কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ১১)
এখানে আপনাদের বেতারকেন্দ্র স্থাপন করা যাবে না
[পূর্ব প্রকাশের পর] আমাদের প্রথম দলের মিশনারিরা নিরাপদে দেশ ছেড়ে বেরিয়ে গেলে, আমরা বাকিদের জরুরি নির্গমন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে বসি, যদি তার প্রয়োজন পড়ে কখনো। আমাদের একাধিক সভার শেষে নিচের চারটি সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করা হয়।
• যারা যেতে চায় তাদেরকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হবে, এই প্রত্যাশায় যে, সামনের দিনগুলোতে সমুদ্র কিংবা আকাশপথে দেশত্যাগের আরো কোনো সুযোগ আসবে।
• একটা ট্রাক ভাড়া করা হবে নব্বই মাইল দূরে পাকিস্তান-বার্মার সীমান্ত শহর টেকনাফে যাওয়ার জন্য। সেখান থেকে আমরা নৌকায় নাফ নদী অতিক্রম করে বাসে চড়ে আকিয়াব যাব।
• যদি সড়কপথে চলাচল একবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে, তাহলে আমরা হাসপাতাল থেকেই সরাসরি নৌকা করে আকিয়াব রওনা হব।
• নৌকা বা সাম্পানে করে আমরা চট্টগ্রাম বা আশেপাশে অপেক্ষমাণ কোনো উদ্ধারকারী জাহাজে গিয়ে উঠব।
প্রত্যেকটি পরিকল্পনারই সীমাবদ্ধতা ছিল। আমরা শত হলেও বাইশজন প্রাপ্তবয়স্ক ও পঁচিশটি বাচ্চা নিয়ে কাজ করছি। ট্রাকযাত্রার ব্যাপারটা মোটামুটি বিবেচনা করা গেলেও, এই পঁচিশটি বাচ্চাকে সাম্পানের অমসৃণ তলদেশে গাদাগাদি করে বসিয়ে পাঁচদিনের সমুদ্রযাত্রার ভাবনাটি দুঃস্বপ্নের মতোই ছিল, যদি তা কেউ কল্পনা করতে চান আদৌ।
বিভিন্ন সম্ভাব্য পরিকল্পনার চুলচেরা বিশ্লেষণ করার জন্য আমরা একটি কমিটি গঠন করি। আমরা এর নাম দিই ‘আতঙ্ক কমিটি’। তারা ব্যাগ, জলপাত্র, টিনের খাদ্য, বাসনপত্র ইত্যাদি যোগাড়ে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দেয়। সাত বছর আগে, আমাদের হাসপাতাল নির্মাণের সময় এর কন্ট্রাক্টরদ্বয়, পল গুড্ম্যান ও টম ম্যাক্ডোনাল্ড, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুই যোদ্ধা, সামরিক কে-রেশনের শুকনো খাদ্যের টিন এনেছিল কিছু। এগুলোকেও আমাদের জরুরি রসদের তালিকায় যোগ করা হয়।
আমাদের পুরো দলটাকে তিনভাগে ভাগ করে প্রতি দলে সমানভাবে ছোটবাচ্চা, বড় বাচ্চা, স্বাস্থ্যকর্মী, নতুন ও পুরনো মিশনারিদের বণ্টন করে দেওয়া হয়। দলগুলোকে লাল, নীল আর হলুদ রঙের রিবন দিয়ে আলাদা করা হয়। (হলুদ দল অভিযোগ করে যে, দলগঠনের আগেই নাকি তাদের বিরুদ্ধে একটা আঘাত আসে।)
আমাদের নিজেদের প্রস্তুতির ব্যাপারে আমরা আমাদের দেশি কর্মীবৃন্দ ও চট্টগ্রামের শরণার্থীদেরকেও একটা সুচিন্তিত পলায়ন-পরিকল্পনা ভেবে রাখতে বলি। তারা ভুলভাবে বিশ্বাস করেছিল যে, যতক্ষণ আমরা আছি ততক্ষণ তাদের কোনো বিপদ হবে না।
“তা আপনারা কী করবেন যদি মিলিটারি এসে আপনাদেরকে গুলি করা শুরু করে?” আমরা জিজ্ঞাসা করি।
“আমরা দৌড়ে আপনাদের বাসায় চলে আসব,” তারা সরলভাবে জবাব দেয়।
