কব্জি কাটা গ্রুপের সদস্য পানি রুবেল গ্রেফতার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর আদাবরের মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং লিডার কব্জিকাটা আনোয়ার এবং টুন্ডা বাবুর অন্যতম সহযোগী মো. রুবেল ওরফে পানি রুবেল (২৫)’কে ভোলা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

বিজ্ঞাপন

সোমবার সন্ধ্যায় ভোলা সদর থানার লঞ্চঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৮ ও র‍্যাব-২। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক এএসপি খান আসিফ তপু।

তিনি জানান, ভোলা জেলার সদর মডেল থানা এলাকা থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৮ আদাবরের চিহ্নিত মাদক কারবারি, চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার পানি রুবেলকে

বিজ্ঞাপন

আদাবর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি রুবেল। ওই মামলার এজাহার সূত্রে ল্র বরাত দিয়ে খান আসিফ জানান৷ রাজধানীর আদাবর থানাধীন শেখেরটেক এলাকায় দুই ছেলে সন্তানসহ ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন এক ভুক্তভোগী। বাদীর বড় ছেলে মোঃ রাসেল (৩০) একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাবুর্চির চাকুরি করে এবং ছোট ছেলে মোঃ বিজয় (২৫) দারোয়ানের চাকুরী করে। উক্ত মামলার আসামিগণ এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য।

বিজয় আসামীগনকে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য নিষেধ করলে আসামিগন ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে আদাবর থানাধীন শেখেরটেক এলাকায় একটি চায়ের দোকানের সামনে অবস্থানকালে বিজয়কে দেখতে পেলে আসামি মোঃ রুবেল ওরফে পানি রুবেলসহ এজাহারনামীয় আসামিরা ও অজ্ঞাতনামা আরো ৯/১০ জন মিলে ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও সামুরাই দিয়ে ল হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। বিজয়ের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর বাদীর বড় ছেলে মোঃ রাসেল উক্ত ঘটনার বিষয়ে আসামি মোঃ রুবেল ওরফে পানি রুবেলকে জানালে আসামি তাকেও বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে এবং গত ১৯ তারিখ রাত রাত দেড়টার দিকে রাসেল বাসায় ফেরার পথে আদাবর থানাধীন শেখেরটেক বড় মসজিদের সামনে পৌঁছালে উক্ত আসামিগন ভিকটিম রাসেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও সামুরাই দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ভিকটিম রাসেলকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম’দ্বয়ের মা বাদী হয়ে ০৭ জন আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৯/১০ জন আসামিদের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

এই ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র‌্যাব এ বিষয়ে আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৮ এর একটি আভিযানিক দল পানি রুবেল (২৫)’কে ভোলা জেলার সদর মডেল থানা এলাকা থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মোঃ রুবেল (পানি রুবেল) জানায় যে, সে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিল। পরবর্তীতে টুন্ডা বাবুর মাধ্যমে কব্জিকাটা আনোয়ারের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তাদের অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত হয়। সে কব্জিকাটা আনোয়ারের নির্দেশে মোহাম্মদপুর ও পার্শ্ববর্তী ল এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল, চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যাসহ বিভিন্ন সস্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত এবং আনোয়ার ওরফে কব্জিকাটা আনোয়ার গ্রেপ্তার পরবর্তী সময়ে সে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রন কর

পানি রুবেলে বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৪টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায় এবং সে বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার কারাভোগ করে। সাধারণত দিনের বেলায় তারা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় কম জনসমাগমপূর্ণ স্থানে পথচারীদের জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল, ল্যাপটপ, ভ্যানিটি ব্যাগ ইত্যাদি মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে এবং রাত গভীর হলেই বাসা বাড়ি, ফ্লাটে ও গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের মুখে সর্বস্ব লুটে নেয়।