত উপদেষ্টার পক্ষ থেকে টাকা প্রদানের জন্য চাপ দেওয়া হলে আমি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করি। যোগদানের সময় আমি যে ভিশন ও মিশন উপস্থাপন করেছিলাম সেই অনুযায়ী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তৃণমূল হতে কেন্দ্র পর্যন্ত সংস্কার, সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রায়নের জন্য বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভায় উত্থাপন করলে তা থেকে ইছহাকৃতভাবে কমিয়ে বরাদ্দ করা হয়। উপরে উল্লেখিত দৃষ্টান্তগুলোতে প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি যে গণমুখী কাঠামোগত ও অবকাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে বহুত্ববোধক সাংস্কৃতিক চর্চায় নতুন বাংলাদেশ গঠনে কাজ করতে দেশব্যাপী সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উপরন্তু, বর্তমানে একাডেমির অভ্যন্তরে বিভেদ সৃষ্টির হীন প্রচেষ্টা লক্ষ্য করছি। এমতাবস্থায়, চতুর্দিকে ঘিরে থাকা চক্রের সঙ্গে আপস করে আমার পক্ষে যে উদ্দেশ্য নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছিলাম সেই লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন সম্ভব নয় বিধায় আমি পদত্যাগ করেছি।’
ঢালিউডের আলোচিত-সমালোচিত দুই চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আর পরীমণি। তবে এই দুই নায়িকার মধ্যে দারুণ সম্পর্ক, এমনটা অতিতে বহুবার দেখা গেছে। একে অপরের প্রশংসা করেছেন প্রচুর, আবার অপুর শত্রু বুবলীর বিরুদ্ধেও সোশ্যাল মিডিয়ায় অবস্থান নিয়েছেন পরীমণি, এমনটাও শোবিজে চাউর আছে।
অপু বিশ্বাস নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ঢালিউডে আমরা পাঁচ বোন, আমি বড়, পরীমণি মেঝো, তমা মির্জা সেজো, এরপর পূজা চেরী ও সবার ছোট দীঘি।
পরীমণির বাসায় অপু বিশ্বাস
তবে এই সাক্ষাৎকারের কিছুদিন পর পরীমণি তার সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি ঠিক বুঝি না অপুদি সত্যি আমাকে ভালোবাসে কি না!
আর এবার একদম খোলা ময়দানে যা হলো, তাতে আর বুঝতে বাকী নেই অপু বিশ্বাস আর পরীমণির সম্পর্কটা আর আগের মতো নেই। শুধু তাই নয়, সম্পর্কটা যে উল্টো তিক্ততায় পরিণত হয়েছে তার আঁচ পাওয়া গেছে পরীর আজকের স্ট্যাটাসে।
পরী ও রাজের ছেলে রাজ্যকে দেখতে তাদের বাসায় গিয়েছিলেন অপু বিশ্বাস
আজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই পরীমণি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘অ্যানাউন্সমেন্ট বোলে! তাও ঈদ ক্যাম্পেইন অ্যানাউন্সমেন্ট!! বাবাগো, একটা চায়না ফোন দিয়ে এখনকার পিচ্চি পোলাপান দিনে কয়েক’শ এর থেকে ভালো রিলস বানায় রেনডমলি! এক বরবাদ যে তোমাদের মতন পরগাছা উকুনদের তামাম জিন্দেগীর অস্তিত্ব নিয়ে লারাবাড়া করে দিলো সেটা আর বলতে..’