গুড ফ্রাইডের রাত তিনটার দিকে, লিন ও বেকি তাদের বাসার পাশ দিয়ে একটা গাড়ি যাওয়ার শব্দে ঘুম থেকে জেগে ওঠে। তারা খুব সাবধানে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আবাসিক এলাকায় ঘুরতে থাকা গাড়ির শব্দটাকে অনুসরণ করতে চেষ্টা করে। কয়েক মিনিটের মধ্যে জে ওয়াল্শ তাঁর সাইকেলে চেপে আসেন, বন্দুকহাতে। রাতের বাতাস তাঁর কণ্ঠকে দূরে দাঁড়ানো মেয়ে দুজনের কাছে বয়ে নিয়ে আসে।
“এটা হাসপাতাল; আর আমরা ডাক্তার,” তিনি বলছিলেন।
পরদিন সকালে এই রহস্যের সমাধান হয়। গাড়িতে ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতারা, যারা আসলে হসপাতাল অঙ্গনে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের নতুন অফিস স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। তাঁরা পুরো জায়গাটা ঘুরে দেখেছেন এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নার্সদের আবাসন ভবনটাই হচ্ছে সবচেয়ে অবাধ স্থাপনা। তাঁরা এর একটি অংশ নিয়ে নেবেন, এই বলে ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেন।
চারজন মিশনারি পুরুষ আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদেরকে এ ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁরা অটল। জে নিশ্চিত ছিলেন যে, তাঁরা আবার ফিরে আসবে, তাই আমরা এই সমস্যাটা নিয়ে আলাপ করছিলাম। আমরা সবাই অনুভব করছিলাম, তাঁদেরকে জোর গলায় বলে দিতে হবে, এই হাসপাতালের মাঝখানে তাঁরা রেডিও স্টেশন বসাতে পারেন না, যদি না তাঁরা সেটা গায়ের জোরে করতে চান। আমরা একটা আপোস প্রস্তাব দিই যে, তাঁদেরকে আমরা একটা ছোট্ট, বহনযোগ্য জেনারেটর দেব, যেটাকে তাঁরা গাড়ির মধ্যে বসিয়ে জঙ্গলের ভেতর থেকেই তাঁদের গোপন বেতারকেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবেন।
জে ঠিকই ভেবেছিলেন। তাঁরা ফেরত আসেন আবার। প্রথমে একবার সন্ধ্যা নাগাদ আসেন একজন বন্দী ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে। তাঁরা এসে আমাদেরকে তাদের অনুকূলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলে চলে যান। রাত সাড়ে নয়টায় তাঁরা আবার আসেন। ডা. ওল্সেন এবং জে ওয়াল্শ যখন তাঁদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, আমরা তখন প্রার্থনা করছিলাম ও প্রার্থনাসংগীত গাইছিলাম। ঈশ্বর কি প্রার্থনার জবাব দেন? জে এবং ভিক ওল্সেন চকচকে মুখে ফেরত আসেন। তাঁরা হাসপাতালকে তাঁদের বেতারকেন্দ্র বানানোর ভাবনা থেকে সরে এসেছেন। তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, এখান থেকে রেডিও’র বেতার-তরঙ্গ শনাক্ত করা সহজ হবে এবং পাকিস্তানিরা তখন বোমা মেরে তা উড়িয়ে দেবে। বেতারেকেন্দ্র প্রকল্প বিষয়ে সেবারই শেষ শুনি আমরা তাঁদের কাছ থেকে।
ইস্টার সানডে ১৯৭১
