'আমি জড়িত নই' বলে আদালতে কাঁদলেন শাজাহান খান

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

বড় ছেলে হাসিবুর রহমান খানের সঙ্গে দীর্ঘ পাঁচ মাস দেখা হয়নি—এ কথা বলতে গিয়ে আদালতে কাঁদলেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেন, "আমার ছেলের সঙ্গে পাঁচ মাস আমার দেখা নেই। আমার প্রশ্ন—আমার ছেলে কী করেছে?"

সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত বাড্ডা থানার রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় শাজাহান খানের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটের দিকে শাজাহান খানকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। এ সময় তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। সকাল ১০টা ৮ মিনিটে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক শফিউল আলম পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে মিজানুর রহমান (বাদশা) রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন।

রিমান্ড শুনানিকালে শাজাহান খান আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, "পিপি সাহেব বলেছেন, আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। গুলি চালানোর আদেশ তো আমি দিতে পারি না। আমি জড়িত নই, তাহলে আমার বিরুদ্ধে মামলা কেন? শুধু আমার বিরুদ্ধে না, আমার বড় ছেলে আসিবুর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে। সে এখন জেলে।"

বিজ্ঞাপন

কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, "আমার ছেলের সঙ্গে পাঁচ মাস আমার দেখা নেই। আমার প্রশ্ন—সে কী করেছে? আমি ঢাকায় থাকাকালে সে মাদারীপুরে ছিল। এখনই চেক করতে পারেন। আর সিরাজুল ইসলাম কে?"

বিচারক বলেন, "আপনার বিষয়ে আইনজীবীরা কথা বলেছেন।" তবুও শাজাহান খান দুই হাত জোড় করে আরও কিছু বলার জন্য আদালতের কাছে সময় চান।

তিনি বলেন, "একটু সময় দিন। উনারা (আইনজীবী) ভালোভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারেননি। চেয়ারম্যান ছয়টি হত্যা মামলার আসামি। আমি তার পক্ষে ছিলাম না। তাই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।"

পরে আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু দিয়ে চোখ মুছতে থাকেন শাজাহান খান। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তাকে হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হাতকড়া পরিয়ে আদালত থেকে বের করা হয়।

হাজতখানায় নেওয়ার সময় তিনি বলেন, "পুলিশ বলছে, কথা বলা নিষেধ। এটা গণতান্ত্রিক দেশ। আমি সারা জীবন কথা বলে এসেছি, কথা বলেই যাব।" এরপর হাসতে হাসতে তিনি হাজতখানায় প্রবেশ করেন।