অনেকেই ভাবতে পারেন, এখানে তো কোথাও অপু বিশ্বাসের নাম নেই। তবে যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুই নায়িকাকে অনুসরন করেন তারা ঘটনাটি ঠিক ধরে ফেলেছেন। কারণ অপু বিশ্বাস গতকাল দিনের বেলা একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তাতে একটি ঘোষণা ছিলো যে, ‘অ্যানাউন্সমেন্ট, ঈদ ক্যাম্পেইন কামিং টুনাইট’।
অপুর এই স্ট্যাটাসের প্রেক্ষিতেই কটুক্তি করেছেন পরী
ঘোষণা অনুয়ারি অপুর ফেসবুকে রাতের বেলা একটি রিলস ভিডিও প্রকাশ পায়। তাকে অপুকে সাদা আনারকলিতে লাস্যময়ী হিসেবে তুলে ধরা হয়। কেউ কেউ এই ভিডিওর প্রশংসাও করেন, আবার কেউ কেউ এতে পাঞ্জাবী গান ব্যবহারের সমালোচনা করেন।
সম্পর্ক যে শুধু অপু-পরীর মধ্যে খারাপ হয়েছে তা নয়। ঘটনা আরও বিস্তারিত। কারণ অপুর এই নতুন ক্যাম্পেইন হলো কিবরিয়া বাই রাতুল নামের একটি পোশাক লাইনের। আর এটির স্বত্তাধিকারী হলেন গত কয়েক বছরে পরীর আশেপাশে থাকা কিবরিয়া ও রাতুলের। পরীকেও এই পোশাক লাইনের অনেক পোশাক পরতে দেখা গেছে। সেই লাইনের ঈদ ক্যাম্পেইনকে চায়নিজ ফোনের রিল ভিডিওর চেয়ে খারাপ বলা মানে, পরীর সঙ্গে যে কিবরিয়া-রাতুলেরও সম্পর্কটা আগের মতো নেই সেই ইঙ্গিত দেয়।
অপু বিশ্বাসের কোলে ছোট্ট রাজ্য
পরী শুধু অপুর কাজ নিয়েই সমালোচনা করেননি। তার স্ট্যাটাসের পরের অংশে অপুর ব্যক্তিজীবন নিয়ে কটুক্তি। পরী লিখেছেন, ‘অহংকার আর আত্ম-অহংকার এর তফাৎ বুঝতে চেষ্টা করো। নিজ যোগ্যতায় অর্জন করতে হলে আগে সফল মানুষকে নিয়ে হিংসাত্মক আক্রমণ বন্ধ করে একদম নিজের ফু টাং এর দিকে আগে আঙ্গুল দাও পিও। পৃথিবীতে অনেক বদনাম ঘুচে যায় একটা নামি নামের জন্যে, কিন্তু বদনামি কোন লোক নামি মানুষের নামে আসে না...’
অপুকে খোঁচা দিয়ে পরীর স্ট্যাটাস
১৩ বছরের প্রেমের সম্পর্ক শেষে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও প্রযোজক-পরিচালক আদনান আল রাজিব। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঢাকার অদূরে সাভারের একটি রিসোর্টে দুজনের ‘বিবাহোত্তর সংবর্ধনা’ হয়।
বিয়ের দিন আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী
‘বিবাহোত্তর সংবর্ধনা’অনুষ্ঠানের ছবি প্রকাশ্যে এলেও আকদের ছবি এতোদিন দেখা যায়নি। আজ শুক্রবার ভক্তদের সঙ্গে অভিনেত্রী ভাগ করে নিয়েছেন সেদিনের মুহূর্ত। সঙ্গে জানিয়েছেন, মায়ের বিয়ের শাড়িতেই বিয়ে সেরেছেন তিনি।
বিয়ের দিন আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে মেহজাবীন লিখেছেন, ‘আমাদের আক্দ হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসার দিনে; আদনান এবং আমি আমাদের পরিবারের সদস্যদের ও কাছের মানুষের উপস্থিতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলাম।
বিয়ের দিন আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী
আমাদের জীবনের একটি বিশেষ দিন ছিল এটি, যা আরও অর্থবহ হয়ে উঠেছিল আমাদের প্রিয় মানুষদের উপস্থিতিতে।’
বিয়ের দিন আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী
