সিরিজ-সেরা তাসকিন বললেন ‘সামনে আরও আসবে’
জ্যামাইকা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে তিনি নিয়েছেন ১ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট। তার আগে অ্যান্টিগা টেস্টে নিয়েছে ৮ উইকেট। তার পথ ধরেই ম্যান অব দা সিরিজের পুরস্কার পেয়ে গেলেন তাসকিন আহমেদ। জেইডেন সিলসের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের এই পেসার সিরিজসেরা।
যদিও সিরিজসেরার সেই ট্রফিটা সিলস সৌজন্য দেখিয়ে তাসকিনকে দিয়ে দিলেন। তাতে যেন আনন্দটা দ্বিগুণ হয়ে গেল এই পেসারের। ট্রফি নিয়ে হাসি যেন থামছিলই না। একইসঙ্গে আত্মবিশ্বাসটাও আকাশ ছুঁয়ে গেল। জানালেন, এটা তো সবে শুরু। সামনে আরও চমক দেখাতে চান।
এবার কাঁধের চোট সামলে ফিরেই ছন্দ থাকল তাসকিনের খেলায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ ম্যাচের এই সিরিজে ৪ ইনিংসে তুলেছেন ১১ উইকেট। দুই দেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিনই এগিয়ে। অ্যান্টিগায় দল হারলেও উইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ক্যারিয়ারসেরা সাফল্য- ৬৪ রানে ৬ উইকেট।
এমন সাফল্যের পথ ধরেই সিরিজ-সেরা। আনন্দে উড়ছেন তাসকিন। তবে বাস্তবতাটাও জানেন তিনি। জ্যামাইকা টেস্টে ১০১ রানে জয়ের পর তাসকিন বলছিলেন, ‘দেখুন, এটি অনেক বড় অর্জন। আমরা টেস্ট সিরিজ ড্র করলাম। তাদের কন্ডিশনে অনেক বড় বড় দল ভোগান্তিতে পড়ে। আমরাও কঠিন সময় পার করছিলাম। পাকিস্তানে সিরিজ জয়ের পর কয়েকটি সিরিজ হেরে যাওয়ায় মানসিকভাবে দমে গিয়েছিলাম আমরা। ভাল লাগছে এখানে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।’
নিজে সিরিজ-সেরা হলেন। এনিয়ে অনুভূতি জানাতে গিয়ে তারকা এই পেসার সৃষ্টিকর্তার প্রতিও জানালেন কৃতজ্ঞতা। বলছিলেন, ‘দুটি ম্যাচেই আমি আমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। আর আল্লাহতায়ালা আমাকে এই পুরস্কার দিয়েছেন ম্যান অব দা সিরিজ হিসেবে।’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘আমি খুবই খুশি। যদিও কাজটা সহজ ছিল না। কাঁধের অবস্থা বাজে ছিল। স্রষ্টার কৃপায় এখন টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে আসছি। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। সেটি এখন ফলপ্রসূ হতে শুরু করল।’
অবশ্য তাসকিন বরাবরই দুর্ভাগা একজন। ক্যারিয়ারে যখন দুর্দান্ত ফর্মে তখনো চোটে পড়ে চলে গেছেন মাঠের বাইরে। এবার ফের ছন্দে। নিজের দুঃসময়ের কথা ঠিকই মনে আছে তার। কাঁধের ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে কম তো পরিশ্রম করেননি। বলছিলেন, ‘আশা করি, সামনের দিনগুলোতে আরও সাফল্য আসবে। কাঁধের সমস্যা কাটিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার অনেক চেষ্টা করছিলাম। এখন আগের চেয়ে ভালো আছে। আশা করছি সামনে এমন আরও অর্জন হবে।’