সিলেটে এনসিপির ইফতারে দুই পক্ষের হট্টগোল, সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সিলেটে জাতীয় নাগরিক পার্টির(এনসিপি) ইফতার মাহফিলে নেতাকর্মীদের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় সাংবাদিকরা ছবি ও ভিডিও তুলতে গেলে তাদের সঙ্গে অসদাচরণ ও ক্যামেরা কেড়ে নিতে নিতে চেষ্টা করেন দলটির নোতকর্মী-সমর্থকরা। পরে সাংবাদিকরা ইফতার অনুষ্ঠান বয়কট করে চলে আসেন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর বালুচরস্থ একটি কনভেনশন সেন্টারের এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইফতারের ঠিক ৭/৮ মিনিট আগে মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। ঠিক ওই সময়ে মঞ্চের সামনে আসন ইস্যু, বক্তৃতা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েনে। এসময় ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণকালে ডিবিসি নিউজ, সিলেট ভিউ, খবরের কাগজ, ঢাকা পোস্টের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সাংবাদিকরা তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ জানালে তারা উল্টো তেড়ে আসে।

বিজ্ঞাপন

পরে সাংবাদিক নেতাদের হস্তক্ষেপে তারা সরে গেলেও পরবর্তীতে ইফতার না করেই সাংবাদিকদের বড় একটি অংশ অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে বেরিয়ে আসেন এবং কনভেনশন সেন্টারের পাশের একটি ছোট রেঁস্তোরায় ইফতার করেন। এছাড়া ছাত্রদের একটি পক্ষ ইফতার না করেই বেরিয়ে বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ করে দলের নেতাকর্মীদের আশ্রাব্য গালিগালাজ করেন। ইফতার পরবর্তীতে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও মারামারিতে শান্ত নামে লিডিং ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী আহত হন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনসিপির এক যুগ্ম আহ্বায়ক পদবীর এক নেতা জানান, বৈষম্যেবিরোধী ছাত্রদের মধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। এরমধ্যে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা নাসির, গালিবসহ অন্তত ২৫/৩০ জন ইফতার মাহফিলে এসে হট্টগোল ও হাতাহাতি করে বেরিয়ে যায়। ইফতার পরবর্তীতেও তরা হাতাহাতিতে জড়ায়।

ওই নেতা বলেন, ইফতারের সময় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও পরবর্তীতে আবারো হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে।

এব্যাপারে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশামল হক বলেন, যারা এই আচরণ দেখাচ্ছে, তারা কুক্ষিগত করতে চাচ্ছে। তারা পাওয়ারটা এবিউজ করতে চায়, বক্তৃতা দিতে চায়। এনসিপির নামে তারা চাঁদাবাজি করতে চায়।

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম করে উচ্ছৃঙ্খল মানুষ হট্টগোল করার চেষ্টা করে। মেহমান সাংবাদিকদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে। এটার দায় এড়াতে পারি না। জুলাই বিপ্লবকে পুঁজি করে যারা শক্তি প্রদর্শন ও চাঁদাবাজি অন্যায় সুযোগ নিতে চায়, তাদের কোনো স্থান এনসিপিতে হবে না। তাছাড়া যারা ছাত্র, ধারা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদে যোগদান করতে পারে। আর পড়াশোনা শেষ করে এনসিপিতে যোগদান করতে পারবে।