বাম্পার ফলনেও লোকসানে তরমুজ চাষিরা
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস-
-
|

তরমুজের বাম্পার ফলনের পরও লোকসানের মুখে চাষিরা
পঞ্চগড়ে গত বছরের তুলনায় এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে জেলার ৫ উপজেলার চাষিরা তরমুজের বাম্পার ফলন পেয়েও এবার লোকসানে পড়েছেন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে জেলায় জেলায় লকডাউন চলায় বাইরে থেকে পাইকার ও ব্যবসায়ীরা না আসায় ক্ষেতেই পচে যাচ্ছে তরমুজ। কোন কোন চাষি পুঁজি তোলার আশায় স্বল্প দামে ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি করে দিচ্ছেন।
বুধবার (১৩ মে) জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ক্ষেত ভরা তরমুজ রয়েছে, তবে ব্যবসায়ী বা পাইকারদের দেখা নেই। কেউ কেউ ক্রেতা না পেয়ে স্থানীয়দের মাঝে পানির দামে তরমুজ বিক্রি করছেন।
জেলার সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের বিষমনি এলাকার তরমুজ চাষি আফজাল হোসেন বলেন, লাভের আশায় গত বছরের চেয়ে বেশি করে এবার তরমুজের চাষ করেছি। তরমুজের ফলন ও আকৃতি ভালো পেয়েছি, কিন্তু দাম পাচ্ছি না। যা বিক্রি করেছি তা দিয়ে উৎপাদন খরচও তুলতে পারিনি।

একই কথা জানান জেলার সীমান্তবর্তী তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান এলাকার তরমুজ চাষি জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনার কারণে এবার তরমুজ চাষ করে লোকসানে পড়েছি। যে তরমুজ বৈশাখ মাসের প্রথম দিকে বিক্রি হয়ে যাওয়ার কথা সেই তরমুজ এখনো বিক্রি হচ্ছে না।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হানিফ জানান, জেলার পাচঁ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলতি মৌসুমে ১শ’ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। ফলনও গত বছরের তুলায় ভালো হয়েছে। তবে লকডাউন পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়ী আসতে না পারায় বিক্রি নিয়ে কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। কৃষকরা যদি ব্যবসায়ীদের ঠিকানা দেয় তাহলে আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে তরমুজ বিক্রিতে সহযোগিতা করব।