করোনার ক্ষতি কাটাতে কর্মপরিকল্পনা করছে সমবায় বিভাগ

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সভা

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সভা

করোনায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে উত্তরণে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।

বুধবার (১৩ মে) করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে উত্তরণে করণীয় নির্ধারণ এবং কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এ কথা জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

সভায় করোনাভাইরাস মহামারিজনিত কারণে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়, দারিদ্র্য বিমোচনে আগামীতে কীভাবে গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখা যায়— এসব বিষয়ে দপ্তর সংস্থার প্রধানরা মতামত দেন।

প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, করোনায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে উত্তরণে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ করছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ সরাসরি অবদান রাখছে। এই দুর্যোগে আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে আমরা সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া এই দুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব নয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ঘোষিত মাঠ পর্যায়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অংশ হিসেবে গণপরিবহন, অন্যান্য যানবাহন চলাচল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু কিছু এলাকা লকডাউন হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে দেশের আরও কিছু এলাকা লকডাউনের আওতায় আসতে পারে। এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ও ওষুধ ব্যতীত অন্যান্য মালামাল বিপণন বন্ধ রয়েছে।

এ অবস্থার প্রেক্ষিতে সদস্যরা ঋণ নিয়ে বিভিন্ন কাজে বিনিয়োগ করলেও বর্তমানে পণ্য উৎপাদনে নিয়োজিত সদস্যরা কাঁচামাল সরবরাহ ও উৎপাদিত পণ্য বিপণন করতে না পারায় সুফল পাচ্ছেন না। ফলে, উপকারভোগী সদস্যদের একদিকে যেমন পূর্বের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নেই, অন্যদিকে পিডিবিএফ এর অপর্যাপ্ত ঋণ তহবিলের কারণে নতুন করে এসকল উপকারভোগীদের পুনরায় ঋণ দেয়া সম্ভব হবে না। এ বিভাগের আওতায় প্রায় দেড় কোটি মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনে সরাসরিভাবে জড়িত, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

বিভাগের সচিব মো. রেজাউল আহসান বলেন, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য শুরু থেকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এই বিভাগ। আমরা যেন থেমে না থাকি, সবাইকে ঋণ কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে, কোথাও যদি অসুবিধা হয় সঙ্গে সঙ্গে দপ্তর সংস্থার মাধ্যমে আমাকে জানাতে পারবেন। কোথাও অসুবিধা হলো তা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে মতবিনিময় করেন মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আফজাল হোসেন, পিডিবিএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, এসএফডিএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এইচ এম আব্দুল্লাহ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।