মিডিয়া ছাড়া কখনোই গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না: রিজভী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণমাধ্যম গণতন্ত্রের অন্যতম এক মৌলিক উপাদান। মিডিয়া ছাড়া কখনোই গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না। আমরা যদি চিরত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তাহলে মিডিয়াকে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে।

শনিবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া হলে রংপুর ডিভিশনাল রিপোর্টার্স ফোরামের উদ্যোগে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

রিজভী বলেন, গণমাধ্যম হচ্ছে সমাজের আয়না সেটা যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু এখান থেকে যদি কোন বিকৃতি রুপ আসে সেটা হবে মিডিয়ার ডাই। অর্থাৎ মিডিয়া তার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে যদি পালন করে তাহলে মিডিয়া মিডিয়ার জায়গা থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। যা সত্য তাই প্রকাশ করতে হবে। চাঁদাবাজি টাও প্রকাশ করতে হবে আবার যে চাঁদাবাজির বিরোধিতা করছে তার নিউজ প্রকাশ করতে হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, গত ১৭ বছর এত আন্দোলন রক্তপাত সর্বশেষ জুলাই আগস্ট ছাত্র-জনতার পৃথিবী কাঁপানো যে বিপ্লব হয়ে গেল সেটার মূল স্পিরিট টি হচ্ছে ডেমোক্রেসি। আমরা বিভিন্নজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল করি। আমরা নানা বিষয়ে সমালোচনা করব। আবার আমরা একই প্লাটফর্মে বসে কথা বলব। এটা হচ্ছে গণতন্ত্রের মূল চেতনা। এই চেতনাকে প্রটেক্ট করবে গণমাধ্যম তার দায়িত্ব তার স্বাধীন সত্ত্বা নিয়ে কাজ করবে। মিথ্যার কোনো আশ্রয় নেবে না।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমরা শেখ হাসিনার আমলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেখেছি। অনেক গণমাধ্যমের মালিক সরকারের সাথে সম্পর্ক থাকায় আমাদের অনেক কথা বক্তব্য প্রকাশ করতে দেয়নি অনেক সাংবাদিক চেষ্টা করেছে প্রকাশ করার কিন্তু পারিনি। তারপরও তারা দায়িত্ব পালনে কখনো অবহেলা করেনি। বিভিন্ন ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাত তিনটা বারোটার সময় সাংবাদিকদের কে দেখেছি সংবাদ সম্মেলন করেছি তারা এসেছে । আমাদের অনেক ছেলে খুঁজে পাওয়া যায়নি তারা অনলাইনে টিভিতে পত্রিকা নিউজ দিয়েছে। গণমাধ্যমে এই কর্মীদের কারণেই আমাদের অনেক ছেলে গুম হওয়া থেকে বেঁচেছে। ঐরকম একটা ফ্যাসিবাদ সরকারের সময়ও যদি সাংবাদিকরা গণতন্ত্র মনে হয় এবং অনেকেই ছিলেন।

মিডিয়ার মালিকরা মিডিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে না এই ধরনের একটা আইন হওয়া উচিত মন্তব্য করে রিজভী বলেন, মিডিয়ার মালিকরা মিডিয়ায় কোন হস্তক্ষেপ করতে পারবে না এই ধরনের একটা আইন হলে। আমরা যে গণতন্ত্রের জন্য রক্ত ঝরিয়েছি, এত রক্তপাত হয়েছে। সেই ঝরানো রক্তটা মর্যাদা লাভ করবে। মানুষের মত প্রকাশের ক্ষেত্রে মিডিয়ার মালিকরা যদি মিডিয়ায় কোন হস্তক্ষেপ না করে তাহলে গণতন্ত্র অত্যন্ত শক্তিশালী হবে।

তিনি বলেন, একটি রাষ্ট্রের সামগ্রিক যে পলিসি। সে পলিসি সব সময় ঘাটতি রয়েছে। কোথায় কি প্রয়োজন সেটা টার্গেট করে। সেখানে কি করতে হবে এটা অনেক সময় অধরায় রয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি ঠিকভাবে সমন্বয় করে সেই জায়গাগুলোতে যেতে পারতাম তাহলে সেখানে যে অভাব সেটা থাকতো না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি তামজিদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সাংবাদিক জিসানের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ। আরও উপস্থিত সিনিয়র সাংবাদিক রকি, জসিম, শুভ সংগঠনটির সদস্যরা।

এর আগে নয়াপল্টনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,'তারেক রহমান ইফতার মাহফিল না করে টাকা গরিব মানুষদের কে দোয়ার জন্যে আমাদের বিভিন্ন সংগঠনকে নির্দেশ দিয়েছেন যারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে যারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে সেসব সংগঠনগুলোকেও পরামর্শ দিয়েছেন এই ধরনের ব্যবস্থা করতে।