বরিশালে ঈদ উপলক্ষ্যে পুরোনো বাসগুলো মেরামত ও নতুন করে সাজানোর কাজ চলছে। দক্ষিণাঞ্চলের সড়কপথে যাত্রীচাপ বাড়বে বলে বাস মালিকরা দ্রুততার সঙ্গে এই কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন। তবে পরিবহণ ব্যবসায়ীরা সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে পুরোনো বাসগুলোর রং করা ও মেরামতের কাজে ব্যস্ত শ্রমিকরা। তারা ঈদের আগেই কাজ শেষ করতে দিনরাত কাজ করছেন।
এবারের ঈদে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সড়কপথে যাত্রীদের চাপ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে বাস মালিকরা পুরোনো বাসগুলো মেরামত করে নতুনভাবে সড়কে নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে ফিটনেসবিহীন বাস চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাস মালিক সমিতির নেতারা।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেন জানান, পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা-বরিশাল সড়কপথের যাত্রা অনেকটা সহজ হয়েছে, ফলে যাত্রীসংখ্যা বেড়েছে। ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ আরও কয়েকগুণ বাড়বে, কিন্তু পুরোনো ও ফিটনেসবিহীন বাস চলাচল করায় সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসনকে বিষয়টি বারবার জানানো হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এছাড়া সড়কে থ্রি হুইলার চলাচল ও রাতে ডাকাতির ভয় নিয়েও যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবহণ মালিকরা। তবে বরিশাল নগর পুলিশের প্রধান শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক নিস্তার আহমেদ বলেন, হাইওয়ে সড়কে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে, যাতে অপরাধীরা কোনো ধরনের অপরাধ করতে না পারে।
নদীপথে এবার যাত্রীসংখ্যা কিছুটা কমেছে। বিআইডব্লিউটিসির সার্ভিস না থাকায় এবং বেসরকারি লঞ্চ মালিকদের কম যাত্রী পাওয়ার কারণে নদীপথে চাপ কম বলে জানা গেছে।
পরিবহণ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদকে ঘিরে বরিশালে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন। নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। বরিশালের নথুল্লাবাদ ও রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার বাস বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে।