এ বছর নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনের সবাই মারা গেছেন বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
সোমবার (৩ মার্চ) সংস্থাটি এই তথ্য প্রকাশ করলেও নিহতদের ব্যাপারে বিস্তারিত পরিচয় জানায়নি।
রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্য বলছে, নিপাহ ভাইরাসের প্রধান বাহক হলো বাদুড়। বাদুড়ের লালা দিয়ে দূষিত খেজুরের কাঁচা রস পান করার ফলে এই রোগ ছড়ায়। এছাড়া নেশা জাতীয় পানীয় ‘তাড়ি’ও সংক্রমণের মাধ্যম হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে সুস্থ মানুষের মধ্যেও ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
নিপাহ ভাইরাসে সংক্রমিত হলে ৫-৭ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়। সাধারণত জ্বরের সঙ্গে ঘুমঘুম ভাব, পেশিতে ব্যথা, বমি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, অস্থিরতা ও ঝিমুনি হয়। অনেক ক্ষেত্রে রোগী প্রায় অচেতন হয়ে যায়, মস্তিষ্কে প্রদাহ দেখা দেয় এবং শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে-সব রোগীর মস্তিষ্কে প্রদাহের লক্ষণ দেখা যায় এবং তারা কাঁচা খেজুরের রস পান করেছেন, তাদের নিপাহ সংক্রমণের সন্দেহভুক্ত তালিকায় রাখা হয়।
আইইডিসিআরের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২৩ সালে এক মায়ের বুকের দুধে নিপাহ ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়, যা সারা বিশ্বে বিরল ঘটনা। পরে ওই মায়ের সন্তান মারা যায়। ওই বছর দেশে পাঁচজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং সবারই মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশে গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৭১ শতাংশই মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো কার্যকরী ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা নেই, যা এটিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।