বিশেষ এই দিনে মায়ের আক্দের শাড়ি পরা নিয়ে অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘আমার মা তার আক্দের দিনে যে শাড়ি পরেছিলেন, সেই শাড়িই আমাকে উপহার দিয়েছেন। আমার বিশেষ দিনে সেটি পরতে পারা ছিল মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত সবচেয়ে সুন্দর উপহার।’
বিয়ের দিন আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী
মেহজাবীন ও আদনানের প্রেম বিনোদন অঙ্গনে অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’ ছিল। দুজনকে দেশে ও দেশের বাইরে একত্রে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। ঘোরাঘুরির সময় তোলা স্থিরচিত্র হাতবদল হয়ে ফেসবুকেও পোস্ট হয়েছে।
বিয়ের দিন আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী
নিজেরাও কখনো কখনো নিজেদের ইনস্টাগ্রামে রোমান্টিক মুহূর্তের স্থিরচিত্র পোস্ট করেছেন। ঘুরে বেড়ানোর মুহূর্তের স্থিরচিত্র ফেসবুকে প্রকাশের পর দুজনকে নিয়ে গুঞ্জনের ডালপালা বাড়তে থাকে। তখনো তারা ছিলেন নীরব।
বিয়ের দিন আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী
কয়েক বছর আগে হঠাৎ গুঞ্জন রটে যে বিয়ে করেছেন মেহজাবীন-আদনান! তারা সংসারও করছেন। এসব নিয়ে যখন কথা হচ্ছিল, তখন কৌশলে তাঁরা নিজেদের সম্পর্কের ইঙ্গিত দেন। অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হলো, পূর্ণতা পেল ১৩ বছরের প্রেম।
বিয়ের দিন আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী
শাকিব খান আর শবনম বুবলীর নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। সবাই তাদের ইতিহাস জানেন। এই দম্পতির একটি ছেলেও রয়েছে। তবে সেই সম্পর্ক এখন অতীত। শাকিবের সংসার ভেঙেছে অপু বিশ্বাসের সঙ্গেও। সম্পর্ক ভাঙনের পরও শাকিব খানকে নিয়ে অপু বিশ্বাস দারুণ দারুণ কথা বলে থাকেন সব জায়গায়। তবে বুবলীর মুখে শোনা যেত বিষোদগার। তবে এবার কী ভেতরে ভেতরে বদলে গেলো সমীকরণ? এজন্য বুবলী শাকিব খানকে নিয়ে বলে ফেললেন এতো বড় কথা!
ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাচ্ছে শাকিব খানের ‘বরবাদ’। এর আগে মোশন পোস্টার প্রকাশিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত হয় ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের টিজার। এতে ছবিতে শাকিব খানের চরিত্র সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন পরিচালক মেহেদি হাসান।
বাংলাদেশি সিনেমার শীর্ষ তারকা শাকিবের নতুন সিনেমার টিজার কবে আসবে—এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে অন্তর্জালে চলছিল আলোচনা। গতকাল টিজার প্রকাশের পর পাওয়া গেছে ধুন্ধুমার অ্যাকশনের আভাস। এদিকে ‘বরবাদ’ টিজার দেখেছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। তিনি টিজার দেখে উচ্ছ্বসিত, জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়াও।
‘বরবাদ’ ছবিতে শাকিব খান
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন শবনম বুবলী। সেখানে তিনি বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শাকিব খানের ‘বরবাদ’ ছবির টিজার নিয়েও কথা বললেন। বুবলী তার বক্তব্যে বলেন, ‘শাকিব খান আমাদের বাংলাদেশ না, বাংলা ভাষাভাষী, আমাদের বাংলা ইন্ডাষ্ট্রির সবচেয়ে বড় মেগাস্টার। তিনি অনেক বছর ধরে কাজ করছেন। তার “বরবাদ” ছবির টিজার বের হয়েছে। দেখলাম, সবকিছু তো বরবাদ হয়ে যাচ্ছে একদম, ভেঙেচুরে। অসাধারণ নির্মাণ, শাকিব খানের উপস্থাপন দুর্দান্ত। বরবাদ টিমের জন্য আমার মন থেকে শুভকামনা। আমার পক্ষ থেকে শাকিব খানের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।’
