পেঁয়াজের কদম চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা
-
-
|

পেঁয়াজের কদম চাষে ঝুঁকছেন রাজশাহীর চাষিরা
বীজের ভালো দাম এবং কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় পেঁয়াজের কদম চাষে ঝুঁকছেন রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার চাষিরা। ফলে, গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে পেঁয়াজের কদম চাষ। তবে, উপজেলায় কৃষি জমিতে পুকুর খনন বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ চাষের জমির পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, গত বছরে পেঁয়াজের কদম আবাদের পরিমাণ ছিল ৭০ হেক্টর। চলতি বছরে পেঁয়াজের কদম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০ হেক্টর, কিন্তু প্রকৃত চাষের পরিমাণ হয়েছে ৭৫ হেক্টর জমিতে। উপজেলার শিলমাড়িয়া, ভাল্লুক গাছি এবং জিউপাড়া ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ বীজ চাষ হয়েছে।
কৃষকরা জানান, যে জমিগুলোতে পেঁয়াজের আবাদ হতো, তার বেশিরভাগই এখন পুকুরে পরিণত হয়েছে। এ কারণে অনেক কৃষক চাইলেও পেঁয়াজ কদমের চাষ করতে পারছেন না।
চাষি জয়নাল আবেদীন বলেন, আমিসহ আমাদের এলাকায় অনেকেই কালো সোনা খ্যাত পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বিঘা প্রতি ১২০ কেজি পেঁয়াজের বীজ ফলানোর আশা রাখছি। আমরা উপজেলা কৃষি বিভাগের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছি। তারা আমাদেরকে সব সময় পরামর্শ দিচ্ছেন, কখন কী ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে এবং পলিনেশন ঠিক রাখার জন্য হাত পরাগায়ন করার পরামর্শও দিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর পেঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। বীজ রোপণের পূর্বে কৃষকদের অধিক দামে বীজ কিনতে হয়েছিল, কিন্তু এ বছর কৃষকরা অধিক পরিমাণে বীজ উৎপাদনের জন্য পেঁয়াজের কদম চাষে ঝুঁকেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করা যাচ্ছে, পেঁয়াজের বীজ আমাদের উপজেলার চাহিদা পূরণ করে অন্য উপজেলা বা জেলায় বিক্রি করার সুযোগ তৈরি হবে। মাঠ পর্যায়ে আমরা বীজ উৎপাদনে কৃষকদের সার্বিক কারিগরি সহায়তা প্রদান করছি।