চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ১৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। বহিষ্কৃত সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদফতরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক ২১টি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন, সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমানকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া, সংগঠনটির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৌমিক জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম ও তাহসিন ইশতিয়াক এক বছরের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন।
এছাড়া, চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তোফাইয়া রাব্বি, মো. সাদিকুজ্জামান, ইউসুফ আবদুল্লাহ, মো. তানভীর জনি, ইফতেখার সাজিদ, শাকিল ফরাজী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, মাহমুদুল হাসান, মো. রিফাত হোসাইন, মইনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল করিম ও আবদুর রহমানকে আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
তবে, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি চিন্ময় কুমার দেবনাথ ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাকিব উদ্দিন চৌধুরীকে শুধুমাত্র সতর্ক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ছাত্রকল্যাণ অধিদফতরের পরিচালক মাহবুবুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থবিরোধী ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তাদের জবাব ও প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে শৃঙ্খলা কমিটি এই শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।