ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সুস্থ থাকার মূল মন্ত্র। তাই অনেকেই সুস্থ থাকতে বা সৌন্দর্য রাখতে অনেকে ব্যায়াম করে। তবে কেউ কেউ প্রতিদিন ব্যায়াম করলেও তাদের ওজন কমে না। আমাদের শরীর ওজন কমানোর যাত্রায় একটা নির্দিষ্ট সীমার পর ওজন কমে যাওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কষ্ট করেও ওজন না কমলে সেসময় হতাশা চলে আসতে পারে। এসময় খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের ফলে ওজনের পরিবর্তনও হতে পারে।
প্রতিদিন ব্যায়াম করার পরও ওজন না কমলে অনেকে হতাশ হয়ে পড়েন এবং ব্যায়াম করা বন্ধ করে দেন। তবে এমন করা উচিত নয়। কারণ ব্যায়াম শুধু ওজনই কমায় না, শরীরের নানারকম কার্যক্রমে ব্যায়াম প্রভাব ফেলে।
ভারতীয় চিকিৎসক রাজ গণপথ ব্যায়ামের নানা উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন-
পেশি: পেশি স্বর্ণের মতো, একেবারেই সহজলভ্য নয়। প্রতিদিন ব্যায়াম করলে পেশি ভালো থাকে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে পেশি হারানোও খুব স্বাভাবিক। তবে এই সময় নিজের প্রতি যত্ন নিতে শুরু করতে হবে।
হৃৎপিণ্ড: ব্যায়াম করার সময় হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। ব্যায়ামের সময় হৃৎস্পন্দনের বাড়া-কমা প্রভাবিত হয়। এতে বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও হৃৎস্পন্দন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। হৃৎস্পন্দন পুনরুদ্ধার করে উন্নত হলে বুঝতে হবে, হৃৎপিণ্ড ভালোভাবে কাজ করছে।
হাড়: ব্যায়াম করার সময় শুধু পেশির নয়, হাড়েরও ব্যায়াম হয়। প্রতিদিন ব্যায়াম করার সময় ভারী ওজনের বস্তু বহন করতে হয়। কম বয়সে এই কাজ বেশি কঠিন নয়। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই কাজ শরীরে ধকল পড়তে পারে। প্রতিদিন ব্যায়াম করায় হাড়ের খনিজ উপাদানের ঘনত্বও পরিবর্তন হয়। এর ফলে হাড়সংক্রান্ত সমস্যা কমে।
ফুসফুস: নিয়মিত ব্যায়াম করলে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার ক্রিয়া উন্নত হয়। ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করার ফলে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ে। তাই ফুসফুস দীর্ঘক্ষণ অক্সিজেন ধরে রাখতে সক্ষম হয়। এতে ভালোভাবে শ্বাসক্রিয়া হওয়ার পাশাপাশি ক্লান্তিহীনভাবে প্রতিদিনের কাজ করতেও সুবিধা হয়।
ব্যায়াম করা মানে শুধু ওজন কমানো নয়। ব্যায়াম পুরো শরীরের সার্বিক সব কাজকে ভেতর থেকে উন্নত করে। তাই ওজন না কমলে অস্থির হওয়ার কিছু নেই। হতাশ না হয়ে নিয়মিত ব্যায়াম চালিয়ে যাওয়া উচিত।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস