গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত দৈনিক ভিত্তিক পিয়ন কাম গার্ড হিসেবে কর্মরত সকল কর্মীকে গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়োগ বিধি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি অনুযায়ী স্থায়ীকরণ করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী পরিষদ।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এসব দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত দৈনিক ভিত্তিক পিয়ন কাম গার্ড হিসেবে কর্মরত সকল কর্মীকে গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়োগ বিধি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি অনুযায়ী স্থায়ীকরণ করতে হবে; দাবি আদায়ের আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে যে সব কর্মীকে চাকরিতে যোগদানে বাধা প্রদান করা হচ্ছে এবং ছাটাই করা হয়েছে তাদেরকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে চাকরিতে যোগদান এবং স্থায়ীকরণ করতে হবে; বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী বেতন ভাতা, বোনাস, কর্মঘণ্টা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ যাবতীয় সুবিধাদি প্রদান করতে হবে/ বাংলাদেশ ব্যাংক ও গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরি বিধি অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন ও গ্র্যাচুইটিসহ সামাজিক নিরাপত্তার যাবতীয় সুবিধা প্রদান করতে হবে; এবং নিয়োগ বিধি অনুযায়ী দৈনিক ভিত্তিক পিয়ন কাম গার্ড পদের কর্মীদের উল্লেখিত ৯ মাস কর্মরত থাকার পর হতে স্থায়ী কর্মী হিসেবে গণ্য করে বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে যথোপযুক্ত বকেয়া বেতন-ভাতাদি প্রদান করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত দৈনিক ভিত্তিক পিয়ন কাম-গার্ড হিসেবে তিন হাজারের অধিক কর্মী কর্মরত আছি। বাংলাদেশের শ্রম আইন অমান্য করে এবং গ্রামীণ ব্যাংক তার নিজের তৈরি আইন না মেনে আমাদেরকে ৩২ বছর ধরে অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। নিয়োগ বিধি অনুযায়ী ৯ মাস পর চাকরি স্থায়ীকরণ করার কথা বলা থাকলেও আমাদের ক্ষেত্রে এই বিধান মানা হচ্ছে না। আমরা গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা দ্বারা সর্বসময় হয়রানি, কারণ ছাড়াই ছাঁটাই, কাজে যোগদানে বাধা, বিনা বিশ্রামে কাজ করতে বাধ্য করাসহ নানা ধরনের অমানবিক আচরনণের শিকার হচ্ছি।
তারা আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে দেশে আজ নতুন সরকার এসেছে, কিন্তু আমরা যারা গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করি তারা সেই আগের মতোই বৈষম্যের শিকার হয়ে আছি। আমাদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
গ্রামীন ব্যাংক চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন আল মামুন বলেন, আমাদের দাবি যৌক্তিক। আমাদের দাবি মিনে না নেয়া হলে আমরা আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
অবস্থান কর্মসূচিতে এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি জসীম উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, মো. আশিকুল ইসলাম, আনোয়ার মনসুর ভুইঁয়া, আপেল মন্ডল প্রমুখ।