কর্মক্ষেত্রে অপি করিম একজন সফল নারী। অন্যান্য নারীদের পক্ষে কথা বলতে তিনি সবসময়ই সোচ্চার। তেমনি আন্তর্জাতিক নারী দিবসে পৃথিবীর সকল নারীর পক্ষে আবারও কথা বললেন তিনি।
একটি মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান তৈরি হওয়া একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে নারীদের নিয়ে কিছু ‘না-বলা সত্য’ বলেছেন এই অভিনেত্রী। তবে এটি প্রচলিত বিজ্ঞাপনচিত্র নয়। এখানে অপি শুধু মঞ্চে দাঁড়িয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীদের সঙ্গে ঘটে চলা বিভিন্ন সত্য তুলে ধরেছেন।
একইসঙ্গে এই বিজ্ঞাপনে অপি করিম সমাজের মানুষের কাছে ছুড়ে দিয়েছেন ৩টি প্রশ্ন!
১ম প্রশ্ন: নারী বললে প্রথমেই কী মাথায় আসে? সুপারওম্যান?
এরপর অপি বলেন, একজন নারী দক্ষ হাতে সামলান সংসার, মানুষ করেন সন্তান। অন্যদিকে চাকরির পাশাপাশি সামাজিকতাও রক্ষা করেন সমানতালে। নারীদের বিশেষকিছু তকমা দেওয়া হয়, যেমন- সুপারওম্যান, স্ট্রং, আনব্রেকেবল! এমনকি বলা হয়, সংসারে নারী আনে শান্তি। এমনকি পুরুষের তুলনায় দ্বিগুণ কাজ করেও তাদের শরীরে ক্লান্তি আসে না, এসব অহেতুক বোঝা কেন চাপিয়ে দেওয়া হয় নারীর কাঁধে? এমনকি সমাজের হাজারটা বোঝা চাপিয়ে দিয়ে বলা হয়, ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে।’
অপির ২য় প্রশ্ন: পুরুষদের কাজকে কেন এত আয়োজন করে বিশেষায়িত করা হয় না?
অপি বলেন, পুরুষের কাজ কেবল ঘরের বাইরে। অথচ ঘরে এত কাজ থাকে, সেটি পুরুষ বোঝেই না! পুরুষের মত ছুটির দিনে নারীদেরও একটু ঘুমাতে ইচ্ছে করে আরাম করে।
৩য় প্রশ্ন: জব, পরিবার, সংসারের দায়িত্ব, সঙ্গে আবার সবকিছু হতে হবে নির্ভুল! সব মিললে তবেই আদর্শ নারী! কেন নারীদেরকেই হতে হবে এতোটা যোগ্য? যে নারী শুধু ঘরের কাজ করেন, তার কেনো কোন গুরুত্ব নেই?
অপি নারীদের প্রতি যে বিশেষ বার্তা দেন সেটি হলো, ‘নারী বলেই, তোমাকে দুই হাতে সব সামলাতে হবে, এর কোনও মানে নেই। সুপারওম্যান হওয়ার দরকার নেই তোমার। তুমি হও তোমার মতো।’
সবশেষে অপি নারীদের প্রতি বলেন, “নারী মানেই এই না যে, সব কাজকে টিক মার্ক দিয়ে যেতে হবে। নারীর পাশে বসিয়ে দেওয়া সব স্ট্যান্ডার্ডকে ছুড়ে ফেলে তোমাকে ‘তুমি; হতে হবে।”
উল্লেখ্য, সচেতনতামূলক এই বিজ্ঞাপনেরর চিত্রনাট্য লিখেছেন রাসেল মাহমুদ, পরিচালনায় সজল আহমেদ।