চবিতে নারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে(চবি) ৯ জন ছাত্রীর বহিষ্কারাদেশ বাতিল চেয়ে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় নিন্দা এবং প্রক্টরের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানায়।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে ইংরেজি বিভাগের নওশীন তাবাসসুম বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি ঘটনায় আমাদের সহপাঠীদের শাস্তি দিতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। আমরা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত মানি না। সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে আমার বেশকিছু প্রশ্ন আছে। প্রশাসনের কাছে আমার তিনটি প্রশ্ন। প্রথমত, ৫ আগস্টের পরে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন নৌকা কিভাবে সেখানে এখনো রয়ে গেছে? কেন প্রশাসন নিজ উদ্যোগে সেটি ভাঙেনি? দ্বিতীয়ত, ছাত্ররা যে ভাংচুর করবে, প্রশাসন কেন তাদেরকে থামানো চেষ্টা করেনি। তৃতীয়ত, যখন শেখ হাসিনা হলের সামনেই ছাত্ররা ভাঙচুর করছিল, তখনই কেন প্রক্টর হস্তক্ষেপ করে তাদেরকে থামায়নি? প্রশাসনের কাছে এসকল বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য চাই।
সমাবেশে চবি শিক্ষার্থী ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির দায়িত্বে থাকা সদস্যদের কাজ হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। হলের মেয়েদের নিরাপত্তা দেওয়া তাদের দায়িত্ব। সেদিন রাতে মেয়েদেরকে নিরাপত্তা দিতে না পারায় তারা নিরাপত্তাহীনতার কারণে রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু সঠিক ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই তাদেরকে বহিষ্কার করা হলো। এটা একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত। এমন সিদ্ধান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সরে আসতে হবে। কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের কারণে প্রক্টরকে ক্ষমা চাইতে হবে।