করোনার সঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধেও নজর মসিকের

  • উবায়দুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা নামক প্রাণঘাতী এক ভাইরাস। বাংলাদেশেও এর ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছে। তাইতো ঘরবন্দী হয়ে মানুষের দিন কাটছে উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কে। করোনার কারণে পুরো দেশ যখন স্থবির আর ভয়ে আক্রান্ত, ঠিক তখনই দেশে নতুন আতঙ্কে নাম এডিস মশা। এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত হচ্ছে এডিস থেকে সৃষ্ট ডেঙ্গুর মৌসুম। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের পিক টাইম।

এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধেও নজর দিয়েছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক)। মসিক এলাকায় মশকনিধন কার্যক্রমে ব্যবহৃত কীটনাশক (লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইড) প্রয়োগে স্প্রে এবং ফগার ম্যাশিনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে মশক নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম।

বিজ্ঞাপন

মসিক সূত্র জানায়, গত ২ এপ্রিল শুরু হওয়া এ ক্রাশ প্রোগ্রামের প্রথম ধাপে ইতোমধ্যে মসিকের আওতাভুক্ত ৩৩ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ থেকে ২২ নং ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এরপর গত ৬ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া মশক নিধন কার্যক্রমের দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ২৩ থেকে ৩৩ নং ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

সূত্রটি আরও জানায়, গত মার্চ মাসের শুরুতেই মসিক এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হয়। এ কার্যক্রমকে আরও পরিকল্পিত এবং কার্যকরি করার লক্ষ্যে মশক নিধনে ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রোগ্রামের নির্দেশ দেন সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এইচ কে দেবনাথ বলেন, ‘আমাদের বর্তমান ওয়ার্ড ভিত্তিক বিশেষ এ কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রতিটি এলাকাকে আলাদা আলাদাভাবে মনযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আগামী ১০ তারিখে আমাদের এ ক্রাশ প্রোগ্রাম শেষ হয়ে গেলেও লার্ভিসাইড স্প্রের মাধ্যমে ডেঙ্গু মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস কার্যক্রম চলমান থাকবে।’

এ কার্যক্রমের সুফল পেতে সকল নাগরিককে সচেতন থাকার আহবান জানিয়ে মসিক মেয়র ইকরামুল হক টিটু বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এডিস মশা স্বচ্ছ পানি, ফুলের টব, আবর্জনা ফেলার পাত্র, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারিকেলের মালা, পলিথিন, চিপসের প্যাকেট ইত্যাদিতে জমে থাকা পানিতে প্রজনন ঘটায়। তাই এক্ষেত্রে জনসচেতনতার গুরুত্ব অপরিসীম। এগুলোতে যাতে পানি না জমে থাকে নাগরিকদের তা খেয়াল রাখতে হবে।’

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে যেসব কার্যক্রম চলমান রয়েছে সেগুলো টেকসই করতে হলে সকল নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র টিটু।