ক্ষীরা চাষে লাভ বেশি
-
-
|

ক্ষীরা চাষে লাভ বেশি। ছবি: বার্তা২৪.কম
দেশের অন্যতম নদী বেষ্টিত কৃষি প্রধান অঞ্চল চাঁদপুর। পদ্মা, মেঘনা, ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে। নদী মাতৃক জেলা হওয়ায় এখানে কম বেশি সব ধরনের ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মৌসুমে জেলায় ব্যাপক ক্ষীরা উৎপাদন হয়েছে।
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় এবার সাড়ে ৪শ হেক্টর জমিতে ক্ষীরা চাষ করা হয়েছে। এ বছর সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন ক্ষীরা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, চাঁদপুরের সব উপজেলার ছোট-বড় প্রায় ৩ শতাধিক হাট বাজারের শত শত হোটেল-রেস্তোরাঁয় ক্ষীরার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। এছাড়াও প্রতিটি পরিবারের ছোট বড় সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান, ওয়াজ, দোয়া মাহফিল ও বিয়েতে ক্ষীরার চাহিদা রয়েছে।
ক্ষীরা চাষি রোশনাই প্রামাণিক জানান, ক্ষীরা চাষে লাভ বেশি। তাই প্রতি বছরের মতো এ বছরও তিন বিঘা জমিতে ক্ষীরার চাষ করেছেন তিনি। এতে তার প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আরও প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে।
তিনি আরও জানান, বীজ বপনের ২ মাসের মধ্যেই মাঠ থেকে ক্ষীরা তোলা শুরু হয়। যদি এবার ফলন ভালো হয় তাহলে তিন বিঘা জমি থেকে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকা লাভ হবে তার।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, চাঁদপুর সদরে ১,৫৮০ মেট্রিক টন, মতলব উত্তরে ১ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন, মতলব দক্ষিণে ২৯৫ মেট্রিক টন, হাজীগঞ্জে ৯৮৮ মেট্রিক টন, শাহারাস্তিতে ৩৯৫ মেট্রিক টন, কচুয়ায় ২১৪ মেট্রিক টন, ফরিদগঞ্জে ৫৯৫ মেট্রিক টন এবং হাইমচরে ৩৩ মেট্রিক টন ক্ষীরা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।