দিনটা শুরু হয় সকাল ছয়টার প্রার্থনা দিয়ে। দিনভর ক্লাস ও প্রার্থনাসভার ভেতর দিয়ে খ্রিস্টবিশ্বাসের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিককে আমরা স্মরণ করছিলাম। বিকেলে মেয়েদের বাইবেল ক্লাসের পরে এক গাড়ি আওয়ামী লীগের নেতা হাসপাতালে এসে হাজির হন। গাড়ি থেকে নেমেই তাঁরা তাঁদের কাহিনী শুরু করেন। ক্যাপ্টেন হারুন, মুক্তিবাহিনীর একজন উঁচু অফিসার চিটাগাংয়ের উপকণ্ঠে কালুরঘাট সেতুর কাছে যুদ্ধে ভীষণভাবে আহত হয়েছেন। তাঁরা তাঁকে পটিয়ায় তাঁদের ফিল্ড হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে ডাক্তাররা তাঁর পেটে অপারেশন করেছে। অজ্ঞান না করে স্রেফ একটি ডেমেরল দিয়েই অপারেশন করে তাঁরা তাঁর পেটের দুই ফুটের মতো বুলেটজর্জর অন্ত্র বার করে ফেলে দেন। তারপর তাঁরা ঘোষণা দেন, “অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তিনি এখন খুবই দুর্বল।”
সঙ্গে সঙ্গে ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান বব আডল্ফ গাড়িতে-বসা একজনের শরীর থেকে কিছু রক্ত নিয়ে তাঁদেরকে দিলে তাঁরা তা নিয়ে দ্রুতবেগে যেপথে এসেছিলেন সেপথে ফিরে যান। ডা. ডন কেচাম তাঁদেরকে বলে দেন, ক্যাপ্টেনকে সেই সাময়িক আশ্রয় থেকে বার করে এনে এই হাসপাতালে নিয়ে আসতে। কয়েকদিন পরে তাঁরা সেই অসম্ভব দুর্বল রোগীটিকে আমাদের কাছে নিয়ে আসেন। তাঁর শরীরে আবারও মেরামতি অপারেশন করা হয়, এবং তিনি চট্টগাম থেকে আসা একজন ব্যাংক ম্যানেজার হিসাবে সেরে উঠতে থাকেন। তাঁর সন্ধানে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনাদের আমাদের হাসপাতালে আগমনের আগেই ডা. কেচাম তাঁকে নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
সেই দিনগুলোতে আমি ও লিন আমাদের চট্টগ্রামের শরণার্থীদের জন্য একধরনের বিশেষ দায়িত্ব বোধ করছিলাম। আমরা মিশনারিদের বাগান তন্ন তন্ন করে, শাকটা, শিমটা কুড়িয়ে আনছিলাম তাদের জন্য। (আপনারা কি জানতেন যে পুরনো, তেতো লেটুস পাতার রান্নাও বেশ স্বাদের হয়?) আমরা প্রত্যেকদিন সকালে এইসব শাকসব্জি বহন করে ওদের বাড়ি যেতাম এবং সবাইকে সেসব ভাগ করে দিতাম। আমরা বাচ্চাদের ব্যাপারেও খেয়াল রাখছিলাম। এতখানি খোলা মাঠ দৌড়ঝাঁপ করার জন্য! আর সেইসব সাইকেল! এটা শহরের বাচ্চাদের জন্য অনেক বড় লোভনীয় বিষয়, বিশেষ করে যারা অস্থির সময়টায় পুরোপুরি ঘরবন্দী ছিল।
সেখানে অধিকাংশ সময়ই লিন মিশনারিদের ভাষা শেখানোর এবং হাসপাতালে কাজ করছিল। আমার কাজ ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর বাচ্চাদের পড়ানো, যারা তাদের শিক্ষকদের ও আমাদের বার্ষিক শিশুশিবিরের জন্য সংগৃহীত লেখার সরঞ্জামাদি হারিয়ে ফেলেছিল।
আমরা সময় কাটানোর জন্য সবাই মিলে ডায়রিও লিখছিলাম, যদি কখনো কিছু মনে করতে হয়, কিংবা কাউকে এই দিনগুলোর গল্প করতে হয়, একথা ভেবে। এই রইল ডায়রির কয়েকটি পাতা।
শুক্রবার, এপ্রিল ১৬, দুপুর ২.২০
সবাই দিবানিদ্রা উপভোগ করছিলেন, এমন সময় শোর উঠল, “মিলিটারি এসেছে।” হাসপাতালের ভেতরে অবস্থানরত পরিবারসমূহ, ঘরের কাজের লোকেরা, এবং অন্যান্যরা তাড়াতাড়ি যার যার ঘরে ঢুকে যেতে শুরু করে। আমরা জানতে পারি যে, পটিয়া ও আমিরাবাদে (মালুমঘাট থেকে যথাক্রমে ৪৫ ও ২৫ মাইল দূরে) বোমা পড়েছে। তখন পর্যন্ত অবশ্য রাস্তা দিয়ে কোনো সৈন্য আসেনি।
