রাজশাহীতে করোনার উপসর্গ নিয়ে একদিনে ৭ জনের মৃত্যু

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া একজনকে দাফন করছেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সদস্যরা

উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া একজনকে দাফন করছেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সদস্যরা

রাজশাহীতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে একদিনে ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (২৭ জুন) রাত থেকে রোববার (২৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত তাদের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে ৪ জন মারা গেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে।

হাসপাতালে মারা যাওয়া রোগীরা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর আমবাগান এলাকার সাইদুর রহমান (৪৫), শিরোইল কলোনী বড় মসজিদ এলাকার সিয়ামুল হক (৬০), লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার রাবেয়া বেগম (৬৫) এবং ঘোষপাড়া এলাকার মো. খোকন (৪০)।

বিজ্ঞাপন

এদের মধ্যে খোকন ও সিয়ামুল মারা গেছেন হাসপাতালের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে। সাইদুর ছিলেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে। আর রাবেয়া বেগম ছিলেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)।

মৃত অন্য তিনজন হলেন- রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ গ্রামের মকবুল হোসেন (৭৫), রাজশাহীর হযরত শাহমখদুম (র.) মাজারে আসা যশোরের অভয়নগরের আশরাফুল ইসলাম (৪৮) এবং বোয়ালিয়া থানা এলাকার সুভাষ চন্দ্র সাহা (৫০)।

বিজ্ঞাপন

রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তানোরে মারা যাওয়া মকবুল হোসেনের দুই ছেলে করোনায় আক্রান্ত। মকবুল করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। মকবুল ছাড়া বাকি ৬ জনের মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করেছেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা।

যশোর থেকে রাজশাহীর শাহ মখদুম মাজারে আসা আশরাফুল ইসলামের বিষয়ে পুলিশ জানায়, তিনি মাজারের সামনে থাকতেন। কয়েকদিন ধরে তার জ্বর ছিল। রোববার সকালে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে রামেকের মর্গে পাঠায়। পরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে দাফনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে যারা মারা গেছেন তাদের মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তারা করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নমুনা পরীক্ষার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে। বাকি তিনজনের নমুনা নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।