ফিফার ফেসবুক পেজে রবিউল ইসলাম জীবনের গান

  • স্পোর্টস রিপোর্টার, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশের সংগীত জগতে রবিউল ইসলাম জীবন এক পরিচিত নাম। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই গীতিকবি দীর্ঘ দুই দশক ধরে লিখে চলেছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। এবার তার সৃষ্টির আরেকটি নতুন স্বীকৃতি পেলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে—ফিফার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্থান পেল তার লেখা গান!

১৯ ফেব্রুয়ারি, বুধবার ফিফার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের উদীয়মান ফুটবল তারকা শেখ মোরসালিনের একটি ছবি পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনে ফিফা লিখেছে রবিউল ইসলাম জীবনের কালজয়ী গানের লাইন-‘লাল-সবুজের বিজয় নিশান, হাতে হাতে ছড়িয়ে দাও।’

বিজ্ঞাপন

ফিফার মতো বিশাল মঞ্চে বাংলাদেশের গানের চরণ জায়গা পাওয়া নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়। পোস্টটি প্রকাশের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় দুই লাখের বেশি রিয়েক্ট, প্রায় ১০ হাজার মন্তব্য দেখা যায়। ‘জ্বলে ওঠো বাংলাদেশ’ শুধু একটি গান নয়, এটি বাংলাদেশের আবেগ, উৎসাহ আর বিজয়ের প্রতিচিত্র!

২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছিল ‘জ্বলে ওঠো বাংলাদেশ’ গানটি। রবিউল ইসলাম জীবনের কথায় গানটির সুর-সংগীতায়োজন করেছেন আরফিন রুমি, আর কণ্ঠ দিয়েছেন ব্যান্ড ‘দূরবীন’-এর সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

গানটি সময়ের পরিক্রমায় শুধু ক্রিকেট নয়, বাংলাদেশের সকল ক্রীড়া ইভেন্টের গ্যালারির অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। ফুটবল, ক্রিকেট কিংবা অন্য কোনো প্রতিযোগিতা—বাংলাদেশের সমর্থকদের কণ্ঠে বারবার ফিরে আসে এই গান।

নিজের লেখা গান ফিফার মতো প্রতিষ্ঠানের পেজে দেখার অনুভূতি নিয়ে রবিউল ইসলাম জীবন বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের মানুষের গান। ২০১১ সালে যখন আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়ার ম্যাচ হয়, সেদিন এই গানটা গ্যালারিতে বেজে ওঠে। তখন আমি মাঠেই উপস্থিত ছিলাম। সেই অনুভূতিটা যেমন ছিল, আজকে ফিফার পেজে গানটি দেখে একই অনুভূতি হলো।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই গানটা এখন বাংলাদেশের মানুষের গান হয়ে গেছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্রই বাজতে শোনা যায়। সকলের এই ভালোবাসাই আমাকে আরও ভালো কিছু লেখার অনুপ্রেরণা জোগায়।’

দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে গীতিকার হিসেবে কাজ করছেন রবিউল ইসলাম জীবন। সিনেমা, নাটক, অডিও গান—সব মাধ্যমেই তার অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি আসে ২০২২ সালে, ‘পরাণ’ সিনেমার ‘ধীরে ধীরে’ গানটির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গীতিকবির সম্মাননা পান তিনি।