স্বৈরাচারের বিচার ও নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জমিয়তের

  • স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশে অরাজকতা, নারীর প্রতি সহিংসতা ও ছিনতাই বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি অবিলম্বে নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত হোটেল ওয়েস্টনে আলেম সমাজ, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, পেশাজীবীদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এই দাবি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদী বিরোধী রক্তাক্ত আন্দোলন সংগ্রামের চূড়ান্ত ধাপে ২০২৪ আমাদের ইতিহাসের একটি গৌরবময় অধ্যায়। আওয়ামী লীগের গুমখুনের অধ্যায় শেষ। নতুন করে কোনো ফ্যাসিস্টের উত্থানের সুযোগ নেই। আমরা দেশের সৌহার্দ্য ও সহযোগিতাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ নির্মাণ করতে চাই। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, স্বাধীন বিচার বিভাগ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বয়ংক্রিয় ও দক্ষ করে তোলার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ দীর্ঘ আড়াই দশক আমাদের সাথে আন্দোলনের অংশ ছিলো। দীর্ঘ স্বৈরশাসনের পরে একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে। এখন সময় হলো বাংলাদেশ গড়ার।

বিজ্ঞাপন

জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা ডক্টর গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, অবিলম্বে পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের বিচার করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। দেশের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিন।

সভাপতির বক্তব্যে জমিয়ত সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী বলেন, দেশ এখন কঠিন সময় পার করছে। আমাদের ঐক্য এবং সংগ্রামী চেতনায় যেন চিড় না ধরে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসছি। আমাদের ঐক্য অটুট না থাকলে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের শত্রুরা খুশি হবে। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপানারা দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতে দেশের দায়িত্বভার তুলে দিন।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ, এলডিপির মহাসচিব তমিজুদদ্দীন টিটু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাগপা মহাসচিব অধ্যাপক ইকবাল প্রধান, এবি পার্টি ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল দিদারুল আলম, পিএনপি চেয়ারম্যান মোঃ লিটন, ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল করিম, জমিয়ত নির্বাহী সভাপতি মাওঃ শহীদুল ইসলাম আনসারী, সহসভাপতি মুফতি আরিফ বিল্লাহ ঝিনাইদহ, মুফতি রেজাউল করিম খুলনা, মাওলানা ফায়েক আহমদ, সিনি. যুগ্মমহাসচিব মাওলানা রশিদ বিন ওয়াক্কাস, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, মাওলানা সালেহ আহমদ আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন খান, মাওলানা আবুল কাসেম, হাফিজ মু. রশিদ আহমদ, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, অর্থ সম্পাদক মুফতি আতাউর রহমান খান, প্রচার সম্পাদক সৈয়দ তালহা আলম, যুব জমিয়ত সভাপতি মুফতি হোসাইন আহমদ, সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল হালীম বিন হারুন, সহ সভাপতি মুফতি কামরুজ্জামান কাসেমী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোহাইল আহমদ, সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাসান আল মামুন, মুফতি মুহাম্মদ ইসলামাবাদী, কেন্দ্রীয় ছাত্র জমিয়ত সভাপতি হাফেজ খালেদ মাহমুদসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।