কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের হামলা, জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের উপর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এনে ছাত্রদলের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিক্ষোভ-মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ কর্মসূচী পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করে পুনরায় শুরুর স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

এসময় শিক্ষার্থীদের 'লীগ গেছে যে পথে, দল যাবে সেই পথে', 'টেম্পু না শিক্ষা, শিক্ষা-শিক্ষা', 'চাদাবাজী না শিক্ষা, শিক্ষা-শিক্ষা', 'একশন টু একশন, ডাইরেক্ট একশন', 'সন্ত্রাস করে দুই দল, লীগ আর ছাত্রদল', 'ছাত্রদল হামলা করে, ইন্টেরিম কি করে', 'আমার ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব দে', 'কুয়েটের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়িনাই', 'জাস্টিস-জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস' ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়৷

বিক্ষোভ-মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুয়াইব হাসানের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদলের এ হামলার নিন্দা জানান। সেই সাথে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ফেরত না আসলে ছাত্রলীগের মতোই তাদের পরিণতি হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা৷

বিজ্ঞাপন

'ছাত্রদল-বিএনপির সন্ত্রাসীদেরকে বিতাড়িত করতে ৩৬ মিনিটও সময় নিবেনা ছাত্রসমাজ' মন্তব্য করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সদস্য সচিব তৌহিদ সিয়াম বলেন, ১ বছর না যেতেই বিএনপি, ছাত্রদল যে কাজ শুরু করেছে, আমরা বুঝতে পারছি ক্ষমতায় আসলে তারা কি করবে। মাত্র ৩৬ দিনে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছি। এই ছাত্রদলকে বিদায় করতে ৩৬ দিন সময়ও লাগবে না। ভুলে যাবেন না ছাত্র সমাজ এক হলে কি হতে পরে। লীগ যে পথে গেছে আপনাদেরও সে পথে পাঠাব৷ আপনারা গণমানুষের রাজনীতি করুন, ছাত্রসমাজের পাশে থাকেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার মিছিলে শামিল হোন অন্যথায় আমরা আপনাদেরকে চব্বিশের রাজাকার বলে চিহ্নিত করবো৷

'ছাত্রদলের হামলা ছাত্রলীগের মতোই' মন্তব্য করে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান ইমন বলেন, ছাত্রদল যে হামলা চালিয়েছে সেটি ছাত্রলীগের মতোই। আমরা এখনো বিএনপি, ছাত্রদলের হাতে দেশ তুলে দেয়নি। এখনো রাজপথে আছি। যদি ছাত্রলীগকে দেশ ছাড়া করতে পারি তাহলে ছাত্রদলকেও দেশ ছাড়া করতে পারব।

গণ অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের 'আহ্বায়ক' আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, কুয়েটে যখন আমার ভাইদের রক্তাক্ত ছবি দেখি, তখন আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। একটি ক্ষমতালোভী দল তাদের পেশিশক্তির রাজনীতি করার জন্য শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করে ক্ষমতা চর্চার প্রথম ধাপ মানুষের নিকট উপস্থাপন করেছে। আপনারা যদি আপনাদের এই ঘৃণিত কর্মকাণ্ড চালু রাখেন তাহলে আপনাদেরকেও লীগের মত বিতাড়িত করতে আমরা বিন্দুমাত্র সময় নিবোনা।

তিনি আরও বলেন, আজ শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসী হামলায় আহত হলেও একটি মহল নিশ্চুপ, আজ তাদের চেতনায় আঘাত লাগেনি, সেই বিশেষ মহলকে পক্ষপাতিত্বের রাজনীতি থেকে ফিরে আসার আহ্বান করবো।যেখানেই অন্যায় হবে সেখানেই আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। আমরা হুঁশিয়ারি করে বলে দিতে চাই, যদি ছাত্রদল কর্তৃক আর একজন ছাত্র বা শিক্ষকের রক্ত ঝরে, আপনাদের পরিণতি লীগের চেয়ে খারাপ হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান করবো আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে৷