ধামরাইয়ে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৫

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ধামরাইয়ে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৫

ধামরাইয়ে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৫

ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে বিএনপি নেতা আবুল কাশেমকে (৫৭) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে গ্রেফতারকৃতদের ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আব্দুল জলিল (৫০), মো. আব্দুল বাছেদ (৪৭), আবু সাঈম (৪০), আব্দুল গফুর (৪৭) ও আলী হোসেন (৩৩)। তারা সবাই ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকায় বাড়ির পাশে সড়কের ওপরে তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে দুপুর ১টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে মামলার জন্য আবুল কাশেমের স্ত্রী মোসা. শাহিদা আক্তারের সঙ্গে থানা পুলিশ যোগাযোগ করলেও তিনি অভিযোগ দিতে কালক্ষেপণ করেন ও পরবর্তীতে মামলা করবে না বলে জানান। এর জেরে রাতে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আতাউল মাহমুদ খান বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- মো. আব্দুল জলিল (৫০), মো. আব্দুল বাছেদ (৪৭), মো. বাবুল মিয়া (৩৮), মো. বিল্টু (২৭), আব্দুল আহাদ (৪৫), আবু সাঈম (৪০), আব্দুল গফুর (৪৭) ও আব্দুল মালেকসহ (৪২) অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জন। তারা ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ও সানোড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।

নিহত আবুল কাশেম (৫৭) ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকার মৃত রইজ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। তিনি গাংগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন।

মামলার এজাহারে পুলিশ বলছে, স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, আবুল কাশেম পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। ২০ মার্চ বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজের বাড়ি থেকে ১০০ গজ পশ্চিমে পাকা সড়কে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকেই ওৎপেতে থাকা আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আবুল কাশেমের ওপর হামলা চালায়। তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার কোমরের ডান পাশে পিছনে, কোমরের নিচে বাম পাশে, হাটুর উপরে কোমরের নিচে ডান পাশে গভীর গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় ঘটনাস্থলে ফেলে যায়।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পার্শ্ববর্তী কাওয়ালীপাড়া একটি হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে মরদেহ ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে মামলার বাদী ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আতাউল মাহমুদ খান বলেন, হত্যার খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। অন্যান্য আসামি গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।