মালুমঘাটে বোমা বর্ষণ করলে কী করব সে-নিয়ে কথা বলার জন্য মিলিত হই আমরা। সিদ্ধান্ত হয়: জঙ্গলের দিকে চলে যেতে হবে এবং সেখানে তখনও বিদ্যমান দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন ট্রেঞ্চগুলোতে ঢুকে পড়তে হবে। মলি বিল্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ট্রেঞ্চগুলোকে খুঁজে বার করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখার। লিন আর আমার দায়িত্ব ছিল নার্সদের হোস্টেলের ছাদ থেকে প্লেন আসছে কিনা সেটা দেখা। কোনো প্লেন দেখা যাওয়ামাত্র সেখানকার বিশাল ঘণ্টাটি বাজিয়ে দিতে হবে।
আমরা রাতের খাবার শেষ করামাত্র রিড মিনিখ তিনজন আমেরিকানকে নিয়ে হাজির হন।
রাত সোয়া আটটায় আরেকটা সভা বসে।
সেই তিনজন হলেন: যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এবং ঢাকা থেকে আসা ইউ এস এইডের দুজন প্রতিনিধি। চারজনই চট্টগাম থেকে এসেছেন গুর্গানসের স্টেশন ওয়াগনে করে, আমাদের দুটো বিশাল আমেরিকান পতাকা লাগিয়ে।
তাঁরা এসেছেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য সম্ভাব্য সবচেয়ে কড়া সাবধানবাণীটি জানাতে, যেন আমরা অবশ্যই দেশত্যাগ করি। তারা বলেন, এর আগের দিন সন্ধ্যায় ভয়েস অভ আমেরিকায় নাকি বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থানরত আমেরিকানদের বার্মার ভেতর দিয়ে দেশ ছাড়তে। আমরা কেউই অবশ্য সেই ঘোষণা শুনিনি। (আমরা একটা মিটিংয়ে ছিলাম।)
আমরা তাঁদেরকে অনেক প্রশ্ন করি। তাঁদের অধিকাংশ তথ্যই আশাব্যঞ্জক ছিল। তাঁরাও মনে করেন না যে, আমরা সত্যিকার যুদ্ধের ডামাডোলে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে আছি, যদি না অওয়ামী লীগের নেতারা হাসপাতাল দখল করে প্রতিরোধ শুরু করেন। তাঁরা এও ভাবেন, আমরা যতদিন এখানে আছি ততদিন দেশি নাগরিকেরাও নিরাপদ। শুধু হিন্দুরাই সত্যিকারের বিপদের মধ্যে ছিল। তাঁরা আমাদের ওপরই চরম সিদ্ধান্ত নেবার ভার দিয়ে যান, কারা থাকবে আর কারা চলে যাবে সেটা ঠিক করতে। পরদিন সকাল দশটার মধ্যে তাঁদের চট্টগ্রাম ফিরে যাবার কথা। তাঁরা চাচ্ছিলেন মিলিটারির সঙ্গে দেখা করে তাদেরকে দুদিনের জন্য বোমা ও গুলি বর্ষণ থেকে বিরত রাখতে, যাতে করে আমরা নিরাপদে এই পথটুকু পেরিয়ে যেতে পারি। পরিকল্পনাটা ছিল, আমেরিকান গাড়ির একটা বাহিনী আমাদেরকে নিয়ে চট্টগাম যাবে এবং সেখান থেকে আমরা একটা বড় বিমানে করে ঢাকায় চলে যাব।
দেশত্যাগের বিষয়ে আলোচনা শেষ হওয়ার পর সবাই প্রার্থনা, ও যার যার মতো বোঝাপড়া করতে চলে গেলে আমি ও লিন রিডকে বলি, শহরত্যাগের পর সেখানে কী কী ঘটেছে আমাদেরকে তা জানাতে? তিনি যে-বর্ণনা দিয়েছিলেন তা মোটেও আশাজাগানিয়া ছিল না। [চলবে]
কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ১০)
কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ৯)
কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ৮)
কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ৭)
কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ৬)