দ্রুত শুরু হবে তিস্তা পাড়ের বাঁধের কাজ: রিজওয়ানা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

তিস্তা পাড়ের অধিক ভাঙন কবলিত ২০ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধের কাজ দ্রুতই শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানান, তিস্তা পাড়ের বেশি ভাঙন প্রবণ ৪৩ কিলোমিটার এলাকার তীর রক্ষা বাঁধের জন্য ২৪৩ কোটি টাকার অনুমোদন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া গেছে। তবে প্রথম বছরে তিস্তার অধিক ভাঙন প্রবণ ২০ কিলোমিটার এলাকার তীর রক্ষা বাঁধের কাজ করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে বাকি এলাকার তীর রক্ষা বাঁধের কাজও দ্রুততার সঙ্গে করা হবে।

শনিবার (২২ মার্চ) ঢাকার গ্রিন রোডের পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব পানি দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত 'পানি খাতে সংস্কার' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

উপদেষ্টা বলেন, সদিচ্ছা থাকলে সমন্বয় করে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা যায়, এটাই একটা বড় সংস্কার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান কাজে কোথাও গুণগতমানের ঘাটতি পরিলক্ষিত হলে মন্ত্রণালয়ের গঠিত মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক মল্লিক সাঈদ মাহবুব-সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের জানানোর জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমে দেশের যেসব জায়গায় ঘূর্ণিঝড় বা বেশি বন্যায় ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে, সেসব এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় অফিসগুলোকে ইর্মাজেন্সি বেসিসে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জিও ব্যাগ এবং ব্লক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরি অবস্থায় রেসপন্স করার জন্য কি কি ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে তার তালিকা এপ্রিল মাসের মধ্যে জমা দিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনার ফিজিবিলিটি স্টাডির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছে দুটি শর্তে এবং সেটি হচ্ছে পাওয়ার চায়না তিস্তা পাড়ের মানুষদের কাছে গিয়ে তাদের পরিকল্পনার কথাটা বলবে। যারা নদী নিয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে কথা বলবে। এরইমধ্যে তিস্তা পাড়ের ৫ জেলায় গণশুনানি হয়েছে। এখন বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে আলোচনা করা হবে, ওই বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে আলোচনার জন্য চীন থেকেও তাদের বিশেষজ্ঞ/এক্সপার্ট টিম আসবে। সবার সম্মতি নিয়েই আসলে কতটুকু উপকার হবে এটা বুঝে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে উপদেষ্টা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, নোয়াখালীতে গত বন্যার পরে পানি নামছিল না। বন্যার সময় নোয়াখালীতে পানি নামছিল না কারণ সেটা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, সাগর থেকে জোয়ার উঠে আর নামতে পারছে না। কারণ সেখানে খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। সেটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।