‘আলহামদুলিল্লাহ সফল হয়েছি, ভালো লাগছে’
জ্যামাইকায় জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ২৮৭ রানের সেই মিশন ইমপসিবলের সামনে নেমে তাইজুল ইসলামের স্পিনে উড়ে গেল স্বাগতিকরা। আরও একটা ফাইফার তুলে নিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট জয়ের নায়ক হয়ে গেলেন তিনি।
ক্রেইগ ব্রাফেট, মিকাইল লুই, কাভেম হজ, অ্যালিক অ্যাথানেজ ও জশুয়া দা সিলভাকে সাজঘরে পাঠিয়ে শেষ করে দেন ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং লাইন আপ। ১০১ রানে জয়ের পর আর তাইজুলের ম্যাচসেরার পুরস্কার কে আটকায়?
টেস্ট ক্যারিয়ারে এনিয়ে ১৫তম বারের মতো ৫ উইকেট পেলেন তাইজুল। সঙ্গে ম্যাচসেরাও। সিরিজ ড্রয়ের পর ভিডিও বার্তায় তাইজুল জানালেন এই পারফরম্যান্সে খুশি তিনি। বলছিলেন, ‘আমি আমার বোলিং নিয়ে সন্তুষ্ট। আমার কাছে দলের যে চাওয়া ছিল তা আলহামদুলিল্লাহ আমি পূরণ করতে পেরেছি। চতুর্থ ইনিংসে যখন বোলিং করতে আসি, আমার ওপরে দলের একটা বড় চাওয়া ছিল। আলহামদুলিল্লাহ, তা করতে সফল হয়েছি। ভালো লাগছে।’
শুধু নিজেরই নয়, গোটা দলের বিশেষ করে বাংলাদেশের বোরিং অ্যাটাকেরও প্রশংসা করলেন তাইজুল, ‘দেখুন, এই জয়টা এসেছে পুরোপুরি অপরিচিত কন্ডিশনে। সবাই চেষ্টা করেছে, দলের প্রতিটি ক্রিকেটার জয় পেতে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিল। বর্তমানে আমাদের যে পেস ও স্পিন আক্রমণ আছে, আমরা খুব ভালো খেলছি। সবাই ভালো ছন্দে রয়েছে। যেকোনো ব্যাটিং আক্রমণের বিপক্ষে লড়তে পারি আমরা।’
শুধু বল হাতে নয়, জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটেও ভাল করেছেন তাইজুল। ৫০ বলে খেলে ১৪ রান তুলেছেন। আর এই ইনিংস খেলে সবচেয়ে বড় উপকারটা করেছেন জাকের আলি অনিকের। তাকে সঙ্গ দিয়ে গেছেন। এ কারণেই জাকের খেলতে পেরেছেন তার ক্লাসিক ৯১ রানের ইনিংস!