সংলাপের মাধ্যমে দ্রুত জাতীয় ঐকমত্য সম্ভব: আলী রীয়াজ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

’রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ ও মতপার্থক্য থাকলেও অনেকে একই মতামত পোষণ করেন। সবার মতামত শোনা হবে। আমি আশা করি আমরা সংলাপের মাধ্যমে একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব।’

বিজ্ঞাপন

আজ শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে খেলাফত মজলিসের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে এসব কথা বলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য জানিয়েছে।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলকে সম্পৃক্ত করে সংলাপের মাধ্যমে দ্রুত জাতীয় ঐকমত্য গঠন করা সম্ভব।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, 'এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আপনারা (খেলাফত মজলিস) অংশগ্রহণ করছেন। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের কাজ শুরু করেছি এবং বেশি সময় দিতে পারিনি। তবে আপনারা যে আন্তরিক মতামত দিয়েছেন তার ভিত্তিতে আমরা আমাদের আলোচনা চালিয়ে যাব।’

বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার দ্বিতীয় দিনে আজ বাংলাদেশ লেবার পার্টির সঙ্গেও আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গত বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে প্রথম সংলাপ করে কমিশন।

বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত ১৩ মার্চের মধ্যে জানাতে অনুরোধ জানিয়ে সুপারিশগুলো স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ১৬টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।