মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর বোনের ভিডিও অপসারণে আইনি নোটিশ

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর বোন ও পরিবারের সদস্যদের জবাবদিহিমূলক সাক্ষাৎকারসহ সব ভিডিও অপসারণের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ‘আমরাও মানুষ’ নামে একটি ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে ভিকটিম পরিবারের ভিডিও প্রকাশ করায় এটি পাঠানো হয়। একইসঙ্গে দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

জনস্বার্থে এই নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান । এটি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) পাঠানো হয়।

বিজ্ঞাপন

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারার বিধান অনুসারে, ভিকটিম শিশু বা তার পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করা আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আইন লঙ্ঘন করলে দুই বছর কারাদণ্ড বা অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। তবে এই বিধান উপেক্ষা করেই ভিকটিম শিশুর পরিচয় সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

৯ মার্চ দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বেশকিছু আদেশ দেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ শিশুটির ছবি, ভিডিও ও পরিচয় শনাক্তকারী সব পোস্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আইনের ১৪ ধারা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

বিজ্ঞাপন

হাইকোর্ট আরও বলেন, শিশুটির বোনও একজন শিশু। তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। আদালত ঢাকা ও মাগুরার সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে এই আদেশ ও আইনি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই যশোরের এক নারী বাইকার ‘আমরাও মানুষ’ নামক ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও প্রকাশ করেন। ভিডিওতে শিশুটির বড় বোনকে ঘটনাটি বর্ণনা দিতে বলা হয় এবং তাকে জবাবদিহিমূলক প্রশ্ন করা হয়। ওই কনটেন্ট ক্রিয়েটর একই ঘটনার একাধিক ভিডিও আপলোড করেন, যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে ভিকটিম পরিবারটি আরও বেশি সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

নোটিশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব ভিডিও অপসারণের অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার ও ভিকটিম পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে।

এছাড়া, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় প্রতিকার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।