বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদ ভোলাতেও চালিয়েছে হত্যাযজ্ঞ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মাজেদ ৭৫-এ শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি। ওই সময় সে তার নিজ এলাকা ভোলাতেও চালিয়েছে হত্যাযজ্ঞ, গুমসহ নানা অপকর্ম। তার নির্যাতনের শিকার হয়েছিলো ভোলার বহু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দুইদিন পর ১৭ আগস্ট ক্যাপ্টেন মাজেদ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ এর এপিএস শফিকুল ইসলাম মিন্টুকে মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ সড়কের বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে। কেনো কি কারণে কিভাবে তাকে হত্যা করা হয় তা কিছুই জানতে পারেনি তোফায়েল আহমেদ ও তার এপিএস মিন্টুর পরিবারের সদস্যরা।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ জানান, মাজেদ শুধু বঙ্গবন্ধু কেই হত্যা করে নাই। সে মিন্টুকে হত্যা করেছে যার লাশ আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
শফিকুল ইসলাম মিন্টুর মেয়ে শামিমা ইসলামের দাবি ৭৫-এ ক্যাপ্টেন মাজেদের কারণে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাথে তাদের পরিবারটিও নিঃস্ব হয়ে যায়। ক্যাপ্টেন মাজেদকে এতোদিন ধরা সম্ভব হয়নি বিধায় মিন্টু হত্যাসহ ভোলার অন্যান্য হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে মাজেদের কাছে থাকা অনেক তথ্য এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তার ফাঁসি কার্যকর করার আগে তাকে রিমান্ডে নিয়ে এসব হত্যা ও নির্যাতনের প্রকৃত চিত্র জানতে চায় নিহতের মেয়ে শামিমা ইসলাম ও তার স্বজনরা।
এদিকে, মাজেদের অত্যাচার, অনাচার আর তাণ্ডবের সাক্ষী বোরহানউদ্দিনের সাধারণ মানুষ তার গ্রেফতারে আনন্দিত হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে উল্লাস করতে পারছে না। এখানকার সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল দ্রুত ক্যাপ্টেন মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করার জন্য সরকারের কাছে দাবি করছেন।