ময়মনসিংহে প্রতারক চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার 

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ বন্ধ থাকা মোবাইলের সিম জীবিত ও মৃত ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড করা একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে সিম তৈরির বিপুল সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। পরে মামলা শেষে শনিবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া চক্রটির সদস্যরা হলেন, ভালুকা উপজেলার মামারিশপুর গ্রামের নাজমুল হকের ছেলে হাফিজুল ইসলাম প্রিন্স (২৯), টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ঝটাবাড়ী গ্রামের মিরাজ আলীর ছেলে আজিজুল হক (২৪) ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার করহাটা গ্রামের মৃত শরিপ মোল্লার ছেলে তানভীর রহমান ওরফে কাব্য (২৬)।।

শনিবার (২২ মার্চ) ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করে চক্রটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানায় থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম খান।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে চক্রটির প্রধান হাফিজুল ইসলামকে এবং শুক্রবার রাতে চক্রের অন্য দুই সদস্য আজিজুল হক ও তানভীর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। নগরের গোহাইলকান্দি এলাকার একটি ভবনে তৃতীয় তলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছিল চক্রটি। তারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মানুষের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে মুঠোফোনে সিম নিবন্ধন করে বিক্রি করছিল। অভিযানের সময় ল্যাপটপ, মুঠোফোন, বায়োমেট্রিক স্ক্যানার, ফিঙ্গার হিটার মেশিন, আঙুলের ছাপের রাবার প্লেটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চক্রটির প্রধান হাফিজুল ইসলাম একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। সিম কোম্পানী রবিতেও বেশি কিছুদিন চাকরি করে। গত এক বছর ধরে জীবিত ও মৃত মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যহার করে সিম তৈরি করে প্রতারণার পেশা শুরু করেন। গ্রেফতার হওয়া চক্রটির বিরুদ্ধে কোতোয়লি থানার উপ পরিদর্শক সাদ্দাম হোসেন বাদি হয়ে আজ শনিবার একটি মামলা করেছেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৫-৬ জনকে আসামী করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ময়মনসিংহ কেতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, পুরো চক্রটিকে ধরতে আমাদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। গ্রেফতার তিনজনকে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।