ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন অভিনেতা হারুন রশিদ। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে রাজধানীর ৩০০ ফিটে ছিনতাইয়ের শিকার হন তিনি। হারুন রশিদ জানান, তিনি শুটিং থেকে ফিরছিলেন। এসময় ছিনতাইকারীরা তাকে ধরেন।
তবে এই ঘটনায় ছিনতাইকারীরা হারুনকে চিনে ফেলায় বড় কোনো ক্ষতির থেকে রক্ষা পেয়েছেন অভিনেতা। শনিবার দিবাগত রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি জানান হারুন রশিদ।
যেখানে তিনি লেখেন, ‘কাঞ্চন ৩০০ ফিট থেকে কুড়িল বিশ্বরোড রাত বিরাতে সাবধানে। আজকে আমি কট খেয়েছি কাল আপনি খেতে পারেন। ওই রোডে রাতে সিএনজি স্টার্ট বন্ধ হলে ধরে নেবেন আপনি কট। যেমনটা আমার হয়েছে। শরীরের উপর দিয়া যায় নাই টাকার ওপর দিয়ে গেছে। নাটক করি বলে মোবাইলটা দিয়া গেছে। ধন্যবাদ ছিনতাইকারী ভাইয়েরা।’
হারুন রশিদ জানান, ৩০০ ফিটে রূপগঞ্জে ম্যাডামের বাড়ি বলে পরিচিত স্থানে শুটিং শেষে ফেরার পথে নীলা মার্কেটের কাছাকাছি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ি। ওরা মানিব্যাগ থেকে প্রায় ৯ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।
ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘কাঞ্চন থেকে একটা সিএনজিতে উঠেছিলাম। সিএনজিটা ৫-৬ মিনিট চলার পরে নীলা মার্কেটের কাছাকাছি এসে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। সিএনজিচালক একটা অন্ধকার জায়গায় গাড়িটা থামায়। এসময় সে আমাকে জানায়, গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাশের একটা রোড থেকে দুইটা বাইকে চারজন ছেলে এসে চাপাটি নিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসে। তারা সিএনজির ভেতর থেকে ব্যাগ বের করে দেখে সেখানে কিছুই নেই। এরপর আমার মানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে নেয়। টাকাগুলো রেখে শুধু মানিব্যাগটা ফিরিয়ে দেয়।’
পরের ঘটনা উল্লেখ করে হারুন বলেন, ‘‘ছিনতাইকারীদের মধ্যে একজন আমাকে চিনে ফেলে। ওই ছেলে সঙ্গে থাকা তার সঙ্গীদের বলতে থাকে, ‘উনি তো নাটক করে। ওনার মোবাইল নিলে ঝামেলায় পড়বো।’ এরপর ওরা মোবাইলটি ফেরত দিয়েই মুহূর্তের মধ্যে সেই জায়গা ত্যাগ করে।’’
হারুন রশিদ বলেন, ‘এসব ঘটনা আগে মানুষের কাছ থেকে শুনতাম, আজকে নিজের সঙ্গে ঘটলো। যেন ট্রমায় চলে গেলাম। অসহায় অবস্থায় ফুটপাতের মধ্যে বসে পড়লাম। এরপর একটা গাড়ি থামালাম। লোকটা আমাকে কুড়িল বিশ্বরোডে নামিয়ে দিল। সেখানে একটা বিকাশের দোকান থেকে টাকা তুলে সিএনজি নিয়ে বাসায় ফিরলাম।’
এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলার পদক্ষেপ নেননি বলে জানিয়েছেন এই অভিনেতা।