একসময় উড়োজাহাজের কেবিন ক্রু ছিলেন শবনম বুবলী। এরপর সংবাদপাঠিকা হিসেবেও কাজ করেন। তারপর শাকিব খানের বিপরীতে ‘বসগিরি’ দিয়ে চলচ্চিত্রে কাজের শুরু। একের পর এক শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। একটা সময় শাকিবের সঙ্গে বুবলীর প্রেম-বিয়ের গল্প প্রকাশ্যে এলেও দুজনের কেউই তা স্বীকার করতেন না। তবে সন্তান জন্মের দুই বছর পর বুবলীর দাবি ছিল এ রকম, ২০১৮ সালের ২০ জুলাই শবনম বুবলীকে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান। ২০২০ সালের ২১ মার্চ জন্ম হয় তাঁদের সন্তান শেহজাদ খান বীরের। বনিবনা না হওয়ায় বুবলীর সঙ্গেও শাকিবের সম্পর্কের দূরত্ব তৈরির খবর প্রকাশ্যে আসে। শাকিব খানের সঙ্গে শবনম বুবলীকে সর্বশেষ দেখা গেছে তপু খান পরিচালিত ‘লিডার; আমিই বাংলাদেশ’ চলচ্চিত্রে।
শাকিব খান ও বুবলী জুটি বেঁধে এক ডজনের মতো সিনেমা করেছেন
‘বরবাদ’ ছবির টিজারে বিধ্বংসী রূপে দেখা গেল ঢালিউড তারকা শাকিব খানকে! যেমনটা আগে দেখেননি তার ভক্তরা। টিজারে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন এই তারকা। সেই সঙ্গে দেখা গেল ওপার বাংলার অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তকেও। ব্লকবাস্টার ছবি ‘প্রিয়তমা’র পর ‘বরবাদ’-এও দেখা গেল ইধিকা পালকে, এ ছবিতে তিনি শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করছেন।
‘বরবাদ’ ছবির টিজারে শাকিব খানের মুখে একটি সংলাপ ছিল, ‘আমি শুধু একটা জিনিসই ভাবি, নীতু শুধু আমার।’ ছবিতে নীতু চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল। ‘বরবাদ’-এর টিজারে শাকিবকে পাওয়া গেছে বেশ কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন লুকে। টিজার দেখে মনে করা হচ্ছে, প্রেম আর প্রতিশোধের গল্প হতে যাচ্ছে এটি। ‘বরবাদ’ প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেছিলেন, ‘সিনেমাটি আমার সব সিনেমাকে ছাপিয়ে যাবে।’
‘বরবাদ’ ছবিতে ইধিকা পাল
‘বরবাদ’ টিজার শাকিব খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশের পর ১৮ ঘণ্টায় ১৯ লাখের বেশি ভিউ হয়েছে। মন্তব্য এসেছে ২৭ হাজারের বেশি, রিঅ্যাকশন পড়েছে দেড় লাখের বেশি আর শেয়ার হয়েছে ১২ হাজারের বেশি। এর বাইরে পরিচালক এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক আইডি ও পেজ থেকে টিজার আপলোড করা হয়েছে। এসকে ফিল্মসের ইউটিউব থেকে টিজারের ভিউ আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে দেড়টা পর্যন্ত ১০ লাখ পার করেছে।
‘বরবাদ’ ছবিতে শাকিব খান
শাকিব খান, ইধিকা পাল, যিশু সেনগুপ্ত ছাড়া ‘বরবাদ’ ছবিতে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, মামুনুর রশীদ প্রমুখ। একটি আইটেম গানে থাকবেন কলকাতার নায়িকা নুসরাত জাহান। ছবির বড় অংশের শুটিং হয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্রে।