বিনামূল্যে চাল পেলেন ১৫ হাজার দুস্থ পরিবার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চাল নেওয়ার জন্য দীর্ঘ সারি

চাল নেওয়ার জন্য দীর্ঘ সারি

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মানবিক সহায়তা ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১৫ হাজার ৭২২ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারকে দশ কেজি হারে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য (চাল) বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (২২ মার্চ) সকালে সদর ও বহরপুর ইউনিয়নে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিনামূল্যের দশ কেজি চাল নেওয়ার জন্য দীর্ঘ সারি।

বিজ্ঞাপন

উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ১৫ হাজার ৭২২ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবার এই কর্মসূচির আওতায় আসেন। ঈদের আগে বিনামূল্যের এই চাল পেয়ে খুশি পরিবারগুলো।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এই কর্মসূচিতে বালিয়াকান্দির ইসলামপুর ইউনিয়নে ২৩৫০, বহরপুর ইউনিয়নে ২৬৭০, নবাবপুরে ২৮৩০, নারুয়াতে ১৮৪০, সদর ইউনিয়নে ২০৮২, জঙ্গলে ১৬০০ ও জামালপুর ইউনিয়নে ২৩৫০ টি পরিবার এই কর্মসূচির আওতাভুক্ত হয়েছে। ১৫ হাজার ৭২২টি অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ১৫৭ দশমিক ২২ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যেই দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে চাল নিচ্ছেন পুরুষ ও নারীরা। প্রতিটি চাল বিতরণ কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছেন একজন করে কর্মকর্তা। এ ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে পরিদর্শন করছেন বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কোহিনূর জাহান।

কোহিনূর জাহান বলেন, সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে সবাই যেন চাল নিতে পারেন সেজন্য প্রতিটি চাল বিতরণ কেন্দ্রে একজন করে কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি নিজেই ছুঁটছেন প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে। চাল বিতরণ কার্যক্রম সর্ম্পূণ মনিটরিং করছেন ইউএনও মহোদয়।

৭৫ বছর বয়সী ফুলজান বেগম চাল পেয়ে আনন্দে জানান, তিনি বিধবা। তার একটি ছেলে রয়েছে মানসিক প্রতিবন্ধী। সে একজন ভূমিহীন। থাকেন সরকারি নির্মাণাধীন অসম্পূর্ণ একটি ঘরে। মানুষ যা দেয় সেটা দিয়েই চলে তার সংসার। কেউ দিলে খান না দিলে অনাহারেই থাকেন। ঈদের আগে ১০ কেজি চাল পেয়ে সে খুবই খুশি।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমান জানান, উপকারভোগী পরিবারগুলো যেন সুন্দর ও সুষ্ঠ ভাবে চাল সংগ্রহ করতে পারেন সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। চাল বিতরণ কার্যক্রম সার্বক্ষণিকভাবে তিনি মনিটরিং করছেন।