কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহার বলেন, যারা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করতে দিতে চায় না। তারা বলছে আমরা এখনই নির্বাচন চাই। আমরা এখনই সরকার গঠন করতে চাই। ওরা ১৫ বছর লুটপাট করেছে আমরাও ১৫ বছর, ২০ বছর লুটপাট করব। এটা হল পরিস্থিতি। আমাদের কাজ তারা করতে দিচ্ছে না। ফলে তাদের সম্পর্কে সাবধান থাকবেন। আমরা নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে চাই। যত অরাজকতা, যত বিশৃঙ্খলা হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বত্র এর পেছনে তাদের হাত আছে এবং পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগেরও হাত আছে। এটা বোঝার মত কাণ্ডজ্ঞান আমাদের থাকা উচিত।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আধ্যাত্বিক সাধক পুরুষ আব্দুল কাদির শাহ রহ এর ৫৭তম স্বরণোৎসব ও লোকজ মেলা বার্ষিক ওরসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি সারাদেশের বিভিন্ন মাজারে ভাঙচুরের কথা উল্লেখ করে বলেন, যারা মাজার ভেঙেছে তাদের কথার সাথে আমাদের রাসূল (সাঃ) এর দেখানো কথার কোন মিল নেই। এরা বিদেশি দুশমন। এর আমাদের দেশের গণ অভ্যুত্থানের পরে এই অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার জন্য দিল্লীর তাবেদারি আবার প্রতিষ্ঠা করার জন্য মাজার ভাংছে। আপনাদেরকে বিভ্রান্ত করছে। আমরা যদি সতর্ক না হই তাহলে আবারো আমাদের দেশকে দিল্লীর অধীনে নেবে। তারা ইসরায়েলী দালাল।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মজহার বলেন, পুলিশ নাই, কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাই। সেই তুলনায় ১৫ কোটি ১৭ কোটি মানুষের দেশ এখনো শান্ত শৃঙ্খলার মাঝে বাস করছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নাই।
বই মেলায় হামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, বই মেলায় যে ঘটনা, বাংলা একাডেমিতেও হয়েছে এটা পরিকল্পিত। কারন যে প্রকাশক একজন লেখিকার বই প্রকাশ করেছেন তাকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছে যে লেখিকা বাংলাদেশের জনগনের পক্ষে নন তিনি ভারতের বিজিবির পক্ষে এবং তার বই আমাদের জাতীয় বই মেলায় আমরা প্রচার করতে চাই না। যারা আমার দেশ ধ্বংস করতে চায়, দখল করতে চায় তাদের বই প্রচার করা যাবে না। সেটাই তারা বলতে চেয়েছিল। তখন প্রকাশক তাদের বই না সড়িয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিল। এবং তারা পরাজিত শক্তির পক্ষে দম্ভ দেখিয়েছে। তার পরেও সেখানে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। এক শ্রেণির ব্যক্তি ভারতের পক্ষে সেই লেখিকার পক্ষে দাবি করছে এটা লেখকদের স্বাধীনতা। লেখকদের স্বাধীনতার তর্ক নয়। দেশের জনগণের যারা দুশমন তাদের বই, তাদের তত্ত্ব, তাদের চিন্তা প্রচার করতে দেবেন কি দেবেন না তার তর্ক।
আব্দুল কাদির শাহ রহ এর ৫৭তম স্বরণোৎসব ও লোকজ মেলা বার্ষিক ওরশে নানা শ্রেণি পেশার লোকজন অংশ নেন। এছাড়াও দিনব্যাপী দেশের খ্যাতনামা শিল্পী লালন, বাউল ও পালা গান পরিবেশন করেন। এসময় আব্দুল কাদির শাহ রহ এর ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।