সমন্বয়ক পরিচয়ে টাকা আদায়, থানায় মামলা
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
ময়মনসিংহের ফুলপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে পুলিশ ধরবে না, এমন কথা বলে সমন্বয়ক পরিচয়ে টাকা আদায়ের ঘটনায় ওবায়দুল হক নামে এক যুবকের নামে মামলা হয়েছে।
রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে থানায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার বাবা শওকত আলী বাদী হয়ে ফুলপুর থানায় ওবায়দুলকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাদি মামলার বিষয়টি রুপালী বাংলাদেশ'কে নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত ওবায়দুল হক উপজেলার সখল্যা গ্রামের বাসিন্দা এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিউল আলম উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও শওকত আলীর ছেলে।
সুত্র জানায়, সম্প্রতি ফেসবুকে টাকা লেনদেনের ৪ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, খাটের পাশে সোফায় পাঞ্জাবি-টুপি পরে বসা যুবক ওবায়দুল হক। শওকত আলীর উদ্দেশে শফিউল আলমকে বলতে শোনা যায়, ৫ হাজার টাকা দিলে ওবায়দুল বলছে, ওসি সাহেব আমারে ধরত না। ওসি সাহেবের লগে কথা কইছে। ভাইটকান্দি ইউনিয়নের আনোয়ার দারোগাও ধরত না।
এ সময় ওবায়দুলকে বলতে শোনা যায়, ইউনূস সরকার যত দিন আছে, আর আমি যত দিন বাঁইচ্চা আছি, এইডা আমি গ্যারান্টি দিলাম। আমি যদি তার (শফিউল) বিপক্ষেই থাকতাম, তাহলে ফোন দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। সামনে ১০ রোজার পরে ওসি সাহেবরে দাওয়াত দিছি। তখন বারবার শফিউলের মাকে বলতে শোনা যায়, পরে কোনো সমস্যা হইত না তো? তখন ওবায়দুল বলতে থাকেন, আমি তো আছি, এককথা কতবার বলতাম।
কথার একপর্যায়ে বিভিন্ন বিটে পুলিশের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের নাম বলতে থাকেন ওবায়দুল হক। এরপর শওকত আলী ১ হাজার টাকার ৫টি নোট এনে ওবাদুলের হাতে তুলে দেন।
এ বিষয়ে শওকত আলী বলেন, আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ঘটনায় বেলা দেড়টার দিকে থানায় অভিযোগ দিয়ে এসেছি। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ওবায়দুলকে আর এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।
ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাদি বলেন, টাকা আদায়ের ঘটনায় চাঁদাবাজির ধারায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতাররে চেষ্টা চলছে। এ ধরণের প্রতারণার ফাঁদে যেন কেউ না পড়েন, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ময়মনসিংহে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন বলে এলাকায় প্রচার চালান ওবায়দুল হক। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর একটি রেস্টুরেন্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করে ওবায়দুলকে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন।